More

Social Media

Light
Dark

চার ওভার, চার মেইডেন!

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মাতামাতিটা সবসময়ই ব্যাটসম্যানদের নিয়ে একটু বেশি হয়ে। বোলারদেওর জন্য এখানে খুব দারুণ কিছু করে ফেলা কঠিন। কেননা ফরম্যাটটাই যে রানের। তবুও প্রায়ই বোলারদের কাছ থেকেও কিছু দারুণ প্রদর্শনী দেখা যায়। তবে এবার ভারতের এক বোলার যা দেখালেন সেটা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রীতিমত এক অবিশ্বাস্য ঘটনা।

সবার নজর এখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দিকে। তবে সেসব ফেলে নজর কেড়েছেন ভারতের বিধর্ভের এক বোলার। ভারতে চলছে সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফি। সেখানেই ইকোনমিক্যাল বোলিং করে নজর কেড়েছেন অক্ষয় কারনেওয়ার। মানিপুরের বিপক্ষে সোমবার এক ম্যাচে কোন রানই দেননি এই বোলার। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে চার ওভার বল করে চারটিই মেইডেন দিয়েছেন তিনি।

২৯ বছর বয়সী এই বোলার কোন রান না দিয়েই নিয়েছেন দুই উইকেট। এর আগে একমাত্র পাকিস্তানের মোহম্মদ ইরফানই চার ওভার বল করে চারটি মেইডেন দিয়েছিলেন। তাঁর এই বোলিং স্পেল দিয়ে মানিপুরকে বেশ ভালো ভাবেই আঁটকে রেখেছিল বিধর্ভ। এছাড়া টুর্নামেন্টেও অন্যদল গুলোর থেকে এগিয়ে আছে বিধর্ব।

ads

ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ২২২ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করেছিল তাঁরা। পরে অক্ষয়ের এই বোলিং এ ১৬৭ রানেই আঁটকে যায় মানিপুর। ফলে ৫৫ রানের বড় জয় পায় অক্ষয়ের দল। মুশতাক আলী ট্রফির এটিই দ্বিতীয় বড় জয়।

অবশ্য অক্ষয় এখানেই থামেননি। একদিন পরেই আবার মাঠে নেমে নতুন এক কীর্তি করেন তিনি। আজ সিক্কিমের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে বসেন তিনি। এই ম্যাচে মাত্র ৫ রান দিয়ে মোট ৪ উইকেট নেন তিনি। এখানেও ছিল একটি মেইডেন।

এই অসাধরণ কীর্তি পর এক সাক্ষাৎকারে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন। জানালেন এমন পারফরম্যান্স কখনো কল্পনাও করেননি। তিনি বলেন, ‘এটা আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না। চার ওভার বল করে একটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কোন রান না দেয়াটা দারুণ এক ব্যাপার। আমি খুবই আনন্দিত এমন বোলিং করতে পেরে।’

অক্ষয় কারনেওয়ার ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত মুখ। ২০১৬ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু তাঁকে ১০ লাখ রুপিতে কিনে নেয়। তবে, সেবার আইপিএল অভিষেকটা হয়নি তাঁর। ‍সুযোগ মিলেনি এর পরের কোনো বছরও।

তবে, এবার সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফির পারফরম্যান্স দিয়ে আবারো আলোচনায় আসলে। এবার নিলাম থেকে কোনো দল তাঁকে কিনে নিলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তাঁর একটি বিশেষত হল, দুই হাতেই স্পিন বোলিংয়ে পারদর্শী তিনি!

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link