More

Social Media

Light
Dark

শাহীনদের পেস কীর্তির নতুন মাইলফফলক

বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচ, অথচ বিনোদনের কোন কমতি ছিল ভারত পাকিস্তান ম্যাচে। একদিকে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা, অন্যদিকে শাহীন শাহ, হারিস রউফ – পাকিস্তানের পেসারদের বিপক্ষে ভারতের ব্যাটারদের দ্বৈরথ দেখে শিহরিত হননি এমন কাউকে বোধহয় পাওয়া যাবে না।

বল হাতে দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন বামহাতি পেসার শাহীন শাহ, পাওয়ার প্লে-তেই প্যাভিলিয়নে ফেরান রোহিত, বিরাটকে। ক্রিজের অন্য প্রান্ত থেকে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চাপ বাড়িয়েছেন নাসিম শাহ। এরপর গতি ঝড় তুলেছিলেন আরেক পেসার হারিস রউফ।

শেষপর্যন্ত শাহীন শাহ শিকার করেছেন চার উইকেট, হারিস রউফ নিয়েছেন আরো তিনটি। বাকি তিন উইকেট পেয়েছেন তরুণ নাসিম। অর্থাৎ ভারতের দশজন ব্যাটসম্যানই আউট হয়েছেন পেসারের বলে; আর তাতেই গড়েছে নতুন রেকর্ড। এশিয়া কাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মত কোন দলের সবকয়টি উইকেট তুলে নিয়েছে প্রতিপক্ষের পেসাররা।

ads

এর আগে এক ইনিংসে ফাস্ট বোলাররা সর্বোচ্চ উইকেট পেয়েছিলেন ৯টি। সেই কীর্তিও ছিল পাকিস্তানের। ২০০৪ এশিয়া কাপে কলম্বোতে বাংলাদেশের বিপক্ষে তান্ডব চালিয়েছিল পাক পেসাররা। সেই ম্যাচে ৩টি উইকেট পেয়েছিলেন শাব্বির আহমেদ; এছাড়া ২জন করে ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন শোয়েব আখতার, মোহাম্মদ সামি ও আব্দুল রাজ্জাক।

শেষ দিকে বাংলাদেশের সাবেক স্পিনার আব্দুর রাজ্জাককে বোল্ড করে বসেন আরেক স্পিনার শোয়েব মালিক। ফলে পেস বোলারদের ১০ উইকেট পাওয়ার রেকর্ড হয়েও হয়নি। সেই অপেক্ষা অবশ্য পূরণ হয়েছে পাকিস্তানের হাত ধরেই। ১৯ বছর পর এবার হয়েই গেল বিপক্ষ দলকে অলআউট করেছে স্রেফ পেসাররাই।

পাকিস্তানের পেস বোলারদের দাপট বুঝতে এই দুইটি ঘটনাই বোধহয় যথেষ্ট। নিজেদের দিনে যেকোনো দলের ব্যাটিং লাইনআপে ধ্বস নামাতে পারে তাঁরা। গতি, বাউন্স আর সুইংয়ের মিশেলে গড়ো ওঠা পাকিস্তানি পেসারদের তাই মূর্তমান আতঙ্কই বলা চলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link