More

Social Media

Light
Dark

ফেরা নিয়ে দ্বিধায় টেনিস-বিশ্ব

করোনাসৃষ্ট স্থবিরতা কাটিয়ে মাঠে ফিরেছে ফুটবল-বাস্কেটবলের মতো খেলাগুলো। তবে টেনিস ঠিক কবে কোর্টে ফিরবে সে নিয়ে এখনো সুস্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। ধারণা করা হচ্ছে আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ইউএস ওপেনই হবে খেলাটার প্রত্যাবর্তনের মঞ্চ।

তবে ফেরার আগে বেশ কিছু রীতিনীতি বদলে, বিধিনিষেধের বেড়াজাল নিয়ে তবেই মাঠে ফিরবে টেনিস। ফলে খেলোয়াড়দের মধ্যে দেখা যাচ্ছে দু’রকম প্রতিক্রিয়া। রাফায়েল নাদাল-নোভাক জকোভিচের মতো সময়ের সেরা খেলোয়াড়রা নতুন নিয়ম-নীতিতে কিছুটা অসন্তুষ্টিই প্রকাশ করেছেন। নতুন বিধিনিষেধে খুব বেশি সমস্যা হবে না, এমন অভিমত ব্রিটিশ খেলোয়াড় ড্যান ইভান্সের।

ইউএস ওপেন শুরু হতে আরও দুই মাস বাকি। তবুও টুর্নামেন্টটি আয়োজনের ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করে নাদাল বলেন, ‘দু’মাস পরে টুর্নামেন্টটা শুরুর আশা করা যায়। তবে ভাইরাসের সংক্রমণ আর সে সময়ে আয়োজক শহরের পরিস্থিতি ভাবনা বাড়াচ্ছে।’

ads

আয়োজকরা ৩১ আগস্ট ফেরার তারিখ ভাবনায় রেখে কিছু বিধিনিষেধের কথা চিন্তা করছেন। যেটা হলে প্রতি খেলোয়াড়ের সঙ্গে সহকারী হিসেবে থাকবেন মোটে একজন। এমন বিধিনিষেধকে বাড়াবাড়ি হিসেবে দেখছেন জকোভিচ, একজন সহকারী নিয়ে টুর্নামেন্টে যাওয়াকে অসম্ভবই ভাবছেন তিনি।

সার্বিয়ান তারকা স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেন, ‘সেখানে মোটে একজন নিয়ে যেতে পারবো আমরা, যেটা সত্যিই অসম্ভব। টুর্নামেন্টে কমপক্ষে একজন কোচ, ফিটনেস ট্রেইনার আর মনোবিদ নিয়ে যেতেই হয় একজন খেলোয়াড়কে।’

তবে ড্যান ইভান্স ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, ‘কিছু পাওয়ার জন্যে কিছু ত্যাগ স্বীকার করতে হবে খেলোয়াড়দেরকে। আমার মনে হয়না দলে একজন স্টাফ নিয়ে যাওয়াটা বড় কিছু। কারণ বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই কেবল কোচ নিয়েই প্রতিযোগিতায় পা রাখেন।’

তিনি মনে করেন শীর্ষ খেলোয়াড়রা বাদে বাকি সবারই আয়োজকদের একজন নিয়ে প্রতিযোগিতায় যাওয়ার সিদ্ধান্তে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ইভান্সের কথা, ‘নোভাক যেমনটা বললেন, সবাই ফিজিও, ফিটনেস ট্রেইনার নিয়ে সফর করেন না। আর তাই আমার মনে হয়, শীর্ষ খেলোয়াড়রা ছাড়া বাকি সবার জন্যেই এই সিদ্ধান্ত যুক্তিযুক্ত।’

বৈশ্বিক এই মহামারীর সময়ে টেনিস খেলোয়াড়দের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবানও জানান ইভান্স। তিনি বলেন, ‘এটা এমন একটা সময় যেখানে খেলোয়াড়দের সবার ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত এবং নোভাক-রাফার উচিত নিচু সারির খেলোয়াড়দের কথাও ভাবা। ব্যাপারটা অবশ্যই শুধু আর্থিক নয়। স্বাস্থ্যও এখানে জড়িয়ে আছে। কিন্তু এখন এটা নিরাপদ। আর তাই আমার মনে হয় শুধুমাত্র স্টাফ কম নিয়ে যেতে পারার কারণে টুর্নামেন্ট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়াটা অযৌক্তিক।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link