ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক বরাবরই তো দা-কুমড়ার। গণমাধ্যমেও সেই রেষারেষি আছে। অথচ, একটা ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তান – দু’টি দেশেরই গণমাধ্যম একমত হয়েছিল যে – বিচ্ছেদ হতে চলেছে শোয়েব মালিক ও সানিয়া মির্জার।
যদিও, চলমান বিচ্ছেদের ইস্যুতে নতুন মোড়। নতুন প্রকাশিত খবর আগের খবরগুলোর উত্তাপে রীতিমত পানিই ঢেলে দিল। ‘দ্য মির্জা অ্যান্ড মালিক শো’র দ্বিতীয় মৌসুম নিয়ে আসছেন এই দম্পতি। প্রচারিত হবে উর্দুফ্লিক্সে। এই খবর সামনে আসার পরই বাতাসে চাউর হল একটা প্রশ্ন – তাহলে কি বিচ্ছেদের খবরটা স্রেফ মার্কেটিং স্টান্ট ছিল?
এর স্বপক্ষে আবার ওজন বাড়াচ্ছে স্বয়ং শোয়েব মালিকের বক্তব্য। একটু দেরিতে হলেও মুখ খুলেছেন তিনি। তিনি শুধু এটুকু বলেছেন, ‘ইগনোর দেম।’ মানে পরিস্কার – বিচ্ছেদের খবরটাকে গুজব বলেই রায় দিলেন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক।
তবে, এর বিপরীত মুখেও তথ্য আছে বিস্তর। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ও বিশেষ করে শো-এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হলেই বিচ্ছেদের খবর এখন স্বীকার করছেন না এই দুই তারকা। আর, তাদের সন্তানের দেখা শোনা দু’জন মিলেই করবেন। ফলে, খবরটাকে আপাতত ধামাচাপা দেওয়া তাঁদের জন্য কঠিন হবে না।
১২ বছরের বৈবাহিক জীবনের ইতি ঘটাতে এরই মধ্যে ডিভোর্স কেস ফাইল করেছেন এই তারকা দম্পতি। সব রকমের পেপার ওয়ার্ক হয়ে গিয়েছে, এখন কেবল কিছু ফর্মালিটিজ বাকি। আইনী জটিলতা বাকি আছে এখনও।
২০১০ সালে এই জুটি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০১৮ সালে তাঁদের একমাত্র সন্তানের জন্ম হয়। দুবাইয়ে বিলাসবহুল এক বাড়িতে তাঁদের সংসার।
দু’জনের একমাত্র সন্তান ইজহান মির্জা মালিককে নিয়ে দুবাইয়ে আছেন ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া। আর মালিক আছেন পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনি এ স্পোর্টসের বিশেষজ্ঞ প্যানেলে আছেন।
‘দ্য মির্জা অ্যান্ড মালিক শো’র প্রথম শো প্রচারিত হয় গেল বছর। এবার আসছে এর দ্বিতীয় মৌসুম। এবার তাঁদের বিচ্ছেদ হোক বা না হোক – তাঁদের শো সুপার-ডুপার হিটই হতে চলেছে সম্ভবত।
