সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরে টেস্ট সিরিজে হোয়াটওয়াশ হয়েছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মূলত স্পিনারদের বিপক্ষেই পরাস্ত হয়েছিলো ক্যারিবিয়ানরা। সেই ক্ষত এখনো মনে রেখেছেন তাঁরা। আসন্ন সিরিজে বাংলাদেশের স্কোয়াডে ছয় পেসার থাকলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ফিল সিমন্সের ভাবনা জুড়ে শুধুই স্পিন।
এবার বাংলাদেশ স্কোয়াডে আছেন ৬ জন পেসার। ফলে বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তা করার সময় পেস বোলারদের কথাই ভাবার কথা। কিন্তু সিমন্স বলছেন, তিনি স্পিন নিয়েই চিন্তিত।
২০১৮ সালে বাংলাদেশ সফরে এসে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৬৪ রানে ও দ্বিতীয় ম্যাচে ইনিংস ও ১৮৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছিলো ক্যারিবিয়ানরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের চার ইনিংসের ৪০ উইকেটের প্রতিটাই শিকার করেছিলেন স্পিনাররা। সিরিজে সাকিব আল হাসান ৯ উইকেট, মেহেদী হাসান মিরাজ ১৫ উইকেট, নাঈম হাসান ৬ উইকেট ও তাইজুল ইসলাম শিকার করেছিলেন ১০ উইকেট। ওয়ানডে সিরিজেও স্পিনাররা শিকার করেছিলেন ৯ উইকেট।
এবারও বাংলাদেশের টেস্ট স্কোয়াডে রয়েছে এই চার স্পিনারই। ওয়ানডে স্কোয়াডে সাকিব ও মিরাজের সাথে রয়েছেন আরেক স্পিনার মেহেদী হাসানও। এই স্পিনারদের নিয়েই যে বাংলাদেশ পরিকল্পনা সাজাবে এটা নিশ্চয় জানা আছে ক্যারিবিয়ানদেরও। স্বাগতিকদের স্কোয়াডে ছয় পেসার থাকলেও তাই স্পিনই ভাবাচ্ছে সফরকারীদের।
সিমন্স বলেন, ‘এখনও তাদের মূল চার স্পিনার আছে। ওরা হয়তো দুই বা তিন পেসার খেলাতে পারে। সেক্ষেত্রে আমরা হয়তো ম্যাচে বেশ ভালো পিচ পাব। ওদের দলে ছয় পেসার থাকা একটা ভালো ব্যাপার হতে পারে, কিন্তু এরপরও চার স্পিনার থাকছেই।’
বিকেএসপিতে মঙ্গলবার নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রস্তুতি ম্যাচ শেষেই ঠিক করা হবে তাদের একাদশ। সিমন্স বলেন ‘প্রথম ম্যাচের একাদশ বেছে নেওয়ার খুব কাছেই আছি আমরা। প্রস্তুতি ম্যাচ হবে সবচেয়ে ভালো নির্দেশক। ম্যাচ পরিস্থিতিতে ছেলেরা কি করে এর একটা ভালো ধারণা সেখান থেকে পাওয়া যাবে।’
শুধু সিমন্সই নয়; বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণ নিয়ে নিজের শঙ্কার কথা আগেই জানিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাথওয়েট। তবে সর্বশেষ সিরিজ হারলেও সেই সিরিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান তিনি।
ব্রাথওয়েট বলেছিলেন, ‘গত সিরিজের সবকিছু আমরা দেখেছি এবং খুঁজে বের করেছি কোন কোন জায়গায় উন্নতি করতে হবে। আমাদের নির্দিষ্ট কিছু পরিকল্পনা আছে সেসব কাটিয়ে ওঠার জন্য। এই চ্যালেঞ্জ নিতে আমরা মুখিয়ে আছি।’