More

Social Media

Light
Dark

আমেরিকায় বিশ্বকাপ!

সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এখন ব্যস্ত সময় পাড় করছে। বিশেষ করে মাঝে করোনা মহামরির কারণে আটকে ছিল অনেক খেলাই। সেগুলোও এখন একটু একটু করে মাঠে গড়াচ্ছে। এছাড়া সামনের কয়েক বছর আছে বেশ কিছু আইসিসি ইভেন্টও।

যদিও ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি ও ২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সবকিছুই মোটামুটি চূড়ান্ত। তবে আইসিসির ভাবনায় এখন ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। মানে পরের তিনটি বছরে অনুষ্ঠিত হবে তিনটি বড় আইসিসি ইভেন্ট।

২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা আইসিসি ক্রিকেটকে আরো ছড়িয়ে দেয়ার হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহার করতে চায়। এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব আমেরিকাকে দেয়ার কথা ভাবছে আইসিসি। ২০২৮ সালের লস এঞ্জেলেস অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তুর্ভুক্তির একটা দরজা হিসেবেই এই সিদ্ধান্তের কথা ভাবছে আইসিসি।

ads

তবে আমেরিকার ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের যৌথ আয়োজনেই এই বিশ্বকাপ হবার কথা। জানা যায় ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ভেন্যু নিয়ে এক মিটিংয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। সব কিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী হলে অনেক বছর বাদে ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বাইরে কোন আইসিসি ইভেন্ট হতে যাচ্ছে। সর্বশেষ ২০১৪ সালে বাংলাদেশে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়েছিল।

আইসিসি অবশ্য অনেকদিন ধরে ইমার্জিং দেশ গুলোতে কোন মেগা ইভেন্টের আয়োজন করতে চাচ্ছিল। এছাড়া ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দল ও ম্যাচ সংখ্যাও বাড়িয়েছে আইসিসি। ২০২১ ও ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আছে মোট ১৬ টি দল এবং ৪৫ ম্যাচ। ওদিকে ২০২৪ সালে দল বেড়ে হবে ২০ টি এবং ম্যাচ হবে মোট ৫৫ টি।

এছাড়া ২০২৪ থেকে ২০৩১ সালে মধ্যে বেশ কিছু ইভেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে আইসিসি। ফলে সেগুলোও ইমার্জিং দেশগুলোর মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চায় আইসিসি। সেটারই একটা শুরু হতে যাচ্ছে এই বিশ্বকাপ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আমেরিকায় আয়োজন করে।

এছাড়া ক্রিকেটকে আরো বেশি দেশে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য অলিম্পিকে অন্তুভুর্ক্ত করতে চায় আইসিসি। ফলেও ২০২৮ সালের লস এঞ্জেলেস ও ২০৩২ সালের ব্রিসবেইন অলিম্পিককে টার্গেট করেছে ক্রিকেটের এই সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link