More

Social Media

Light
Dark

সিলেটের শক্তি ও শঙ্কা

রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে দারুণ এক জয় নিয়ে ফাইনালে পৌছেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। একদিন বাদেই আবার ফাইনাল ম্যাচ। তবুও আজ অনুশীলনে এসেছিল সিলেটের পুরো দলই। তবে দলটার একজনও ব্যাট-বল হাতে তুলেননি। বরং খানিকক্ষণ ফুটবল খেলে, আড্ডা দিয়েই কাটিয়েছেন নিজেদের শেষ অনুশীলন।

দলটার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ছাড়া প্রায় সবাই আজ এসেছিলেন অনুশীলনে। ফাইনালের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে নাজমুল হোসেন শান্ত শিরোপা জয়ের লক্ষ্যের কথাও শুনিয়ে গিয়েছেন। তবে ফাইনাল ম্যাচে তাঁদের মুখোমুখি হতে হবে শক্তিশালী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে। যারা কখনোই বিপিএলের ফাইনাল হারেনি।

ফলে মাশরাফির সিলেটকে শিরোপা জিততে হলে দিতে হবে কঠিন পরীক্ষাই। তরুণ ক্রিকেটারদের সামলাতে হবে বড় ম্যাচের চাপ। পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ ক্রিকেট খেলা সিলেটের শক্তির জায়গা যেমন আছে, তেমনি দুর্বলতাও আছে। ফাইনালের আগে দলটার শক্তি আর দুর্বলতাগুলোই দেখে নেয়া যাক।

ads

  • শক্তি

সিলেট স্ট্রাইকার্সের সবচেয়ে বড় শক্তি তাঁদের ওপেনিং জুটি। নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয় প্রতিদিনই একে অপরকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। দুজনই করেছেন চারশোর বেশি রান। ফলে এই ওপেনিং জুটিই ফাইনালে হবে কুমিল্লার সবচেয়ে বড় থ্রেট। আর সিলেট তাকিয়ে থাকবে এই দুজনের আরেকটা বড় জুটির দিকে।

সিলেটের পেস বোলিং আক্রমণ ভোগাতে পারে কুমিল্লাকে। খুব বড় নাম না থাকলেও তাঁরা টুর্নামেন্ট শেষে ডিপার্টমেন্ট হিসেবে দারুণ বল করছে। সিলেটের পেস বোলিং আক্রমণ স্বাভাবিকভাবেই নেতৃত্ব দিবেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। এছাড়া তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিবও নিজের সেরাটা দিচ্ছেন। এছাড়া ইংল্যান্ডের বাঁহাতি পেসার লুকে উডও আছেন দলটার বোলিং আক্রমণে।

আর সিলেটের সবচেয়ে বড় শক্তি ও প্রেরণার জায়গা তাঁদের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। দলটায় খুব বড় নাম না থাকলেও সিলেট এতদূর এসেছে তাঁর নেতৃত্ব গুনেই। ফলে ফাইনাল ম্যাচেও মাশরাফি হতে পারেন বড় ফ্যাক্টর। তাঁর ছোট ছোট সিদ্ধান্তও বদলে দিতে পারে ম্যাচের চিত্রনাট্য।

  • দুর্বলতা

পুরো টুর্নামেন্টেই অসাধারণ ক্রিকেট খেলে ফাইনাল পর্যন্ত এসেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। তাঁদের দুর্বলতা খুঁজে পাওয়াও মুশকিল। তবে ফাইনালের মত বড় ম্যাচের চাপ নিতে পারার ক্রিকেটার কম সিলেট দলে। ফাইনালের মত ম্যাচে একজন বড় ক্রিকেটারের অভাব বোধ করতে পারে তাঁরা।

সিলেটের ওপেনিং জুটি যেমন তাঁদের শক্তির জায়গা তেমনি দুর্বলতাও। কেননা দলটা তাঁদের দুই ওপেনারের উপর অনেক বেশিই নির্ভরশীল। শান্ত বা হৃদয় পারফর্ম করতে না পারলে সেটা পুষিয়ে দেয়ার মত ব্যাটার নেই সিলেটে। বিশেষ করে মিডল অর্ডারটা বেশ দুর্বল সিলেট স্ট্রাইকার্সের। দলটার অন্যতম অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিমও খুব একটা ভালো ফর্মে নেই।

ফলে টপ অর্ডার ক্লিক না করলে চাপে পড়ে যেতে পারে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ফাইনাল ম্যাচে তাই তাঁদের একটা প্ল্যান বি ও রাখতে হবে। শান্ত ও হৃদয় ক্লিক না করলে ব্যাট হাতে তাঁদের হয়ে কে জ্বলে উঠবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link