More

Social Media

Light
Dark

চট্টগ্রামের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় শীর্ষে সিলেট

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের আর হারাবার কিছুই নেই। এখান থেকে পেছনের যাওয়ার আর কোন রাস্তা নেই। যেটুকু পথ সামনে যাওয়া যায়, সেটুকু নিশ্চয়ই যেতে চাইবে গোটা চট্টগ্রাম দল। তবে তেমনটা আর হতে দেয়নি সিলেট স্ট্রাইকার্স। ঘরের দর্শকদের আনন্দের বন্যায় ভাসিয়ে নিজেদের সপ্তম জয় তুলে নেয় মাশরাফি বিন মর্তুজার দল।

সিলেটে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স। ঘরের দলটির ঘরের মাঠে হেরেছে ভীষণ বাজেভাবে। অন্যদিকে চট্টগ্রামের কপালেও জুটেছিল একই ফলাফল। দুই দলই তাই একটি জয়ের আশায় নেমেছিল মাঠে। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক শুভাগত হোম টসে জিতে ব্যাটিং করবার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে সে সিদ্ধান্ত খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি দলটির জন্যে।

শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় চট্টগ্রাম। সে পরিস্থিতি সামাল দেন মেহেদি মারুফ ও আফিফ হোসেন। ৮৮ রানের জুটি গড়েন দুই জনে মিলে। এই জুটিতে ভর করেই প্রাথমিক ধাক্কাটা পেরিয়ে যায় চট্টগ্রাম। মারুফের ব্যাট থেকে আসে ৫২ রান। এর আগে ৩৪ রানে আউট হয়ে যান আফিফ হোসেন। সঙ্গী চলে যাওয়ার পর বেশিক্ষণ অপেক্ষা করেননি মারুফ। তিনিও দলীয় ৯০ রানে হাটা ধরেন প্যাভিলনের উদ্দেশ্যে।

ads

বেশ লম্বা সময় ধরে ব্যাট করা এই জুটির প্রস্থানে খানিকটা বিপাকে পড়ে যায় চট্টগ্রামের ব্যাটিং অর্ডার। মুহূর্তের মধ্যেই ৯৭ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় চ্যালেঞ্জার্সরা। কিন্তু সেখান থেকে দলকে একা হাতে টেনে নিয়ে ১৭৪ অবধি পৌঁছে দেন অধিনায়ক শুভাগত হোম। তিনিই প্রমাণ করেন আগে ব্যাটিং করবার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল না।

তাঁর দ্রুতগতিতে করা ৫৪ রানের বদৌলতে দারুণ সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। ১৭৫ রানের লক্ষ্য খুব একটা সহজ নয়। তবে সেই লক্ষ্যকেই সহজ বানিয়ে ফেলেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের ব্যাটাররা। শুরুটা করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ওপেনিংয়ে তৌহিদ হৃদয়কে একপ্রান্তে দাঁড় করিয়ে রেখে ঝড়ে বেগে রান তুলতে থাকেন শান্ত। ১৫ রানে হৃদয় আউট হলেও থামেনি শান্তর অশান্ত ব্যাট। বরং অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম দ্রুত রান তোলার মিছিলে নিজেকে সামিল করেন।

শান্ত একটা পর্যায়ে এবারের বিপিএলে নিজের ব্যক্তিগত তৃতীয় অর্ধশতকের দেখা পেয়ে যায়। তাছাড়া টূর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও বনে যান তিনি। ৬০ রানে শান্ত প্যাভিলনের পথ ধরেন। তবে তাঁর ছড়িয়ে যাওয়া আগ্রাসী মনোভাব যেন দমে না গিয়ে বরং বেড়ে যায় কয়েকগুণ। জিম্বাবুয়ের অলরাউন্ডার রায়ান বার্লও নিজের হাত খুলেই ব্যাটিংটা উপভোগ করতে শুরু করেন।

১৬ বলে ৪১ রানের তাণ্ডব চালিয়ে থেমে যান রায়ান বার্ল। তবে আরেকপ্রান্তে থাকা ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ মুশফিকুর রহিম ম্যাচটি শেষ করেই ফেরেন। দলগত দুর্দান্ত পারফরমেন্সের দিনে সিলেট ম্যাচ জিতে নেয় সাত উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। এই জয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করে নেয় সিলেট। যদিও ফরচুন বরিশাল এক ম্যাচ কম খেলে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link