More

Social Media

Light
Dark

তামিম ইকবাল, ডেডলাইন বিপিএল

ডামাডোল বেজে গিয়েছে। সপ্তাহখানেক বাদেই মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। দশম আসর নিয়ে আয়োজক কমিটির রয়েছে নানামুখী পরিকল্পনা। তবে সবকিছুর উর্ধ্বে খেলোয়াড়দের পারফরম করাটা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। বেশ কিছু তারকা ক্রিকেটারদের দিকে থাকবে নজর, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

তামিম ইকবাল খান তাদেরই একজন। বিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহাক তিনি। শুধু যে সে কারণেই তিনি নজরে থাকবেন তা নয়।  তিনি যে ফুরিয়ে যাননি সে প্রমাণ রাখতে হবে তামিমকে। সমসাময়িক বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রেক্ষাপটে যা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

একটু পেছনে ফেরা যাক। ২০২৩ সালের জুন মাসে হঠাৎ করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। নানা ঘটনা প্রবাহের পর তিনি ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। তবে ততদিনেও মাঠের ক্রিকেটে ফেরেননি তামিম। কারণটা ছিল তার পিঠের ইনজুরি। সেই ইনজুরি নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি।

ads

তামিম অবশ্য বলেছিলেন বিপিএলের নবম আসরে সেই ইনজুরি নিয়ে খেলেছিলেন তিনি। তবে সেটা বেশ স্তিমিত আকারেই ছিল তখন। তবে সময়ের সাথে সাথে বেড়েছে ব্যথা। সেই সাথে ঘনিভূত হয়েছ অন্দরমহলের কোলাহল। সেসবের কারণেই প্রায় সাত মাসের মত ক্রিকেট মাঠের বাইরে ছিলেন তামিম।

এবার তবে ফিরছেন তিনি। দীর্ঘ অপেক্ষা প্রহর শেষে বিপিএলের দশম আসর দিয়েই মাঠে ফিরবেন চট্টগ্রামের ছেলে তামিম। তবে এবার তিনি মাঠে নামছেন ভিন্ন ফ্রাঞ্চাইজির হয়ে। গেল আসরে খুলনা টাইগার্সের হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন তামিম। এবার তিনি রয়েছেন ভিন্ন শিবিরে। ফরচুন বরিশালের লাল রঙা জার্সি গায়ে মাঠ মাতাবেন তামিম।

বিপিএলের ইতিহাসে অন্যতম সফল ব্যাটার নিঃসন্দেহে বলা যায় তাকে। বা-হাতি এই ওপেনার নবম আসর অবধি ২৯৩০ রান করেছেন। দ্বিতীয় স্থানে ২৮৮২ রান নিয়ে অবস্থান করছেন মুশফিকুর রহিম। ৩৮ গড়ে তামিম রান করে গেছেন বিপিএলে। স্ট্রাইকরেটও মন্দ নয় তার। ১২২ এর বেশি স্ট্রাইকরেটে ব্যাট চালিয়েছেন বা-হাতি এই ওপেনার।

২৫টি অর্ধশতক ছাড়াও ২টি সেঞ্চুরি রয়েছে তার, ঘরোয়া ক্রিকেটের জমকালো আয়োজনে। অপরাজিত ১৪১ রানের এক অনবদ্য ইনিংসও খেলেছেন তামিম ইকবাল খান। তাইতো তাকে ঘিরে বাড়তি উন্মাদনা সৃষ্টি হওয়া বেশ স্বাভাবিক।

তাছাড়া লম্বা একটা বিরতির পর ফিরছেন তামিম ইকবাল। নিজের ভেতর থাকা সক্ষমতা ফুরিয়ে যে যায়নি তা প্রমাণের চ্যালেঞ্জও রয়েছে তামিমের সামনে। যদিও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তিনি এখন আর বিবেচিত হন না। ২০২২ সালে ঘোষণা দিয়েই তিনি ছেড়েছেন ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাট।

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাই তামিম জাতীয় দলে সুযোগ পাবেন না সেটা প্রায় নিশ্চিত। তবুও তামিমকে ঘিরে থাকবে বহুল প্রত্যাশা। বাংলাদেশের রঙিন পোশাকটা যে তুলে রাখেননি তিনি। টেস্ট ক্রিকেটকেও বিদায় জানাননি। চলমান বছরে যে বাংলাদেশের বেশ ব্যস্ত সূচি। তামিমকে তাই ওপেনিংয়ে আবারও দেখতে মুখিয়ে আছে কয়েক কোটি সমর্থক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link