More

Social Media

Light
Dark

আইপিএলে ফ্লপ, বিগ ব্যাশে হিট

কোটি কোটি টাকার  ঝনঝনানি আর বিশ্বের সব নামী-দামী  ক্রিকেটারদের আসর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)।

ভারতীয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলার ইচ্ছে নেই এমন ক্রিকেটার বোধহয় খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বিশ্বের সব ক্রিকেটপ্রেমীরা মুখিয়ে থাকেন এই আসরের জন্য। তাই যেকোনো ক্রিকেটারই চাইবেন এই আসরে নিজেকে তুলে ধরতে। তবে এত বড় বড় ক্রিকেটারদের মাঝে এই আসরে নিজেকে মেলে ধরা তো আর চাট্টিখানি কথা না।

অনেকেই হয়তো এত বড় আসরের চাপই সামলে উঠতে পারেন না। তাঁরা হয়তো জাতীয় দলে কিংবা অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ গুলোতে ভালো খেলছে কিন্তু আইপিএলে এসে কেমন খেই হারিয়ে ফেলছেন। আমরা তাই খুঁজে বের করেছি এমন পাঁচ জন ক্রিকেটারকে যারা আইপিএলে নিজেদের তুলে ধরতে না পারলেও আরেক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ বিগ ব্যাশে ঠিকই নিজেদের সেরাটা দিয়েছেন।

ads
  • গ্লেন ম্যাক্সওয়েল

আইপিএলের ১৩ তম আসরে অজি এই অলরাউন্ডার ছিলেন কিংস এলিভেন পাঞ্জাবের তুরুপের তাস। বিশেষ করে তাঁর বিধ্বংসী ব্যাটে চেপে টুর্নামেন্টে বড় পথ পাড়ি দেয়ার স্বপ্ন দেখছিল দলটি। কিন্তু ওই পুরো আসরে তিনি ১০৬ বল খেলে মাত্র ১০৮ রান করেছিলেন। এমনকি পুরো আসরে একটি ছয় ও মারতে পারেননি এই ব্যাটসম্যান।

এদিকে এবারের বিগব্যাশে ১৩ ইনিংসে তাঁর সংগ্রহ ৩৭৯ রান। এই টুর্নামেন্টে তাঁর স্টাইক রেট ছিল প্রায় ১৪৪ এবং ৭১ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস ও খেলেন তিনি।

  • জশ ফিলিপ

আইপিএলের দল আরসিবির ওপেনার ছিলেন তরুণ এই ক্রিকেটার। প্রথমদিকের ম্যাচ গুলোতে এরোন ফিঞ্চের সাথে নিয়মিত ওপেন করেন তিনি। কিন্তু আসরে তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল মাত্র ১০১ এবং পুরো আসরে তাঁর রান সংখ্যা মাত্র ৭৮।

অথচ বিগব্যাসে সিডনি সিক্সার্সের হয়ে ১৬ ইনিংসে  করেন ৫০৮ রান। তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল প্রায় দেড়শ। আসরে চ্যাম্পিয়ন ও হয় তাঁর দল সিডনি সিক্সার্স।

  • অ্যাডাম জাম্পা

গত আসরে ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে খেলেন অস্ট্রেলিয়ান এই লেগি। তবে দলকে হতাশ করে পুরো আসরে তিনি পেয়েছেন মাত্র দুটি উইকেট। অথচ বিবিএলে দারুণ একটি সিজন পার করেছেন জাম্পা। আসরে ১২ ম্যাচ খেলে তুলে নিয়েছেন ১৯ টি উইকেট । এক ইনিংসে ১৭ রান দিয়ে ৫ উইকেত নেয়ার কীর্তিও গড়েছেন এই লেগি।

  • অ্যালেক্স ক্যারি

গত আসরে দিল্লি ক্যাপিটালস এর হয়ে খেলেন অজি এই ব্যাটসম্যান। যদিও দিল্লির শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপে ক্যারির একাদশে  জায়গা করে নেয়া বেশ কঠিন  ছিল। তবে রিশাব পান্তের ইনজুরির কারণে দলে সুযোগ হয় ক্যারির। সেখানে ৩২ রান করলেও তাঁর স্টাইক রেট ছিল মাত্র ১১০।

এদিকে বিবিএলে ১৩ ইনিংসে ক্যারি করেন ৪২৫ রান। সেখানে তাঁর স্ট্রাইকরেট ছিল ১২২.১৩। এই আসরে তিনি একটি সেঞ্চুরিও করেছেন।

  • ড্যানিয়াল স্যামস

সামসকে দিল্লি ক্যাপিটাল দলে ভিড়িয়েছিল তাঁদের তৃতীয় পেসার হিসেবে। তাঁদের নিয়মিত দুই পেসার রাবাদা এবং এনরিখকে সঙ্গ দেয়াই ছিল তাঁর মূল ভূমিকা। তিন ম্যাচে দলে সুযোগ পেলেও নিতে পারেননি একটি উইকেট ও। তাছাড়া ইকোনমি রেট ও ছিল বেশ হতাশাজনক।

তবে বিগ ব্যাশে ঠিকই জ্বলে উঠেছেন এই বোলার। ৯ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ১১ উইকেট । এই আসরে তাঁর বোলিং  গড় ছিল ২৩.৭০।

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link