More

Social Media

Light
Dark

মিকি আর্থার কার? ডার্বিশায়ার না পাকিস্তানের?

পাকিস্তান ক্রিকেট এবং মিকি আর্থার জুটির পুর্নমিলন হচ্ছে আবারো। সামনের দিনগুলোতে পাকিস্তান জাতীয় দলের কনসালট্যান্ট হিসেবে দেখা যাবে এই দক্ষিণ আফ্রিকান কোচকে। এর আগে তাঁর অধীনেই ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জিতেছিল পাকিস্থান। 

পাকিস্তানের হয়ে প্রথম দফায় ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিন বছর দলটির প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন আর্থার। তবে এবারে দায়িত্বটা খানিকটা ভিন্ন, সরাসরি কোচ নন বরং টিম ডিরেক্টর ভূমিকাতেই দেখা যাবে তাঁকে। অন্যদিকে, ডার্বিশায়ারের প্রধান কোচের দায়িত্বটা চালিয়ে যাবেন তিনি। ইংলিশ কাউন্টির দলটির সাথে ২০২১ সালেই চার বছরের নতুন চুক্তি করেন তিনি। 

যদিও পিসিবি এখনো আর্থারের সাথে তাঁদের চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। তবে কাউন্টি মৌসুম চলাকালীন সময়ে ৫৪ বছর বয়সী এই কোচকে পাওয়া যাবে না সেটা বলাই বাহুল্য। তাছাড়া শ্রীলংকার বিপক্ষেও দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সময়ও দলের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকবেন না তিনি, অনলাইনেই দিকনির্দেশনা দেবেন। বছরের শেষভাগে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপের আগে তিনি যোগ দেবেন পাকিস্তানের ক্যাম্পে। 

ads

পিসিবির সাথে আলোচনার শুরুতেই তিনি ডার্বিশায়ারের প্রতি নিজের দায়বদ্ধতার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি দেখতে চান চার বছরের প্রজেক্টে তিনি দলটিকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারেন কিনা। শুরুতে তাই প্রধান কোচের পদ তাঁকে অফার করা হলে তিনি না বলে দেন। তবে নাছোড়বান্দা পিসিবি দফায় দফায় তাঁর সাথে বৈঠক করে অবশেষে কনসালট্যান্ট পদের জন্য রাজি করায়। 

আর্থার বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত আবারো পাকিস্তান জাতীয় দলের সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়ে। কিন্তু আমাকে ডার্বিশায়ারের কথাও ভাবতে হবে। পিসিবি সভাপতি নাজাম শেঠির সাথে কথা বলার সময়ই আমি তাঁকে এই ব্যাপারে জানিয়েছি। তাঁকে বলেছি ডার্বিশায়ার আমার কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি আরো বলেন, ‘ডার্বিশায়ারের সাথে আমার চার বছরের চুক্তি আছে এবং আমি মাত্র এক বছর কাটিয়েছি। তবে পিসিবির সাথে আলোচনার পর বুঝতে পারলাম তাঁদের সাথে কাজ করা সম্ভব। আমাদের সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে কাজ করতে হবে।’

আর্থারের অনুপস্থিতির সময়টাতে পাকিস্তানের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করবেন তাঁদের সাবেক ফিল্ডিং কোচ গ্রান্ট ব্র্যাডবার্ন। তবে এবারে জাতীয় দলের দায়িত্ব নেবার পর আর্থার বেশ কয়েকজন পুরনো শিষ্যের দেখা পাবেন। তাঁর সময়ে সদ্য দলে ডাক পাওয়া বাবর আজম, শাহীন শাহ আফ্রিদি এবং শাদাব খানরাই আজকের দিনে পাকিস্তানের অন্যতম সেরা তারকা। 

তিনি বলেন, ‘তাঁদের সবার সাথেই আমার যোগাযোগ আছে। আমার চোখের সামনেই ওদের তারকা হয়ে ওঠা। তরুণ অবস্থায় তাঁরা জাতীয় দলে আসলেও এখন ভীষণ পরিণত। দলে অনেক তারকা ক্রিকেটার থাকলে সবাইকে সামলানো মুশকিল, তবে সবার সাথেই আমার ভালো সম্পর্ক। আমাকে কেবল সবাইকে এক সুতোয় গাঁথতে হবে। আমি জানি আমি সেটা করতে পারবো এবং ডার্বিশায়ার ও পাকিস্তানের জন্য রোমাঞ্চকর এক যাত্রা হতে যাচ্ছে এটা।’

আগামী মাসেই চুক্তির সব খুঁটিনাটি ঠিক করতে লাহোরে উড়াল দেবেন মিকি আর্থার। সব ঠিক থাকলে ক্রিকেটে নতুন এক কোচবিহীন দলের যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছেন আর্থার এবং পাকিস্তান ক্রিকেট। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link