More

Social Media

Light
Dark

‘ফিফটি’ শেডস অফ তামিম!

নিউজিল্যান্ডের সাথে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তামিম ইকবাল করেছেন ৭৮ রান। মুশফিকের সাথে ভুল বোঝাবুঝিতে প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ার আগে তামিমের ১০৮ বলে করা ৭৮ রানের এই ইনিংসটাই অন্য একটা রেকর্ড এনে দিয়েছে তাকে। এটি যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর পঞ্চাশতম পঞ্চাশ!

পঞ্চাশের পঞ্চাশের ইনিংস খেলার পথে তামিম চার মেরেছেন মোট ১১ টি। জাতীয় দলের অধিনায়ক হবার সুবাদে এখন তাঁর ওপর চাপ একটু বেশিই। তবে তামিমকে নিয়ে যে কারনে সমালোচনা সেটা অবশ্য এখনও জারি রেখেছেন তিনি, নিজের ধীর স্ট্রাইক রেটের এখনও কোন ফয়সালা করতে পারেননি তিনি। তবুও, নিউজিল্যান্ডের মত কন্ডিশনে উপমহাদেশের কোন ওপেনার ফিফটি করেছেন এটাও বা কম কি!

ads

ক্রাইস্টচার্চে আজ সকালেই তামিম ছুঁয়েছেন পঞ্চাশের পঞ্চাশ। ওয়ানডে ইতিহাসে মাত্র সাতজন ওপেনারের আছে এই বিরল কীর্তি। শচীন টেন্ডুলকার, সনাথ জয়াসুরিয়া, সৌরভ গাঙ্গুলি, ডেসমন্ড হেইন্স, ক্রিস গেইল আর অ্যাডাম গিলক্রিস্টের পর মাত্র সপ্তম ওপেনার হিসেবে ওয়ানডেতে ক্রিকেটে পঞ্চাশটি হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন তামিম। তবে ওপেনার ছাড়া যেকোন ধরণের পজিশনে ওয়ানডেতে এই কীর্তি করেছেন তামিমসহ মোট ২৮ জন ব্যাটসম্যান।

তামিম সবচাইতে বেশি ফিফটি করেছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।  নিজের ৫০ হাফ-সেঞ্চুরির ৯টিই তিনি করেছেন এদের বিপক্ষে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮টা ফিফটি তিনি করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এছাড়া সর্বনিম্ন একটা করে ফিফটি তিনি করেছেন স্কটল্যান্ড আর আফগানিস্তানের বিপক্ষে। তবে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে ইংল্যান্ডের সাথে এখন অব্দি কোন ফিফটি নেই তামিমের। নাহ, ভুল ভাববেন না। মূলত ইংল্যান্ডের সাথে করা সব ফিফটিকেই তিনি একশোতে রূপ দিয়েছেন।

তবে পঞ্চাশের পঞ্চাশের জায়গা নির্বাচন করলে তামিমের সবচাইতে পছন্দের জায়গা অনুমিতভাবেই বাংলাদেশ। নিজের পঞ্চাশ হাফ-সেঞ্চুরির অর্ধেক ২৫টাই তিনি করেছেন ঘরের মাঠে। তবে তালিকার দ্বিতীয় দেশটা দেখলে অবশ্য একটু ভিরমি খেতে হয়, হাফ-সেঞ্চুরি করার জন্যে তামিমের দ্বিতীয় পছন্দের দেশ নিউজিল্যান্ড। সেখানে তিনি মোট ৫টা হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন। অবশ্য সমান ৫টা হাফ-সেঞ্চুরি তিনি আয়ারল্যান্ডের সাথেও করেছেন।

পঞ্চাশ করার জন্যে সবচাইতে পছন্দের স্টেডিয়ামের তালিকা করলে সেখানে অনুমিতভাবেই থাকবে শের-ই-বাংলা ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নাম। মিরপুরের এই মাঠেই তিনি করেছেন ৫০ হাফ-সেঞ্চুরির ১৮ টাই। তবে দেশের বাইরে তামিম সবচাইতে বেশি হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন আয়ারল্যান্ডের ক্যাসল এভ্যিনিউ আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কুইন্স পার্ক ওভালে। এই দুটি ভেন্যুতে সমান ৩ টা করে হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন তিনি।

তবে বছরভেদে হাফ-সেঞ্চুরির জন্যে তামিমের সবচাইতে পয়া বছর ছিল ২০১৮। সেবছর তিনি ১২ ম্যাচ খেলে ৬টাতেই হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন। তবে সিরিজ/টুর্নামেন্ট ভেদে তামিম এক সিরিজ/টুর্নামেন্টে সবচাইতে বেশি হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০১২ এর এশিয়া কাপে। সেবার চার ম্যাচে টানা চারটি হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।

তামিম যদি নিজের হাফ-সেঞ্চুরির কার্যকারীতাও ভাবতে বসেন সেখানে তিনি খুঁজে পাবেন, নিজের করা ৫০ হাফ-সেঞ্চুরির মধ্যে মাত্র ২৯ হাফ-সেঞ্চুরির ম্যাচে তিনি জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছিলেন।

আরেকটা তথ্য দিয়ে শেষ করা যাক, অধিনায়ক হিসেবে এটা তামিমের তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি। আগের দুটো হাফ-সেঞ্চুরিতে তিনি মাঠ ছেড়েছিলেন জয় নিয়ে। এবার কি করবেন সেটা অবশ্য সময়ই বলে দেবে!

লেখক পরিচিতি

আদ্যোপান্ত স্টোরিটেলার!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link