More

Social Media

Light
Dark

ম্যাচ না পেলেও এশিয়া কাপের লভ্যাংশ চায় পিসিবি

এশিয়া কাপ নিয়ে নাটকীয়তা থামছেই না; বলা ভালো পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) থামতে দিচ্ছে না। একেক বার একেক দাবি তোলায় কিছুতেই নিশ্চিত করা যাচ্ছে না মহাদেশীয় টুর্নামেন্টের ভবিষ্যত। কখনো রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, কখনো বা অর্থনৈতিক স্বার্থের জন্য এবারের এশিয়া কাপের ভাগ্য নির্ধারণ করতে সময় লাগছে অনেক বেশি।

এই যেমন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভায় পাকিস্তানের মাটিতে ম্যাচ বাড়ানো, রেভিনিউর ভাগাভাগি নিয়ে নতুন প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে পিসিবি। অথচ কয়েকদিন আগেই এশিয়া কাপের সূচি চূড়ান্ত করেছিল এসিসি। কিন্তু এখন আবারো নতুন করে ভাবতে হবে সবকিছু, বদলাতে পারে টুর্নামেন্টের রূপরেখা – এমনটাই আভাস পাওয়া গিয়েছে পিসিবি কর্তাদের কথায়।

খসড়া সূচি অনুযায়ী এশিয়া কাপের চার ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে মূল আয়োজক পাকিস্তানে; ফাইনাল সহ বাকি নয় ম্যাচ আয়োজন করবে শ্রীলঙ্কা। মূলত ভারতীয় দল পাকিস্তান ভ্রমণ করতে রাজি না হওয়ায় এমন হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট হতে যাচ্ছে। শুরুতে এমন পরিকল্পনায় রাজি থাকলেও শ্রীলঙ্কায় চলতি বর্ষাকালের কথা ভেবে বেঁকে বসেছে পাকিস্তান।

ads

এখন পিসিবি চায় দেশের মাটিতে ম্যাচ সংখ্যা বাড়াতে, যাতে শ্রীলঙ্কার বৃষ্টি টুর্নামেন্টের ফলাফল নির্ধারণে কম প্রভাব ফেলতে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্য একাধিকবার শ্রীলঙ্কা আর পাকিস্তানের বিমান ধরতে হবে অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে। তাই পাকিস্তানের মাটিতে ম্যাচ বৃষ্টির প্রস্তাব অনুমোদিত হওয়ার সম্ভাবনা কমই।

শুধু ম্যাচসংখ্যা নয়, রেভিনিউ ভাগাভাগির ক্ষেত্রেও পরিবর্তন চায় পাকিস্তান ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তারা মনে করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে টুর্নামেন্ট আয়োজন করলে যে পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা যেত সেটা শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। যদিও সেপ্টেম্বর মাসে আরব আমিরাতে তীব্র গরম পড়ে বিধায় অন্যান্য দেশ এই প্রস্তাবটি বাতিল করে দিয়েছিল।

তাই তো নিজেদের আয়ের লক্ষ্য পূরণের জন্য এবারের আসর থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশের বড় একটি অংশ চায় পিসিবি। মূলত গত আসরে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) মধ্যপ্রাচ্যে এশিয়া কাপ আয়োজন করে ব্যাপক লাভবান হয়েছিল, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও তাই বিসিসিআই এর সমান অর্থ নিশ্চিত করতে চায়।

পিসিবির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘শ্রীলঙ্কায় অতিরিক্ত আয় করা তুলনামূলক কঠিন। আমরা যে রাজস্ব প্রত্যাশা করছি সেটি নিশ্চিত করার জন্য আমাদের এসিসির সাথে কিছু আলোচনা করতে হবে। গত বছর দুবাইয়ে এশিয়া কাপ আয়োজন করে ভারত যে অর্থ লাভ করেছিল আমরাও সে পরিমাণ চাই।’

এর আগে সাবেক পিসিবি প্রধান নাজাম শেঠিও দায়িত্বে থাকাকালীন এসিসির সভাপতি জয় শাহ এবং অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন টুর্নামেন্টের লভ্যাংশ নিয়ে । যদিও সেই আলোচনায় কোনো প্রত্যাশিত ফল পায়নি পাকিস্তানিরা।

চলতি সপ্তাহেই আলোচনায় বসবে এসিসি এবং পিসিবির প্রতিনিধিরা। সেখানে আলাপ আলোচনা শেষে পুনরায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এশিয়া কাপের ব্যাপারে। তাই আবারো অপেক্ষা করতে হবে এশিয়ার ক্রিকেটপ্রেমীদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link