More

Social Media

Light
Dark

অধিনায়ক হয়ে বাবরের প্রত্যাবর্তন, অস্বস্তি অন্দরমহলে

নাটকীয় সব পরিবর্তনের সাথে বেশ আগে থেকেই সংযুক্ত রয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট। সেই নাটকের ধারাবাহিকতায় নতুন অধ্যায় টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক পরিবর্তন। শাহীন শাহ আফ্রিদির কাছ থেকে অধিনায়কত্ব হাতছাড়া হচ্ছে, সেটা প্রায় সুনিশ্চিত। নতুন অধিনায়ক হিসেবে বাবর আজমের কথাই ভাবছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।

সাম্প্রতিক সময়ে শাহীন আফ্রিদির অধিনায়কত্ব নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হার। এরপর পাকিস্তান সুপার লিগে আফ্রিদির দল টুর্নামেন্ট শেষ করেছে টেবিলের তলানিতে। সেই দলের নেতৃত্বেও ছিলেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। তাইতো তার সামর্থ্য নিয়ে জেগেছে প্রশ্ন।

ঠিক সে কারণেই নেতৃত্বে আসতে চলেছে পরিবর্তন। যদিও এই পরিবর্তনের আভাস পাওয়া গিয়েছিল অনেক আগেই। পিসিবির সাবেক বোর্ড চেয়ারম্যান জাকা আশরাফের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন মহসিন নাকভি। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর সেই পরিবর্তনের আভাস দিয়েছিলেন।

ads

তবে শুরুর দিকে গুঞ্জনে বেশ এগিয়ে ছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে তাকে দায়িত্ব দেওয়ার কথাই চিন্তার করছিল পিসিবি। তবে এর পরবর্তী পদক্ষেপ থেকে আন্দাজ করে নেওয়া যায় যে, বাবর আজম আবারও হতে চলেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক।

যদিও বাবর এবার অধিনায়কের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেবেন কি-না তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। কেননা ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর তিনি ছেড়েছিলেন দায়িত্ব। ক্রিকেট বোর্ডের কাছ থেকে তখন বাবরের সাথে করা ব্যবহার তার খুব একটা পছন্দ হয়নি। সে কারণেই তিনি বেশ কিছু বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা নিতে চান। তার চাহিদাও রয়েছে কিছু। সেসবের শেষটায় দুই পক্ষ সম্মতিতে আসতে পারলেই কেবল অধিনায়কের দায়িত্ব পুনরায় নেবেন বাবর।

তবে বাবর অধিনায়কের দায়িত্ব নিয়ে ফেললে দলের ভেতর হতে পারে কোন্দল। কেননা সদ্যই অবসর ভেঙে জাতীয় দলে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন, ইমাদ ওয়াসিম ও মোহাম্মদ আমির। সুতরাং টি-টোয়েন্টি দলে তার ফিরবেন এমন আভাস থেকেই তাদের অবসর থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত। সমস্যা হচ্ছে তাদের দু’জনের সাথেই বাবরের সম্পর্ক খুব একটা সুখকর নয়।

কেননা দলের বাইরে থাকাকালীন সময়ে ইমাদ ও আমির দুইজনই  বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বারবার। তাছাড়া কড়া সমালোচনা করতেও দ্বিধাবোধ করেননি। এমনকি বাবরের টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংকেও সমালোচনার তীব্র জলে ডুবিয়েছেন, তাও আবার পাকিস্তানের জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেলে।

সুতরাং পাকিস্তান ক্রিকেটে নাটকীয়তার শেষ এখানেই হচ্ছে না। মাঠের ক্রিকেটের বাইরেও নাটকের মোড় ঘুরে যেতে পারে বিভিন্ন দিকে। তবে তার আগে টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের অধিনায়ক নির্বাচন করে ফেলা ভীষণ জরুরী। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হতে আর যে নেই বেশি দেরী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link