More

Social Media

Light
Dark

কোয়ারেন্টাইন সময়কাল নিয়ে জটিলতা: ধোয়াশায় শ্রীলঙ্কা সফর

বড় ঝামেলায় আছে ক্রিকেট শ্রীলঙ্কা (এসএলসি)। সঙ্কটে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)।

প্রথম দফা সাত দিনের যে কোয়ারেন্টাইনের প্রস্তাব বিসিবিকে দেয়া হয়েছিল, সেটা নিয়ে জট লেগেছে। দফায় দফায় সেটা বেড়ে একবার বিসিবিকে নাকি তিন সপ্তাহের একটা কোয়ারেন্টাইনের প্রস্তাব দিয়েছিল। বাংলাদেশের তো চোখ ছানাবড়া। তাঁরা হিসাব নিকাশ করে অবাক।

তিন সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইন মানে ২৭ সেপ্টেম্বর লঙ্কায় রওনা দিলে, ১৮ কি ১৯ তারিখ আইসোলেশন শেষ হবে তামিমদের। যার মানে দাঁড়াচ্ছে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগটাই থাকছে না! প্রথম টেস্ট এখনো পর্যন্ত ২৩ অক্টোবর বলে জানা। সে হিসেবে এইচপি দল নিয়ে লটবহর সহ লঙ্কায় পৌঁছালেও হোটেলে বসে সময় কাটাতে হবে মুশফিকদের।

ads

কী মুশকিল!

জানা গেল, এরপর এসেছে দু’সপ্তাহের প্রস্তাব। সেটাও লঙ্কা বোর্ড খুব ইচ্ছে করে চাপিয়ে দিয়েছে এমনও নয়। তাদের দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিদেশ থেকে যেই আসুক, সেখানে ১৪ দিনের নিচে কোয়ারেন্টাইন না রাখার ব্যাপারে অনড়। সে হিসেবে একটা থেকে দুটি তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা থাকবে বাংলাদেশের।

হয়তো টেনেটুনে শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের সঙ্গে প্রস্তাবিত অনুশীলন ম্যাচটাও হয়ে যেতে পারে। কিন্তু সঙ্কটের শেষ সেখানেই নয়। ১৪ দিনের আলাদা থাকার নিয়ম মানে একদমই আলাদা। হোটেলের বাইরে যাওয়া যাবে না!

এদিকে বিসিবি’র তো হতদ্যোম অবস্থা!পাল্টা প্রস্তাব, হোটেলে ১৪দিন থাকা যাবে। কিন্তু সঙ্গে অনুশীলন সুবিধা ও ম্যাচ খেলার বাধ্যবধকতা রাখার ব্যাপারে এবার অনড় বিসিবি। ঘোর সঙ্কটে থাকা লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড তাই সিরিজের আইটেনারি পাঠায় না।

জৈব বলয়ের পরিকল্পনাও তাদের বোর্ড কর্তাদের টেবিলে চালাচালি চলছে। সেটা ইলেক্ট্রিক মেইলে হয়ে আর বিসিবি পর্যন্ত আসছে না!

এখন বাংলাদেশের কোন নম্বর মানেই লঙ্কার বোর্ড কর্তাদের ফোন ধরা বারন। তাই জানা কঠিন হয়ে গেল, আদতে হচ্ছে কী!

সন্ধ্যা পর্যন্ত যতটুকু খবর তাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে কোয়ারেন্টাইন সাত দিনে নামানোর অনুরোধ জানিয়েছে এসএলসি।

বলা মুশকিল এ সিরিজের ভাগ্যে আর কি আছে! বড় অপেক্ষায় ছিলাম যে, বাংলাদেশ ক্রিকেটে ফিরছে। হ্যাঁ, শ্রীলঙ্কার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রস্তাবনার ব্যাপারটি পছন্দ হচ্ছে না মোটেও। কিন্তু তাদের যুক্তিগুলো অন্য প্রান্তে প্রখর।

ইংল্যান্ডে যে তিন ভেন্যুতে খেলা হচ্ছে সেখানে হোটেল সংলগ্ন মাঠ। সেখানে কলম্বোতে মাঠ ও হোটেলের সর্বনিম্ন পার্থক্য কয়েক কিলোমিটার। জৈব বলয় বলে বস্তুটা তাই কাজে না লাগার শঙ্কাটা ভালই আছে তাদের। আর ক্যান্ডিতে যদি প্রথম দু টেস্ট হয় তবে তো কথাই নেই।

পালেকেল্লে থেকে ক্যান্ডির মূল শহরের হোটেলের দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। অন্তত আমার অভিজ্ঞতা তাই বলে। এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যদি সাতদিনের আলাদা থাকার ব্যাপারটি মেনে নেয়, তাহলে হয়ত সব মুশকিল শুরুর আগে শেষ হয়ে যাবে। নাহলে বিপদ!

নাহ, খারাপ ভাবতে ইচ্ছে করছে না! বহুদিন বাংলাদেশের খেলা দেখি না। তামিম-মুশফিকদের ব্যাটিং দেখি না। সব সঙ্কট দূর হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link