More

Social Media

Light
Dark

ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটে মিরাজ!

ইংল্যান্ডের কাউন্টি দল ওয়ারউইকশায়ারের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন ব্রায়ান লারা, অ্যালান ডোনাল্ড, ডেনিস অ্যামিসদের মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা।

এবার তাদেরই দলে নাম লেখাতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের মেহেদী হাসান মিরাজ। আগামী ১ আগস্ট থেকে ইংল্যান্ডের কাউন্টি দলগুলোকে নিয়ে ‘২০২৩ ওয়ানডে কাপ’-এর জন্য ইংলিশ এ ক্লাবের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েছেন তিনি।

তবে মিরাজের এ লিগে যাওয়া, না যাওয়া নির্ভর করছে তাঁর আন্তর্জাতিক সূচির উপরে। এই মুহূর্তে তাঁর সব ভাবনা আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজকে ঘিরে। তবে আগস্টের দিকে জাতীয় দলের ম্যাচ না থাকলে সেই সময়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে যাবেন তিনি। এমনটাই জানিয়েছেন মিরাজ।

ads

মিরাজের কাছে কাউন্টি ক্রিকেটে খেলার এ প্রস্তাব অবশ্য এসেছে তাঁরই এক সতীর্থের সৌজন্যে। সদ্য শেষ হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডানের হয়ে খেলেছিলেন মিরাজ।

আর সেই দলেই বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে খেলতে এসেছিলেন জ্যাক লিনটট। যিনি আবার ওয়ারউইকশায়ারের একজন ক্রিকেটারও। মূলত এই লিনটটের চাওয়াতেই মিরাজের প্রতি আগ্রহ দেখায় ইংলিশ এ ক্লাব।

তবে এখন পর্যন্ত কোনো কিছুই চূড়ান্ত নয়। এমনকি মিরাজ সেই ওয়ানডে লিগটি খেলবেন কিনা সেই নিশ্চয়তাও পাওয়া যায়নি। তাই এখন পর্যন্ত ‘প্রস্তাব’ পাওয়ার মধ্যেই আটকে আছে মিরাজের কাউন্টি খেলার ভাগ্য। তবে বাংলাদেশের পরবর্তী আন্তর্জাতিক সিরিজের সূচি বলছে, জুলাইয়ের মাঝামাঝিতেই শেষ হবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ।

এরপর অনিশ্চয়তায় ঝুলতে থাকা এশিয়া কাপ হওয়ার কথা রয়েছে সেপ্টেম্বর, অক্টোবরের দিকে। তার আগে আইসিসি’র এফটিপি অনুযায়ী বাংলাদেশের আর কোনো সিরিজ নেই। তাই কাউন্টি ক্রিকেটে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাঁধা থাকার কথা নয় মিরাজের। তাই সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে কাউন্টি ক্রিকেটে খেলতে পারেন মেহেদি হাসান মিরাজ।

এর আগে ২০১০ সালে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে উস্টারশায়ারের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ইংলিশ এ ক্লাবের হয়ে টানা দুই মৌসুম খেলার পর ২০১৩ সালে দল বদলে লিস্টারশায়ারের হয়ে একটি টি টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলেছিলেন সাকিব।

সাকিবের পর ২০১১ সালে নটিংহ্যামশায়ারের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলার সুযোগ পান তামিম ইকবাল। ফ্রেন্ডস লাইফ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ডেভিড হাসির জায়গায় দলে এসে অবশ্য তেমন ব্যাটিং দ্যুতি ছড়াতে পারেননি এ ব্যাটার। ৫ ম্যাচে সর্বসাকূল্যে করেছিলেন ১০৪ রান। সর্বোচ্চ ৪৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ইয়র্কশায়ারের বিপক্ষে।

আর সবশেষ বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে, ২০১৬ সালে সাসেক্সের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয় মুস্তাফিজুর রহমানের। ২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে বাঁহাতি এ পেসারের কাউন্টি অভিষেকটাও হয়েছিল দুর্দান্ত। পেয়েছিলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার। কিন্তু কাঁধের চোট আর তাঁকে বেশি দূর এগোতে দেয়নি। ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে মাত্র দুই ম্যাচ খেলেই শেষ হয় মুস্তাফিজের কাউন্টি-অধ্যায়।

কাউন্টি খেলার দিক দিয়ে মিরাজ চতুর্থ বাংলাদেশি হলেও একটি জায়গায় তিনি আবার দ্বিতীয়। তামিম, মুস্তাফিজ কাউন্টি ক্রিকেট খেলার সুযোগ পেলেও তাঁরা মূলত খেলেছিলেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট।

সেই অর্থে, কাউন্টিতে ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলার দিক দিয়ে সাকিবের পর মিরাজ হতে যাচ্ছেন দ্বিতীয় বাংলাদেশি। আর কাউন্টি ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত সব ফরম্যাটে খেলার কৃতিত্ব রয়েছে একমাত্র সাকিবের।

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link