More

Social Media

Light
Dark

ধর্ষণের অভিযোগ: নিষিদ্ধ সন্দীপ লামিছানে

নেপাল ক্রিকেটের নীল আর্মস্ট্রং তিনি। ক্রিকেট দুনিয়ার কাছে নেপালের যা একটু নাম ডাক তাঁর পুরোটাই তাঁর জন্য। কিন্তু, সেই সন্দীপ লামিছানে এবার নিজের সাথে সাথে নিজের দেশের ক্রিকেটকেও কলঙ্কে ডোবালেন। আর অভিযোগটা খুবই গুরুতর, এর জন্য ফৌজদারী সাজাও পেতে পারেন তিনি। অপ্রাপ্তবয়স্ক এক নারীকে ধর্ষণ করেছেন নেপালের জাতীয় ক্রিকেট দলের এই অধিনায়ক, অভিযোগ এমনই।

ঘটনা গত ২১ আগস্টের। এক অপ্রাপ্তবয়স্ক নারীকে নিজের হোটেল রুমে এনে দু’বার ধর্ষণ করেন লামিছানে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে এমন অভিযোগ করেছে মেয়েটির বাবা-মা। এরপরদিনই দল নিয়ে কেনিয়া সফরে যান লামিছানে। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। বিভিন্ন রকম তথ্য সংগ্রহ করছে। হোটেলের টিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখছে।

সন্দীপ লামিছানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। কাঠমান্ডু জেলা আদালত বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে। জ্যামাইকা তালাওয়াসের হয়ে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) খেলতে তিনি ব্যস্ত ছিলেন। তবে, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির ফলে, তালাওয়াস দল তাঁকে ছেড়ে দিয়েছে। এখন দেশে ঢোকা মাত্রই লামিছানেকে গ্রেফতার করা হবে।

ads

লামিছানে অবশ্য অভিযোগ একেবারে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি এক ইন্সটাগ্রাম পোস্টে বলেন, ‘আমি নির্দোষ এবং নেপালের আইনের ওপর আমার পুরো বিশ্বাস আছে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি সিপিএল থেকে বেরিয়ে যাব ও কয়েকদিনের মধ্যে নেপাল চলে যাব। আমি সব ভিত্তিহীন অভিযোগের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। আশা করি নির্দোষের প্রতি বিচার হবে এবং সঠিক তদন্ত হবে। আশা করব আইন সবার জন্য সমান হবে।’

নেপাল ক্রিকেট বোর্ড এই ব্যাপারে এখন অবধি কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি।  তবে, আদালতের কাজে তাঁরা কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। এরই মধ্যে লামিছানেকে তাঁরা অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে বোর্ডের পক্ষ থেকে।

জানিয়ে রাখা ভাল, নেপাল ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় মুখ লামিছানে। তিনি একমাত্র নেপালি ক্রিকেটার হিসেবে খেলেছেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল)। কয়েকটা মৌসুম বেশ সফলতার সাথেই তিনি কাটান দিল্লী ক্যাপিটালসে। এছাড়া পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল), বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ও বিগ ব্যাশের মত আসরগুলোতেও নিয়মিত খেলেন এই লেগ স্পিনার।

২০২১ সালে নেপালের জাতীয় দলের অধিনায়ক জ্ঞানেন্দ্র মাল্লাকে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়। সেই জায়গায় দলের অধিনায়ক করা হয় লামিছানেকে। এবার তাঁর বিরুদ্ধে উঠলো আরও বড় ধরণের অভিযোগ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link