More

Social Media

[ivory-search id="135666" title="Post Search"]
Light
Dark

সান্দ্রো টোলানি, মিলানের রত্ন

ব্রেসিয়া থেকে ২০২১ সালে লোনে আসার পর যে বিশাল সাড়া ফেলে দিল, দ্বিতীয় আন্দ্রে পিরলো চলে এল এমনটা কেউই বলেনি, আর বলবেও না। তবু এই ছেলেটা লাল-কালো জার্সি গায়ে চাপানোর পর থেকেই একটু একটু করে দেখা যাচ্ছে, যে স্টিফানো পিওলি একটি রত্ন আবিষ্কার করেছেন।

২০২১-২২ মৌসুমে যে গোটা ফুটবলটা এসি মিলান সিরি এ-তে খেলল, তার অর্ধেকটাই খেলা হয়েছে মূলত মাঝমাঠ ঘিরে।  পিওলির টিমের একটা গুণ, মাঝমাঠ খেলার সময় কখনও অনিয়ন্ত্রিতভাবে চলে না।

৪-২-৩-১ ছকের মধ্যে চারটে ব্যাকের মাঝে ডিফেন্সিভ ব্লকার হিসেবে আগের মৌসুমে ছিল ফ্র্যাঙ্ক কেসি, ৩ মিডের মাঝে ব্রাহিম ডিয়াজ, আর বাঁয়ে রাফা লিয়াও, ডানে মেসিয়াসের ঠিক মাঝে হয় ইব্রা নয় অলিভিয়ের জিরু। আর সব কিছুর মাঝে ঘুরে বেড়াচ্ছে একজন – ওই সান্দ্র টোনালি।

ads

খুবই প্রতিভাবান ছেলে – বলার অপেক্ষা রাখে না। কাজ প্রধানত অ্যাটাকিং থার্ডকে বল সাপ্লাই, অপোনেন্ট অ্যাটাকে এলে পিভট। কিন্তু এর মাঝেও থেকে যাচ্ছে ডিস্ট্রিবিউশন, সেটা কে করবে? টোনালি। কাউন্টার অ্যাটাকে টিম গেলে মাঝমাঠ থেকে সাপ্লাই লাইন কে ক্লিয়ার করবে? না, সেই টোনালি।

আর ড্রিবলিং – আহামরি নয়। কিন্তু প্রেসারে বল বের করাতে যে লেভেলে গিয়ে রোজ খেলে যাচ্ছে সেই আগের মৌসুম থেকে, তার কথা না বললেই নয়!

এবারেও, ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ম্যাচে রাফা লিয়াও-এর কার্ল শটের সাপ্লায়ার কে? টোনালি। টোনালির আরেকটা বড় গুণ যেটা লক্ষ্যণীয়, ডানদিক-বাঁদিকে অনায়াসে বিচরণ, ম্যান মার্ক করে ঠিক জায়গায় পৌঁছে গিয়ে বল কেড়ে নেওয়া। আর যেটা সেই পুরোনো দিনের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে, অন দ্য বল একটু স্পেস পেলেই তীব্র গতিতে ছুট – যেন সেই পুরনো রিকার্ডো কাকা! সে জার্সি নম্বর যাই হোক না কেন।

এবার লেফট মিড থেকে জিরুর রান অ্যান্টিসিপেট করে যে বলটা ও বাড়াল, ওহ! তেরা জিতনা তারিফ কারু ও ভি কাম হ্যায় বেটে।

মিলান অনেকদিন পর একটা ভাল সিডিএম পেয়েছে। একে লালন করুক, যত্নে বড় করে তুলুক। ইতোমধ্যেই যা ঝলক দেখাচ্ছে, ক্যারিয়ার ঠিকঠাক চললে সিরি এ-এর অন্যতম সেরা মিড হবে টোনালি। আর সেটাই চাই, মনে প্রাণে। টোনালি, জিতে রাহো বাচ্চে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link