More

Social Media

Light
Dark

মুমিনুল ঝড়ে শেষ প্রিমিয়ার টি-টোয়েন্টি

সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিজকে এখনো সেই ভাবে মেলে ধরতে পারেননি বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। সেই মুমিনুলই এবার দেখালেন নিজের অন্য রূপ।

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের শেষ ম্যাচে ব্যাট হাতে রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন তিনি। মুমিনুলের ঝড়ো ব্যাটিংয়েই শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে ৩৫ রানে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।

৫৩ বলে ৭৮ রান করে অপরাজিত থাকেন মুমিনুল হক। এছাড়া বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে গাজী গ্রুপের জয়ে আরো অবদান রাখেন ইয়াসির আলী রাব্বি। ইয়াসির অপরাজিত থাকেন ২৪ বলে ৫৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে। এই দুই ব্যাটসম্যান জয়ের ভিত গড়ে দেওয়ার পর দুর্দান্ত বোলিংয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন বোলাররা।

ads

এই ম্যাচ দিয়ে পর্দা নামলো এবারের আসরের। আজ দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রাইম ব্যাংককে হারিয়ে শিরোপা আগেই নিশ্চিত করেছে আবাহনী।

এই ম্যাচটি তাই ছিলো শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। শেষটা ভালো করতে মুখিয়ে ছিল দুই দলই। কিন্তু প্রথম ইনিংসে ১৮৪ রান সংগ্রহ করে জয়ের পথ আগেই সুগম করেছিল গাজী গ্রুপ।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটাই ভালো হয়নি শেখ জামালের। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সৈকত আলীকে হারায় শেখ জামাল। ৩ বলে ১ রান করে বিদায় নেন এই ওপেনার। সৈকতের বিদায়ের পর মোহাম্মদ আশরাফুল ১১ বলে ১৫ রান করে মেহেদী হাসানের প্রথম শিকার হয়ে ফিরে গেলে শুরুতেই চাপে পড়ে শেখ জামাল।

এরপর ৯ বলে ১৩ রান করে নাসির হোসেন এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে পড়লে ও দারুণ ছন্দে থাকা নুরুল হাসান সোহান ১০ বলে ৭ রান করে ফিরে গেলে ৭৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে শেখ জামাল। সেখান থেকে আর ঘুঁড়ে দাঁড়াতে পারেননি তারা।

ইমরুল কায়েস ও তানভির হায়দার চেষ্টা করলেও জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিলো না সেটা। ইমরুল করেন ৩৩ বলে ৪৫ রান ও তানভিরের ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ২৯ রান। ১৮ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে শেখ জামাল। আবাহনীর পক্ষে মহিউদ্দিন তারেক তিনটি ও দুটি উইকেট শিকার করে মেহেদী হাসান।

এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা গাজী গ্রুপের শুরুটা ভালো হয়নি। ইনিংসের শুরুতেই জিয়াউর রহমানের জোড়া আঘাতে ফিরে যান দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও শেখ মেহেদী হাসান। সৌম্য করেন ১০ বলে ৯ রান ও মেহেদীর ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ২৭ রান। দলীয় ৩৭ রানে দুই ওপেনার ফিরে যাওয়ার পর দলের হাল ধরেন মুমিনুল হক ও শাহাদাত হোসেন।

তবে এই জুটিকে খুব বেশি দূর যেতে দেননি মোহাম্মদ এনামুল। ১১ রান করা শাহাদাতকে ফিরিয়ে দেন এই স্পিনার। এরপর উইকেটে এসেই ১ রান করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বিদায় নিলে ৭১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গাজী গ্রুপ। কিন্তু এরপর আর গাজী গ্রুপকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

পঞ্চম উইকেট জুটিতে ইয়াসির আলী রাব্বিকে সাথে নিয়ে মাত্র ৫৭ বলে ১১৩ রান যোগ করেন মুমিনুল হক। শেষ পর্যন্ত উইকেটে থেকে দলকে ১৮৪ রানের বড় সংগ্রহ এনে দেন দুই জন। ৫৩ বলে ৭৮ রান করে অপরাজিত থাকেন মুমিনুল এবং ইয়াসির অপরাজিত থাকেন ২৪ বলে ৫৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে। শেখ জামালের পক্ষে দুটি উইকেট শিকার করেন এনামুল।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স: ১৮৪/৪ (ওভার: ২০; মেহেদী- ২৭, মুমিনুল- ৭৮*, ইয়াসির- ৫৬*) (এনামুল- ৪-০-৪০-২)

শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব: ১৪৯/১০ (ওভার: ১৮; আশরাফুল- ১৫, ইমরুল- ৪৫, তানভির- ২৯, জিয়াউর- ২১) (তারেক- ২-০-২২-৩)

ফলাফল: গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৩৫ রানে জয়ী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link