More

Social Media

Light
Dark

অচেনা যে আশরাফুল!

মোহাম্মদ আশরাফুল ব্যাট হাতে বাইশ গজের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। নিজের গার্ডটা ঠিক করে নিচ্ছেন। একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য সবচেয়ে কাঙ্খিত মুহূর্ত এটিই। দেশের ক্রিকেটে আনন্দ বলতে শুধু আশরাফুলের চোখ জুড়ানো কয়েকটি শট। দেশের ক্রিকেট বাগানে প্রথম পরিপূর্ণ হয়ে ফোঁটা এক ফুল।

বাংলাদেশ তখনো ক্রিকেট বিশ্বে বড় দল হয়ে উঠেনি। এমনকি ওয়ানডেতেও না। তবুও অসংখ্য মানুষ টিভি সেটের সামনে বসে পড়তেন। কে কেন বসতেন তাঁর হয়তো ভিন্ন ভিন্ন কারণ থাকতে পারে। তবে সেই সময় দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে আইকনিক দৃশ্য যে আশরাফুলের মাঠে নামা ছিল সেটা নি:সন্দেহেই বলা যায়।

বাংলাদেশের হয়ে মোহাম্মদ আশরাফুলের এখন আর মাঠে নামা হয়না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আশরাফুল নামটা নেই তা প্রায় এক দশক হতে চললো। তাঁর মাঠে নামা নিয়ে তাই এখন আর আগের সেই উন্মাদনাও নেই। তবুও দেশের অনেক ক্রিকেট ভক্ত আশরাফুলকে মাঠে দেখতে চান। অনেকে তো পুরনো সেই দিনের কথা মনে করে আবেগী হয়ে উঠেন। তাঁদের অনেকে আবার আশরাফুলকে জাতীয় দলেও দেখতে চান।

ads

জাতীয় দলে না হলেও আশরাফুল এখনো মাঠে নামেন। এবারের জাতীয় ক্রিকেট লিগে বরিশালের হয়ে নিয়মিতই ওপেন করছেন আশরাফুল। তবে ব্যাটে দেখা যাচ্ছেনা আগের সেই ধার। নিজেদের প্রথম ম্যাচে রাজশাহীর বিপক্ষে যথাক্রমে করেছিলেন ১ ও ৪ রান।

এরপর আশরাফুলরা খেলতে গিয়েছেন কক্সবাজারে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে। এখানেও অবশ্য প্রথম ইনিংসে ভালো কিছু করতে পারেননি আশরাফুল। এবারো ওপেন করতে নেমে সাঝঘরে ফিরেছিলেন মাত্র দুই রান করে।

তবে খুলনার বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে নিজের চেনা ছন্দটা খানিকটা হলেও ফিরে পেয়েছেন এই ব্যাটার। কক্সবাজারে একেবারে টেস্ট সূলভ ইনিংসই খেলেছেন আশরাফুল। ওপেন করতে নামা অ্যাশের ব্যাট থেকে এসেছে ৫৫ রান। এই রান করতে ব্যাটিং করেছেন ২০৬ বল।

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে অপরাজিতই ছিলেন আশরাফুল। আশরাফুলের এমন ব্যাটিংয়ে তাঁর দলও বিশাল লিডের পথে। দিনশেষে খুলনার থেকে বরিশাল এগিয়ে আছে ২৩০ রানে। বরিশালের সংগ্রহ আরো বাড়ানোর পাশাপাশি আগামীকাল সুযোগ থাকবে আশরাফুলের একটা সেঞ্চুরি করারও।

জাতীয় দলের হয়ে না হোক, ঘরোয়া ক্রিকেটে হলে আশরাফুলের এমন ব্যাটিং দর্শকদের মনে আনন্দ জোগাবে নিশ্চয়ই। আর আগামীকাল যদি নিজের এই ইনিংসকে আশরাফুল সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারেন তাহলে তো সোনায় সোহাগা।

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link