More

Social Media

Light
Dark

অন্তিম ওভারের অনন্য উগান্ডা

বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচ, সামনে আফগানিস্তান। স্নায়ুচাপ থাকবেই। আর টি-টোয়েন্টি মানেই তো মোমেন্টামের খেলা। তাই তো প্রথমেই খেই হারায় উগান্ডা। যদিও, বোলারদের কল্যানে দারুণ ভাবে কামব্যাকও করে।  উদ্বোধনী জুটি দিয়েই যেখানে প্রথম ১৪ ওভারে আফগানদের রান ছিল বিনা উইকেটে ১৫২, সেখানে শেষ ছয় ওভারে তাঁরা তোলে মাত্র ৩১ রান। উইকেট হারায় পাঁচটা।

টি-টোয়েন্টি মানে যে স্নায়ু চাপ নিয়ন্ত্রনের খেলা তা একটু দেরীতে হলেও, ঠিকই বুঝেছে উগান্ডা। তাইতো প্রথম দিকে খেই হারিয়েও শেষের দিকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রন নিতে সক্ষম হয় উগান্ডার বোলাররা। বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করাতে থাকা উড়ন্ত আফগানিস্তানকে রুখে দেয় উগান্ডা।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথমবারের মত পা রাখে পূর্ব আফ্রিকার দেশ উগান্ডা।  টস তাঁদের ভাগ্যের সহায় হলেও, বোলিংয়ে প্রথম দিকে তাঁরা আফগান ব্যাটারদের বিপক্ষে কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেননি। বরং আফগান দু ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং ইব্রাহীম জাদরানের চার-ছক্কা সামাল দিতেই ব্যস্ত থাকতে হয় উগান্ডার বোলারদের।

ads

 

তবে, উগান্ডার হয়ে আসল কাজটা করে দেন উগান্ডার অধিনায়ক ব্রায়ান মাসাবা। তিনি ভেঙে দেন গুরবাজ-ইব্রাহীম জুটি। তিনি শিকার করেন ইব্রাহীম জাদরানের উইকেট। তারপর থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করে উগান্ডা। একে একে উইকেট হারাতে থাকে আফগানিস্তান। রানের চাকা ধীর হতে শুরু করে তাঁদের।

ডান হাতি পেসার কসমাস কেউটাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন সেখানে। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে খরচ করেন মাত্র ২৫ রান। সেই সাথে তুলে নেন দুইটি উইকেট যেখানে তাঁর ইকোনমি রেট ছিল ৬.২৫। শেষ ওভারে তিনি খরচ করেন মাত্র ৮ রান, যেখানে ছিল না কোনো চার কিংবা ছক্কা। আর তাতেই ১৮৩ রানে গিয়ে ঠেকে আফগানিস্তানের ইনিংস।

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ, তাই মানিয়ে নিতে একটু সময় নিয়েছে উগান্ডা। তবে, এই দেখাই তো শেষ দেখা নয়। হোঁচট খাওয়া থেকে যদি দারুণ কিছু হয়, তাহলে হোঁচট খাওয়াই শ্রেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link