More

Social Media

Light
Dark

স্কটিশ ড্রেসিং রুমে কোহলিরা

সুপার টুয়েলভে ভারত, পাকিস্তান কিংবা নিউজিল্যান্ডের মত দলগুলোর সাথে খেলতে পেরে দারুণ উচ্ছ্বসিত স্কটল্যান্ড। বিশ্বের সেরা দলগুলোর সাথে এত বড় মঞ্চে খেলতে পারাটা তাঁদের ক্রিকেটের জন্য অনেক বড় পাওয়া। এই ম্যাচ গুলো থেকে অনেক কিছু শিখে যেতে চায় স্কটল্যান্ড দল। বিরাট কোহলি, কেইন উইলিয়ামসন কিংবা বাবর আজমদের পরামর্শও সাথে নিয়ে দেশে ফিরতে চেয়েছিল স্কটিশরা।

গতকাল ভারতের বিপক্ষে সুপার টুয়েলভের ম্যাচে মুখোমুখি হয় স্কটল্যান্ড। ম্যাচের আগেই স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক কাইল কোয়েটজার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন ম্যাচের পর স্কটিশ ড্রেসিং রুম অপেক্ষায় থাকবে বিরাট কোহলিদের। তিনি চেয়েছিলেন কোহলিরা যাতে তাঁর দলের ক্রিকেটারদের কিছু পরামর্শ দিয়ে যায়। কেননা বিশ্বকাপ ছাড়া স্কটল্যান্ডের জন্য এই সুযোগ গুলো পাওয়া বেশ কঠিন।

ম্যাচের আগে দেয়া সেই সাক্ষাৎকারে কোয়েটজার বলেছিলেন, ‘তাঁরা ক্রিকেটের বড় অ্যাম্বাসেডর। আমি চাই আমাদের ছেলেরা যেনো তাঁদের কোহলি, উইলিয়ামসন কিংবা রশিদ খানদের সাথে কথা বলতে পারে। এটাই শিখার সবচেয়ে ভালো উপায়। আগে হয়তো আমরা মাঠের বাইরেও অনেক জায়গায় দেখা করার কিংবা কথা বলার সুযোগ পেতাম। তবে কোভিডের কারণে এখন সে সুযোগ বেশ কমে এসেছে।’

ads

কোয়েটজারদের সেই আবদার রেখেছেন ভারতের ক্রিকেটাররা। মাঠের লড়াইয়ে দুই দল ছাড় না দিলেও ম্যাচের পর দেখা যায় ক্রিকেটের এই আসল সৌন্দর্য্য কিংবা সৌহার্দ্য। ম্যাচ জয়ের পর স্কটল্যান্ডের ড্রেসিং রুমে কথা বলতে যান বিরাট কোহলিরা। কোহলির সাথে সেই সময় রোহিত শর্মা, রবিচন্দন অশ্বিন কিংবা জাসপ্রিত বুমরাহ এর মত অভিজ্ঞ ও সেরা ক্রিকেটাররাও ছিলেন। স্কটিশদের ড্রেসিং রুমে ক্রিকেট নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলেন তাঁরা।

বিরাট কোহলির কথা গুলো যেনো অমৃত বাণীর মত শুনছিলেন স্কটিশ ক্রিকেটাররা। সবাই গোল হয়ে যেন হয়ে উঠেছিলেন মনোযোগী শ্রোতা। হবেনই বা না কেন, যিনি কথা বলছেন তিনি যে বিশ্বের সফলতম ব্যাটসম্যানদের একজন। পরে স্কটল্যান্ড ক্রিকেট টুইট করে কোহলি ও তাঁর দলকে সময় দেয়ার জন্য ধন্যবাদও জানায়।

ওদিকে এর আগে স্কটল্যান্ডের দেয়া ৮৬ রানের টার্গেট বেশ সহজের পাড় করেছে ভারত। লোকেশ রাহুলের ১৯ বলে ৫০ রানের ইনিংসে মাত্র  ৬.৩ ওভারেই জয় তুলে নেয় ভারত। আফগানিস্তানের থেকে নেট রান রেটে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এই ম্যাচ ৭.১ ওভারে জেতা প্রয়োজন ছিল ভারতের।

এই বিষয়ে ম্যাচের পর কোহলি বলেন, ‘আমরা ৮-১০ ওভারের মধ্যে জেতার পরিকল্পনা করেছিলাম। আমরা খুব বেশি আক্রমণাত্মক হতে চাইনি। কেননা তাতে উইকেট হারানোর সম্ভাবনা ছিল। আমরা জানতাম স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলতে পারলেই দ্রুত রান আসবে।’

এছাড়া স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বিধ্বংসী এক হাফ সেঞ্চুরি করা লোকেশ রাহুলও গিয়েছিলেন তাঁদের ড্রেসিং রুমে। সেখানে স্কটল্যান্ডের ক্রিকেটারদের সাথে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন তিনি। এছাড়া সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটে কীভাবে রান পাচ্ছেন এসব নিয়েও কথা বলেন রাহুল। সবমিলিয়ে ম্যাচের আগে কোয়েটজারের দল কোহলিদের কাছে যা চেয়েছিল তাই পেয়েছে। এখন শুধু পরামর্শ গুলোকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের আরো শক্তিশালী করে তোলার পালা।

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link