More

Social Media

Light
Dark

বিস্ময়কর রিশাদ ঝড়ে অধিনায়ক শান্তর প্রথম সিরিজ জয়

পূর্ণমেয়াদে অধিনায়ক হওয়ার পর প্রথম সিরিজ জয় নাজমুল হোসেন শান্তর। বোলারদের দারুণ বোলিংয়ের পর তানজিদ হাসান তামিমের অনবদ্য ব্যাটিং আর রিশাদ হোসেনের ক্যামিওতে শ্রীলঙ্কাকে চার উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্য দিয়ে ওয়ানডে সিরিজ নিজেদের করে নেয়ার পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের প্রতিশোধ নিলো লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই তাসকিন আহমেদের তোপের মুখে পড়ে শ্রীলঙ্কা। ইনফর্ম পাথুম নিশাঙ্কা ফিরে যান তাসকিনের প্রথম ওভারেই, নিজের দ্বিতীয় ওভারে আভিস্কা ফার্নান্দোকেও ফেরান তিনি। ছন্দহীন সাদিরা সামারাবিক্রমা পারেননি ব্যর্থতার খোলস ছেড়ে বেরুতে, ফলে ৪১ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে বসে লঙ্কানরা।

প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করেছিলেন কুশল মেন্ডিস আর চারিথ আসালঙ্কা। কিন্তু ব্যক্তিগত ২৯ রানের মাথায় মেন্ডিস আটকা পড়েন রিশাদ হোসেনের বলে আর ৩৭ করা আসালঙ্কাকে আউট করেন মুস্তাফিজ। সতীর্থের আসা যাওয়ার মিছিলে অটল ছিলেন জেনিথ লিয়ানাগে, মিডল অর্ডার এই ব্যাটার একাই দলের হাল ধরেন।

ads

লোয়ার মিডল অর্ডার ও লোয়ার অর্ডারকে সঙ্গে স্কোরবোর্ডে গুরুত্বপূর্ণ রান যোগ করেন তিনি। শেষওভারে আসে আরাধ্য মাহেন্দ্রক্ষণ, চার হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই ডানহাতি। নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভারে তাঁর ১০১ রানে ভর করে ২৩৫ রানের পুঁজি পায় সফরকারীরা।

মাথায় আঘাত পাওয়ায় সৌম্য সরকারের বদলি হিসেবে ওপেনিং করতে নামেন তানজিদ হাসান তামিম, নেমেই বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন। একপ্রান্তে এনামুল হক কিছুটা রয়ে সয়ে খেললেও তিনি ঝড় তুলেন বাইশ গজে। যদিও পরপর দুই ওভারে বিজয় ও শান্তকে আউট করে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন লাহিরু কুমারা।

টাইগার তরুণ অবশ্য তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে দলীয় শতক পূর্ণ করেন, সেই সাথে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করেন এই ওপেনার। কিন্তু লাহিরু দমে যাননি, জোড়া আঘাত হেনে রিয়াদ আর হৃদয়কে প্যাভিলিয়নে পাঠান। ৮৪ রান করে তামিম আউট হলে ম্যাচ হেলে যায় লঙ্কানদের দিকে।

তবু বাংলাদেশি সমর্থকদের জয় নিয়ে সংশয় ছিল না, কেননা বাইশ গজে ছিলেন মুশফিকুর রহিম। তাঁর দৃঢ়তায় আকাঙ্খিত জয়টা পেয়ে যায় টিম টাইগার্স, যদিও তাঁকে ছাপিয়ে জয়ের নায়ক বনে গিয়েছেন রিশাদ। ডেথ ওভারে হাসারাঙ্গার উপর রীতিমতো টর্নেডো চালিয়েছেন তিনি। তাঁর ১৮ বলে ৪৮ রানের ইনিংসের কল্যাণেই নির্ধারিত লক্ষ্য এত সহজে টপকে যাওয়া সম্ভব হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link