More

Social Media

Light
Dark

বন্দুকের মুখে স্টুয়ার্ট ম্যাকগিলকে অপহরণ!

ঘটনাটা এতটা গুরুতর, অথচ সেটা জনসম্মুখে আসলো ঘটে যাওয়ার সপ্তাহ তিনেক পর। ব্যাপার হল, অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তিতুল্য লেগ স্পিনার স্টুয়ার্ট ম্যাকগিলকে অপহরণ করা হয়েছিল গত ১৪ এপ্রিল। অস্ট্রেলিয়ান গণমাধ্যম দ্য অস্ট্রেলিয়ান জানিয়েছে, তাকে সিডনি শহরের অন্য একটা প্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়, এরপর ঘণ্টাখানেক পর ছেড়ে দেওয়া হয়।

ছাড়া পেলেও ম্যাকগিল শুরুতে পুলিশের কাছে এই ব্যাপারে কিছুই জানাননি। এরপর গত ২০ এপ্রিল তিনি স্থানীয় পুলিশকে এই ব্যাপারে অবগত করে জানান তিনি প্রচণ্ড ভয় আর হুমকির মধ্যে জীবন কাটাচ্ছেন।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইল জানিয়েছে, মুক্তিপনের জন্যই ম্যাকগিলকে অপহরণ করা হয়। গত বুধবার পুলিশ এই অপহরণের সাথে জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর বলছে, তাঁকে এক অজানা ব্যক্তি আচমকা আক্রমণ করে।

ads

সেখানে অপহরণকারীর সাথে আরো দু’জন যোগ দেয়। তিনজন মিলে জোর করে ম্যাকগিলকে গাড়িতে ওঠায়। অপহরণ করে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে সিডনি শহরের উত্তর প্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয় ম্যাকগিলকে। তখন ঘড়িতে রাত আটটা বাজে।

নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ এই ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেছে, ‘গত ১৪ এপ্রিল রাত আটটায় (ক্রেমোর্নের উইনি স্ট্রিটে) ৫০ বছর বয়সী এক ভদ্রলোকের সাথে ৪৬ বছর বয়সী একজনের সংঘর্ষ হয়। এরপর আরো দু’জন যুক্ত হয়। তিনজন মিলে ৫০ বছর বয়সী ওই ভদ্রলোককে গাড়িতে তুলেন। গাড়ি চলে যায় ব্রিঞ্জেলিতে। অভিযোগ আছে ওই ৫০ বছর বছর বয়সী ভদ্রলোককে বন্দুকের মুখে অপরহরণ করা হয়। এর এক ঘণ্টা পর অপহৃত ব্যক্তিতে বেলমোরে নিয়ে এসে ছেড়ে দেওয়া হয়।’

মূলত মুক্তিপন আদায়ের জন্যই ম্যাকগিলকে অপহরণ করা হয় বলে অনুমান করছে পুলিশ। তবে, কোনো আর্থিক লেনদেন হয়নি তাঁদের মধ্যে। জড়িত সন্দেহে যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের বয়স যথাক্রমে – ২৭, ২৯, ৪২ ও ৪৬। তাঁদের অপহরণের দায়ে আদালতে হাজির করা হবে। তিনজনকেই ম্যাকগিলের সিডনির বাড়ির কাছ থেকেই গ্রেফতার করা হয়।

মূল যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি হলেন ম্যারিনো সোট্রিওপোলোস (৪৬)। তিনি হলেন সাম্প্রতিক সময়ে ম্যাকগিলের সঙ্গী মারিয়া ও’মিয়াগেরের ভাই।

ম্যাকগিল অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৪৪ টি টেস্ট খেলেছেন। পেয়েছেন ২০৮ টি উইকেট। স্পিনার হিসেবে তিনি ছিলেন শীর্ষ পর্যায়ের। তবে, শেন ওয়ার্ন থাকায় বেশির ভাগ সময় তিনি একাদশে সুযোগই পেতেন না। তাই, ক্যারিয়ারটা অনেক বেশি বড় হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link