More

Social Media

Light
Dark

মাহফুজুর রহমান রাব্বি, দ্য গেম চেঞ্জার

ক্যাপ্টেন’স লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের টিকে থাকার লড়াইয়ে এমন কিছুরই একটা ধারক হয়ে উঠলেন মাহফুজুর রহমান রাব্বি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ডু অর ডাই ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিলেন। বলাই বাহুল্য, সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিলেন সাফল্যের সন্ধানে, ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন নিয়ে। তাঁর কিপ্টে বোলিংয়েই যে সে স্বপ্নের পথে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।

৯ ওভার বল করেছেন। রান খরচ করেছেন মাত্র ২৭ টি। উইকেট নিয়েছেন ১ টি। সংখ্যার বিচারে যা আপাত দৃষ্টিতে শূন্যতা কাটিয়েছে বটে। তবে ম্যাচ পরিস্থিতিতে স্কট ম্যাকবেথের উইকেটটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল তার জন্য দৃশ্যপটটা টেনে আনলেই হয়। ব্লুমফন্টেইনে এ দিন ১০০ রান তোলার আগেই ৪ উইকেট হারিয়েছিল আইরিশরা।

তবে কিয়ান হিল্টন আর ম্যাকবেথের জুটি প্রতিরোধের একটা আভাস দিচ্ছিল। দুজনে দুর্দান্ত জুটিতে দেড়শো পেরিয়ে দুইশো রানের দিকে তখন ছুটছিল আয়ারল্যান্ড। ম্যাকবেথ নিজেও রক্ষণাত্বক ব্যাটিংয়ে হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশের জন্য বাঁধা। তবে অধিনায়ক রাব্বি সেটি হতে দেননি। হিল্টন-ম্যাকবেথের জুটি থামান তিনিই।

ads

ইনিংসের ৪১তম ওভারে জীবনের হাতে ক্যাচ বানিয়ে তাঁকে ফেরান এ স্পিনার। রাব্বির ওই ধাক্কাতেই আইরিশ ইনিংস আর বেশিদূর গড়ায়নি। ২৩৫ রানে আটকে যায় তাদের ইনিংস। যার নেপথ্যেও মূখ্য ভূমিকা পালন করেছেন জীবন। নিজের করা ৫৪ ডেলিভারির মধ্যেই ৩১ টি বল ডট দেন তিনি। পুরো ইনিংসে হজম করেছেন একটি মাত্র বাউন্ডারি।

এ ছাড়া পুরো ম্যাচেই রাব্বির স্পিনের সামনে আইরিশরা ছিল দিশেহারা। ইনিংসের ১৫তম ওভারে নিজের বোলিং শুরু করেছিলেন। আর সে ওভারটাই তিনি শেষ করেন মেডেন দিয়ে। এরপর বাকি ৮ ওভারেও লাইন লেন্থ নিয়ন্ত্রণ বল করে গিয়েছেন। তাতে আইরিশ ব্যাটাররা খাবি খেয়েছে। একটা জুটি গড়লেও রানরেট কখনো ত্বরান্বিত হয়নি। যার সিংহভাগ কৃতিত্ব রাব্বির।

এবারের যুব বিশ্বকাপ রাব্বি খেলতে গিয়েছেন শিরোপা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্য রেখে। শুরুটা হয়তো ভারতের বিপক্ষে হার দিয়ে হয়েছে। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার পথে টাইগার যুবাদের সামনে সমীকরণটা ততটা কঠিন। রাব্বির দল নিশ্চয়ই সেটা উতরে যাবে।

কে জানে, বিস্ময় জাগিয়ে প্রথম ম্যাচে হেরে শুরু করা দলটাই বিশ্বজয়ের গল্প লিখতে পারে। তাদের অপরাজেয় আগ্রাসনের রূপটা তো জানেই এশিয়ার দলগুলো। মহাদেশ ছাপিয়ে এবার সেটি টের পাক পুরো বিশ্ব।

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link