More

Social Media

Light
Dark

বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তানের ‘ওয়েকআপ কল’

ফর্মের চূড়ায় থাকা পাকিস্তান, অথচ সেই পাকিস্তান মুখ থুবড়ে পড়লো চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে। প্রায় তিন মাস বাদে কোনো ওয়ানডে ম্যাচে পরাজয়ের সাক্ষী হল তাঁরা।

তবে, পাকিস্তান কোচ গ্রান্ট ব্র্যাডবার্ন এই ২২৮ রানের বড় পরাজয়ের মধ্যেও খুঁজে নিচ্ছেন ইতিবাচকতা। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটাকে সতর্ক বার্তা হিসেবে ধরে নিয়ে জানিয়েছেন নিজস্ব মতও।

তিনি বলেন,  ‘গত তিন মাসে আমরা ম্যাচ হারিনি। সুতরাং এটাকে সতর্কবার্তা হিসেবেই নিচ্ছি। আর সেটা হচ্ছে ঠিক সময়েই। এখন প্রতিদিন আমাদের সেরাটাই দিতে হবে।’

ads

তিনি আরো যুক্ত করে বলেন, ‘সত্যি বলতে গত দুই দিনে যা হয়েছে, সেটি ভালোর জন্যই হয়েছে। আমরা বিশ্বসেরা ক্রিকেটারের বিপক্ষে খুব বেশি খেলার সুযোগ পাই না।’

এশিয়া কাপের আগে পাকিস্তান ছিল দারুণ ছন্দে। ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার মাটিতে আফগানিস্তানকে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হারানোর আগে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে সিরিজ হারিয়েছিল পাকিস্তান। আর তাতে ওয়ানডে র‍্যাংকিংয়ে শীর্ষে উঠেছিল দলটা।

সেই ধারাবাহিকতায় এশিয়া কাপেও পাকিস্তানের শুরুটা হয় দারুণ। নেপালকে ২৩৮ রানে হারানোর পরের ম্যাচে ভারতকে বেশ ভুগিয়েছিলেন পাকিস্তানের বোলাররা। যদিও বৃষ্টিতে সেই ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। এরপর সুপার ফোরে বাংলাদেশকে ১৯৩ রানে গুটিয়ে দিয়ে শুরু করে পাকিস্তান।

তবে এরপরই ছন্দপতন। সুপার ফোরের ম্যাচে ভারতের দেওয়া ৩৫৭ রানের লক্ষ্যে মাত্র ১২৮ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। এমন হারের পিছনে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং— সব ইউনিটে গলদ দেখলেও ব্যাটিং ব্যর্থতাকে সামনে টেনে আনে কোচ ব্র্যাডবার্ন।

তিনি বলেন, ‘এটা অনেকটা চোখ খুলে দেওয়ার মতো। আমরা ভাল খেললেও গত ১ মাস ধরে ব্যাটিংয়ে বেশ ভুগছি। এই ভুলটা আমাদের চোখে পড়েছে। তবে আমরা আশাবাদী। খুব শীঘ্রই এখান থেকে উৎরে যেতে পারব।’

যদিও ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের বোলিং ব্যর্থতায় ম্যাচ থেকে প্রথমে ছিটকে দিয়েছিল। তবে ব্র্যাডবার্ন এটিকে নিছক দুর্ঘটনা হিসেবেই চিহ্নিত করছেন। তিনি বলেন, ‘সবাই জানে, আমাদের বোলিং লাইনআপ কতটা সমৃদ্ধশালী। আমরা আমাদের শক্তিমত্তা সম্পর্কে জানি। আমরা এমন একটা বোলিং লাইন আপ নিয়ে সত্যিই গর্বিত।’

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের পরই ইনজুরিতে পড়েছে দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ পেসার নাসিম শাহ ও হারিস রউফ। হারিস রউফ তো রিজার্ভ ডে-তে বোলিংয়েই নামতে পারেননি। অবশ্য তাদের চোট গুরুতর না বলেই জানিয়েছেন ব্র্যাডবার্ন।

তিনি বলেন, ‘ওরা দুজন সাময়িক অস্বস্তিতে আছে। আমরা ওদের মেডিকেল পর্যবেক্ষণে রাখছি। আশা করছি গুরুতর কিছু হবে না। আর ঝুঁকি এড়াতেই রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে জামান খান আর শাহনেওয়াজ দাহানিকে ডাকা হয়েছে।’

অবশ্য দলের এমন পরিস্থিতিতেই আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি খেলতে হবে পাকিস্তানকে। কলম্বোতে সে দিনের শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান ম্যাচটা অনেকটা অঘোষিত সেমিফাইনালই হয়ে উঠেছে। কারণ ঐ ম্যাচে যে দল জিতবে, তারাই ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে মুখোমুখি হবে।

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link