More

Social Media

Light
Dark

বিশ্বমঞ্চের মূর্তিমান অগ্নিগোলক

দোরগোড়ায় আরেকটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ভারতের মাটিতে বাইশ গজের এ মহাযজ্ঞের শুরুর দিনক্ষণ প্রায় আসন্ন। ১৩ তম আসরে বিশ্বকাপের ইতিহাস লেখার পাতাগুলোও অপেক্ষা করছে নতুনদের ঠাই দিতে।

এর আগের আসর গুলোতে অনেকেই নাম লিখিয়েছেন অনন্য সব কীর্তিতে। কেউ ব্যাটিংয়ে, কেউ বা বোলিংয়ে। এখন পর্যন্ত ওয়ানডে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বার ৫ উইকেট পেয়েছেন কারা? চলুন দেখে নেওয়া যাক।

  • মিশেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া) 

২০১৫ আর ২০১৯, বিশ্বকাপে মাত্র দুটি আসর খেলেছেন। এতেই বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বার পাঁচ উইকেট শিকারের কীর্তিতে নাম লিখিয়েছেন অজি পেসার মিশেল স্টার্ক। দুই বিশ্বকাপে মোট তিনবার ফাইফারের দেখা পেয়েছেন এ পেসার।

ads

বিশ্বকাপে তাঁর সেরা বোলিং ফিগার ২৮ রানে ৬ উইকেট, এসেছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, ২০১৫ বিশ্বকাপে। কিন্তু বিশ্বকাপের মঞ্চে তাঁর প্রথমবার ফাইফার পাওয়ার দিনেও ম্যাচ হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া।

২০১৫ বিশ্বকাপের পর ২০১৯ বিশ্বকাপে আরো দুইবার পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন স্টার্ক। একবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, ট্রেন্টব্রিজে। আর তৃতীয় ফাইফারটি পেয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, ঐতিহাসিক লর্ডসে।

  • গ্যারি গিলমোর (অস্ট্রেলিয়া)

বিশ্বকাপের মঞ্চে মাত্র দুটি ম্যাচই খেলার সুযোগ পেয়েছেন গ্যারি গিলমোর। আর সেই দুই ম্যাচেই বাঁ-হাতি এ অজি পেসার পেয়েছেন ফাইফারের দেখা। ১৯৭৫ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হেডিংলিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একাই ৬ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন এ পেসার।

এরপরে লর্ডসের ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও পেয়েছিলেন ৫ উইকেট। কিন্তু সেদিন ক্যারিবিয়ানদের হারাতে পারেনি অজিরা। রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।

  • ভাসবার্ট ড্রেকস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) 

গ্যারি গিলমোরের মতো এক বিশ্বকাপ খেলে ২ বার ৫ উইকেট পেয়েছেন ক্যারিবিয়ান পেসার ভাসবার্ট ড্রেকসও।

২০০৩ বিশ্বকাপে কানাডার বিপক্ষে ৫ উইকেট পাওয়ার পর এক ম্যাচ বাদে কেনিয়ার বিপক্ষেও পেয়েছিলেন ৫ উইকেট। এই কেনিয়ার বিপক্ষেই তিনি ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছিলেন। ৩৩ রানে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট।

  • মুস্তাফিজুর রহমান (বাংলাদেশ) 

বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ফাইফারের রেকর্ডে আছেন একজন বাংলাদেশিও। সর্বশেষ বিশ্বকাপে মুস্তাফিজুর রহমান নিয়েছিলেন ২ বার পাঁচ উইকেট।

কিছুটা খরুচে বোলিং করলেও ভারত ও পাকিস্তান, দুই দেশের বিপক্ষেই পেয়েছিলেন ৫ উইকেট। যদিও মুস্তাফিজুর ঐ দুই ফাইফারে আদৌতে বাংলাদেশের কোনো উপকার হয়নি। দুই ম্যাচই হেরেছিল বাংলাদেশ।

  • আসান্থা ডি মেল (শ্রীলঙ্কা)

১৯৮৩ বিশ্বকাপটা শ্রীলঙ্কার জন্য মোটেই ভাল কোনো স্মৃতি নয়। কিন্তু পেসার আসান্থা ডি মেল স্বপ্নের মতোই একটা সময় কাটিয়েছিলেন সে আসরে।

হেডিংলিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ উইকেট নেওয়ার পরের ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পেয়েছিলেন আরো একটি ফাইফার। সব মিলিয়ে দুই বার পাঁচ উইকেট সহ সেবার ৯ ম্যাচে ১৮ টি উইকেট নিয়েছিলেন এ পেসার।

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link