More

Social Media

Light
Dark

আমিরকে আগলে রাখতে বললেন ওয়াসিম

টি-টোয়েন্টি কিংবা সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের ক্রিকেটের কথা যদি বলি পাকিস্তানের অন্যতম সেরা পেস বোলিং অস্ত্র হলেন মোহাম্মদ আমির। এই ফরম্যাটে বিশ্বের অন্যতম সেরা পেসারদের সাথেও আমিরকে তুলনা করা যায়। আমির যে বেশ প্রতিভাবান তা নিয়ে কারো সন্দেহ কিংবা দ্বিমত থাকার কথা নয়।

তবে ২০১০ সালে লর্ডসের সেই স্পট ফিক্সিং কাণ্ড তাঁর উজ্জ্বল ক্যারিয়ার কালো মেঘে ঢেকে দেয়। ওই কাণ্ডে না জড়ালে বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলারদের সাথে এক কাতারে থাকার সব রকম যোগ্যতা কিংবা সামর্থ্য তার মধ্যে ছিলো। শাস্তি কাটিয়ে ফিরেই পাকিস্তানকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে দূর্দান্ত এক স্পেলে জয় এনে দেয়।

বেশ ভালোই দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন ২২ গজ। তবে হটাৎ করেই বোর্ডের সাথে সমঝোতা না হওয়ায় ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সড়ে দাড়ান তিনি৷ মূলত বোর্ডের মধ্যে অব্যবস্থাপনা, নিউজিল্যান্ড সফরের দলে না থাকায় নির্বাচক কমিটির উপরও চটেছিলেন তিনি। এরপর তিনি ক্ষোভে অবসরের সিদ্ধান্ত নেন। টেস্ট থেকে অবশ্য আগেই অবসরের ঘোষণা দেন, তবে রঙিন পোশাকের যাত্রাটাও হটাৎ করেই থামিয়ে দিলেন

ads

তবে আমিরের দলে না থাকাটা পাকিস্তান দলের জন্য মঙ্গলজনক নয় বলেও ভাবছেন সাবেক পাকিস্তানি গ্রেট ওয়াসিম আকরাম। আমিরের মতো অভিজ্ঞ এবং অসাধারণ একজন পেসার দলে থাকাটা দরকার বলেও মনে করছেন তিনি। আমিরের টেস্ট না খেলাটা সমর্থন করলেও সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে পাকিস্তান দলে আমিরের প্রয়োজন মনে করেন তিনি। বিশেষ করেই পর পর তিন বছর তিনটি বিশ্বকাপ রয়েছে।

এক সাক্ষাৎকারে ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘আমির তরুণ বোলারদের চাপের মুহূর্তে গাইড করতে পারবে এবং তারা একসাথে মিলে দলের জন্য একটা পজিটিভ ফলাফল আনতে পারে। আমি এখনো মনে করি পাকিস্তান দলে আমিরের প্রয়োজন।’

ওয়াসিম আকরামের এমন মন্তব্যের কারণ খুব পরিস্কার। কারণ সামনেই এক গাদা বিশ্বকাপের আসর। তিনি বলেন, ‘সামনের বছরগুলোতে আমাদের মোট তিনটি বিশ্বকাপ আছে। আমি অনেকদিক ধরেই বলে আসছি বোলারদেরকে একটা প্যাকেজ হিসেবে খেলতে হবে। দলে যখন আপনার একজন সিনিয়র বোলার আছে, চাপের মুহূর্তে সে তরুণ বোলারদের সাথে কথা বলার মাধ্যমে তাদেরকে গাইড করতে পারবে। তাদেরকে উৎসাহ দেওয়ার মাধ্যমে দলে ভালো একটা প্রভাব ফেলা যাবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘যখন আমি দলে ছিলাম সিনিয়র বোলার হিসেবে ইমরান ভাই সবসময়ই আমাকে সাপোর্ট করতো। আমি প্রতি বলের আগে তাঁর সাথে কথা বলতাম। এটা আসলে আপনাকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগায় যখন আপনাকে একজন সিনিয়র বোলার কিছু করতে বলে। আমি মনে করি এজন্য আমির দলে খুব গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি আমিরকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘আমিরের নিজেকে প্রশ্ন করা উচিত ভবিষ্যতের জন্য তাঁর কি পরিকল্পনা আছে। তার ব্যক্তিগত কি লক্ষ্য আছে এটাও নিজেকে প্রশ্ন করা দরকার। সে বিশ্বের যেকোনো লিগেই খেলতে পারবে। সে এখনো টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার।’

তিনি আরো বলেন, ‘সে যেহেতু টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছে এটা তার সমস্যা। এটা তাঁর সিদ্ধান্ত। কেন আপনি একজনের বিপক্ষে যাবেন সেখানে সে অবসর নিয়েছে? একজন খেলোয়াড় তার শরী সম্পর্কে জানে, বিশেষ করে একজন বোলার। টেস্ট ক্রিকেট সহজ কথা নয়৷ আপনি পাঁচ বছর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে না খেললে আপনার মাসেল দীর্ঘসময় বোলিং করতে আপনাকে সাহায্য করবে না। আমিরের শুধু তার খেলাটা খেলে যাওয়া উচিত। সে তাই বলেছে যা সে বলতে চায় এবং নিজের জায়গা থেকে তাঁর ব্যাখ্যাও দিয়েছে। আমার মনে হয় এখন তার ক্রিকেট খেলাটা উচিত এবং সেই সাথে তাঁর পারিবারিক জীবনটাও উপভোগ করা উচিৎ।’

২০২০ সালে ক্ষোভের বশে অবসর নেওয়া আমির পাকিস্তানের হয়ে ৫০ টি টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন, শিকার করেন ৫৯ উইকেট। সবমিলিয়ে ১৯০ টি-টোয়েন্টিতে ২২.৫০ গড়ে ২২০ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাকিস্তানের হয়ে সপ্তম সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বোলার তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link