More

Social Media

Light
Dark

এসিসির সিদ্ধান্তের অপেক্ষা, এশিয়া কাপে ‘জিতবে’ কে?

এশিয়া কাপ নিয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এশিয়া কাপ শুরু হতে বাকি মাত্র দুই মাস। এখনও আয়োজন নিয়ে চলছে অস্থিরতা। শেষ পর্যন্ত কি সিদ্ধান্ত আসে তা দেখার অপেক্ষায় পিসিবি ও এশিয়ার ক্রিকেট সমর্থকরা।

চলতি সপ্তাহে এশিয়া কাপ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর কথা রয়েছে এসিসির। তবে ভারতীয় মিডিয়া জানাচ্ছে, এশিয়া কাপ নিয়ে পর্দার আড়ালে ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানে এশিয়া কাপ বাতিল হলে টুর্নামেন্ট আয়োজনে প্রস্তুত শ্রীলঙ্কা। এতে করে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের ওপর অখুশি পিসিবি। ধারণা করা হচ্ছে, এই কারণে জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কা সফর বাতিলও করতে পারে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।

ads

নিজ দেশে এশিয়া কাপ আয়োজন রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে পিসিবি। শঙ্কা করা হচ্ছে এশিয়া কাপ আয়োজনে ব্যর্থ হলে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনও করতে পারবে না পাকিস্তান।

২০২৫ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। বিষয়টি স্পষ্ট, ভারত কোনভাবেই চাচ্ছে না পাকিস্তানে এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হোক। ফলে দুই বছর পর একই ভাবে বাঁধা প্রদান করতে পারে ক্রিকেটের এই মোড়ল।

কিছুদিন আগে পাকিস্তান সফর করেছে আইসিসি প্রধান। সেখানে পিসিবি প্রধানের সাথে আলোচনা হয়েছে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ নিয়ে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের অংশ নেওয়া নিয়েও নিশ্চয়তা চেয়েছে আইসিসির কাছে।

ভারত শেষ পর্যন্ত রাজি না হলে এশিয়া কাপ বয়কট করতে পারে পাকিস্তান। এমন অবস্থায় নতুন পরিকল্পনা সাজাতে পারে আইসিসি। ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের অংশ নেওয়া নিশ্চিত করে পাকিস্তানকে রাজি করাতে পারে সংস্থাটি।

ভারত বর্তমান সময়ে রাজি নয়। বছর দুয়েক পর রাজি হবে এই নিশ্চয়তা অবশ্য সহজে দেওয়া দুস্কর। তবে এশিয়া কাপের মত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ইস্যুতে বড় প্রভাব ফেলতে ভালোই খাটুনি করতে হবে ভারতকে।

এশিয়া কাপ জন্যই ভারতের আবদার বড় কিছু এসিসির কাছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাড়বে প্রভাবশালী দলের সংখ্যা। সেখানে থাকবে ক্রিকেটের দুই মোড়ল অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। পাকিস্তানের নিরাপত্তা উন্নত বলেই অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের মত দল সফর করেছে সেখানে।

পাকিস্তানের নিরাপত্তা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে বোর্ডগুলো। যার ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে পারলে ফায়দা তুলতে পারবে পাকিস্তান।

পাকিস্তানে বড়দলগুলো সফর করা নিয়ে আপত্তি আপত্তি থাকার কথা নয়। পাকিস্তান নিজ দেশে ক্রিকেট ফেরাতে কাজ করেছে সেভাবেই। নিউজিল্যান্ড আগের বার সফর বাতিল করলেও, পরবর্তীতে করেছে সফর। এই দলগুলোকে নিজেদের পাশে পাওয়া সহজ পিসিবির জন্য। ফলে ভারতের মত বুদ্ধি ব্যবহার করে পরেরবার পাকিস্তানও দেখাতে পারে দাপট।

এশিয়া কাপ নিয়ে পাকিস্তানের ‘হাইব্রিড মডেল’ ভেস্তে দিতে বাকিদলগুলোকে নিজেদের দলে রেখেছে ভারত। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এরকম কিছু হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এশিয়া কাপ যেহেতু এশিয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তাই মর্যাদার লড়াইয়ে বাড়তি সুবিধাই নিচ্ছে দলটি। তবে বড়দলগুলোকে নিজেদের পক্ষে রেখে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করতে পারে পাকিস্তান। এতে করে হয় ভারতকে পাকিস্তান সফর করতে হবে, নতুবা বয়কট করতে হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link