More

Social Media

Light
Dark

ব্যাটিং প্রদর্শনীতে রংপুরের বিশাল জয়

ব্যাটিং নৈপুন্যের দিনে রংপুর রাইডার্সের কাছে ধরাশায়ী। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা সিলেটকে আট উইকেটে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। এই জয়ে টেবিলের তৃতীয় অবস্থানে নিজেদেরকে খুঁজে পাচ্ছে রংপুর।

জয় কিংবা পরাজয় খুব একটা প্রভাব ফেলবে না সিলেট স্ট্রাইকার্সের জন্যে। তবে রংপুর রাইডার্সের সামনে সুযোগ থাকছে প্রথম প্লে-অফ খেলার সুযোগ অর্জন করার। এমন একটি সমীকরণ নিয়েই মাঠে নেমেছিল দুই দল। এদিন সিলেটের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় মুশফিকুর রহিমকে। তবে টস ভাগ্য সহায় হয় রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের পক্ষে। তিনি প্রথমে বোলিং করবার সিদ্ধান্ত নেন।

সেই সিদ্ধান্তের সুফল পেতে শুরু করেন সোহান প্রথম বল থেকেই। ব্যাটারদের রান তুলতে বেশ বেগ পোহাতে হয়। সিলেটের দুই ওপেনিং ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয় মন্থর গতিতে রান তুলতে থাকেন। নিজেদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সিলেটের ব্যাটারদের দারুণ বিপাকে ফেলেন রংপুরের বোলিং ইউনিট। তবে তা কেবল মুশফিকুর রহিম মাঠে নামা অবধি।

ads

কেননা এরপর আর রংপুরের পক্ষে নেই কোন সাফল্যের গল্প। সিলেটের ব্যাটিং ইনিংসের পুরোটা জুড়েই যেন মুশফিকুর রহিম ও হৃদয়ের আধিপত্য। এই দুইজনে মিলে রাইডার্স বোলারদের স্রেফ দর্শক বানিয়ে রাখেন। উইকেটের চারিদিকে দৃষ্টিনন্দন সব শটে পসরা বসান এই দুই ব্যাটার। দুইজনই তুলে নেন নিজ নিজ অর্ধশতক। হৃদয় এই টূর্নামেন্টে পঞ্চমবারের মত হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেলেও মুশফিকের জন্যে ছিল এটিই প্রথম।

৫৬ বলে ১১১ রানের জুটি গড়েন মুশফিক-হৃদয়। তাদের এই মেলবন্ধনই সিলেট স্ট্রাইকার্সকে নিয়ে যায় ১৭০ রানের বিশাল সংগ্রহের দিকে। বাকি কাজটা সিলেটের বোলারদের করতে হতো, ম্যাচ জিততে হলে। তবে সেখানটায় দারুণভাবে ব্যর্থ সিলেটের বোলাররা। ইতোমধ্যেই সিলেটের শিবির ছেড়েছেন দুই পাকিস্তানি বোলার মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিম। সেই সাথে ইনজুরির কারণে নেই মাশরাফি বিন মর্তুজা। এসবকিছুর প্রভাবটা স্পষ্টই ছিল।

আর সেই ফায়দাটুকু পুরোটাই নিয়েছেন রংপুরের ব্যাটার রনি তালুকদার। তিনি রংপুরের ইনিংসের শুরতেই একটা আগ্রাসনের সঞ্চার ঘটিয়ে দেন। ৩৫ বলে ৬৬ রানের মারকুটে এক ইনিংস খেলে তিনি বিদায় নিলেও জয়ের পথে ভালভাবেই এগিয়ে যেতে থাকে রংপুর। তাছাড়া দলের মিডল অর্ডারের অন্যতম আস্থাভাজন শোয়েব মালিকও আগ্রসী মনোভাবে ব্যাটিংটা চালিয়ে যেতে থাকেন। মাঝে নাঈম শেখও ম্যাচের মেজাজ বুঝে ৩২ বলে ৪৫ রান করেন।

রনি ও নাঈমের গড়ে দেওয়া ভীতের উপর দাঁড়িয়ে শোয়েব মালিক ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান দলকে জয়ের পথেই রেখেছিলেন। শোয়েব মালিকের ২৪ বলে ৩৯ রানের ক্যামিও ইনিংসের সুবাদে দারুণ এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রংপুর রাইডার্স। ১২ বল বাকি থাকতেই নিজেদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সোহানের দল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link