More

Social Media

Light
Dark

১৬ গড়ে টেস্ট দলে নাইম!

টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডের পর এবার টেস্ট অভিষেকের দুয়ারে দাঁড়িয়ে আছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। প্রথমবারের মত টেস্ট স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন তিনি। আসন্ন ঢাকা টেস্টের দলে রাখা হয়েছে তাঁকে। যদিও তিনি বড় পরিসরের ক্রিকেট বা প্রথম শ্রেণির ম্যাচের বিবেচনায় একদমই অনভিজ্ঞ। খেলেছেন মাত্র ছয়টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ।

সুসংবাদ হল ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেছেন ডান হাতি পেসার তাসকিন আহমেদও। আঙুলের ইনজুরির জন্য চট্টগ্রাম টেস্টের দলে ছিলেন না তিনি। দলে আছেন সাকিব আল হাসানও। ফিটনেসে ফেরার সাপেক্ষে আসছে চার ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই টেস্টে খেলতেও পারেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।

প্রথম টেস্টের স্কোয়াড থেকে কাউকেউ বাদ দেওয়া হয়নি। বরং স্কোয়াডে যোগ হয়েছে আরো তিনজন। ফলে দ্বিতীয় টেস্টের স্কোয়াডে সদস্য সংখ্য এখন ২০ জন।

ads

চতুর্থ দিন হেলমেটে আঘাত পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন ইয়াসির আলী রাব্বি। কনকাশন সাব হয়ে মাঠে নামেন কাজী নুরুল হাসান সোহান। তবে, ইয়াসির আলী রাব্বিকে নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। তিনি ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে ছিলেন। আগামীকাল তিনি দলের সাথে যোগ দেবেন। কোভিড ১৯ টেস্টেও এসেছেন নেগেটিভ।

প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ জয়ের সম্ভাবনা দেখাতে পারেনি। চতুর্থ দিনের শেষ বেলাতেই ফলাফল মোটামুটি নিশ্চিত ছিল। পঞ্চম দিন প্রথম সেশনেই বাংলাদেশ দলের আট উইকেটের পরাজয় নিশ্চিত হয়।

চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ছিল চূড়ান্ত ব্যর্থ। সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান কিংবা নাজমুল হোসেন শান্ত – সবাই কমবেশি ভুগেছেন। দ্বিতীয় টেস্টের আগে তাই তড়িঘড়ি করে দলে ঢোকানো হয়েছে নাঈম শেখকে।

তবে, প্রশ্ন হল টেস্টে নাঈম কতটা কার্য্যকর হবেন? ঘরোয়া ক্রিকেটের বিবেচনায় আশা করার ‍খুব বেশি সুযোগ নেই। তিনি এখন অবধি মাত্র ছয়টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। তাতে ১৬.৬৩ গড়ে করেছেন মাত্র ১৮৩ রান। হাফ সেঞ্চুরি মোটে একটি।

সেটা ৬৫ রানের। এই ইনিংসটা বাদ দিলে বাকি ১০ ইনিংসের গড় মোপেট ১১.৮! প্রথম শ্রেণির ম্যাচ শেষবার খেলেছেন ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সালে। মানে অভিজ্ঞতা খুবই কম। তাহলে কি দেখে হঠাৎ তাঁকে দলে নেওয়া? – উত্তরটা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক প্যানেলই ভাল দিতে পারবেন।

  • ঢাকা টেস্টের বাংলাদেশ দল:

মুমিনুল হক সৌরভ (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন চৌধুরী, আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি, ইয়াসির আলী রাব্বি, মাহমুদুল হাসান জয়, রেজাউর রহমান রাজা, খালেদ হোসেন, শহিদুল ইসলাম ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link