More

Social Media

Light
Dark

গ্রেটেস্ট ফিনিশার অব অল টাইম

ক্রিকেট খেলা যদি আপনি নিয়মিত দেখে থাকেন তবে ফিনিশার শব্দটার সাথে আপনি নিশ্চয়ই পরিচিত। আপনাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় যে,ফিনিশার কাকে বলে? তবে আপনার উত্তরটা কী হবে? ক্রিকেট সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা থাকলে আপনি হয়তো বলবেন যেই ব্যাটার ইনিংসের শেষের দিকে এসে অল্প বলে বেশি রান করে দলকে একটা বড় সংগ্রহ এনে দেন কিংবা দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান তিনিই ফিনিশার।

উদাহরণ হিসেবে বলতে পারেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি কিংবা একালের আন্দ্রে রাসেল, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলদের নাম। যাদেরকে আমরা দেখি ২২ গজে নেমেই প্রতিপক্ষের বোলারদের উপর চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছোটাতে। কিন্তু আপনি কী জানেন সর্বকালের সেরা ফিনিশার কাকে বলা হয়? কোন ক্রিকেটার ফিনিশার শব্দটিকে অন্য এক মাত্রা দিয়েছেন। বদলে দিয়েছেন ফিনিশারের সংজ্ঞা।

তিনি মাইকেল বেভান। ক্যারিয়ারের শুরু হতে শেষ অবধি পুরোটা সময় ধরেই যিনি জন্ম দিয়েছেন অসাধারণ সব অবিস্মরণীয় মুহূর্তের। অস্ট্রেলিয়ার বেলকেনন শহরে ১৯৭০ সালের ৮ মে জন্মগ্রহণ করেছিলেন মাইকেল বেভান। ১৯৮৯ সালে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় বেভানের। প্রথম ইনিংসে যখন সেঞ্চুরি করে নিজের সামর্থ্যের প্রমান দেন তখন বয়স মাত্র ১৯ বছর।

ads

এর ৪ বছর পরে ১৯৯৩ সালে অজি কিংবদন্তি অ্যালান বোর্ডার অবসর নেওয়ার পর তার জায়গায় দলে ডাকা হয় তরুণ বেভানকে। বছরের শেষের দিকে পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাগি গ্রিন লাভ করেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের মত এখানেও অভিষেকে নিজের জাদু দেখান বেভান। পাকিস্তানি বোলিং সেনসেশন ওয়াসিম আকরাম-ওয়াকার ইউনুসদের মত বোলারদের সামলে খেলেন ৮২ রানের এক দৃষ্টিনন্দন ইনিংস।পুরো সিরিজ জুড়েই নিজের ব্যাটিংয়ের খেল দেখান বেভান।

৪ ইনিংস খেলে রান ২৪৩। নিজের প্রথম সিরিজেই গড় ৬০! পরের বছরেই অস্ট্রাল-এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রঙিন পোশাকে অভিষিক্ত হন।যদিও ওয়ানডেতে নিজের প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং জাদু দেখানোর সুযোগ পাননি তিনি।

কাট টু ১৯৯৬। সিডনি, অস্ট্রেলিয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ক্যারিবিয়ানরা। বৃষ্টির কারণে অজিরা যখন ব্যাট হাতে নামে তখন টার্গেট ৪০ ওভারে ১৭৩। এখনকার সময়ের জন্য এটা কোনো টার্গেটই না। কিন্তু যে সময়ের কথা হচ্ছে তখন এই লক্ষ্যে ব্যাট করা এতটাও সহজ ছিল না।কারণ তখন অধিকাংশ পিচই হত বোলিং সহায়ক। আর ক্যারিবিয়ানদের সেই সময়ে পেস অ্যাটাকে ছিলেন কোর্টনি ওয়ালস, কার্টলি অ্যাম্ব্রোসদের মত একেকজন দানব বোলার।

সিডনির পিচে তাঁরা আগুন ঝড়ালেন। ফলস্বরূপ অস্ট্রেলিয়া স্কোরবোর্ডে ৩৮ রান তুলতে না তুলতেই হারিয়ে ফেলেছে ৬টা উইকেট। সেই সময়ে কেউই হয়তো অজিদের জেতার আশা করেন নি। কিন্তু বাঁধ সাজলেন দ্য টার্মিনেটর মাইকেল বেভান। তার পাশে থেকে দারুণ এক জুটি গড়তে সাহায্য করলেন পল রাইফেল। সপ্তম উইকেটে দুজনে মিলে স্কোরবোর্ডে যোগ করলেন ৮৩টি মহামূল্যবান রান।

তারপরেই আবারও জেগে ওঠে ক্যারিবিয়ান বোলিং অ্যাটাক। দ্রুতই প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয় রাইফেল আর শেন ওয়ার্নকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। কারণ, ২২ গজে রয়ে গিয়েছিলেন মাইকেল বেভান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রজার হার্পারের বলে চার মেরে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি।

১৯৯৬ সালে সুযোগ পান বিশ্বকাপগামী অস্ট্রেলিয়া দলে। গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলোতে অস্ট্রেলিয়ার দুর্দান্ত টপ অর্ডারের কারণে ব্যাটিংয়ের সুযোগ না পেলেও সেমিফাইনালে কার্টলি অ্যামব্রোস-ইয়ান বিশপের বোলিং তোপে পড়ে ১৫ রানে ৪ উইকেট হারালে ব্যাটিংয়ে নামেন বেভান। আউট হওয়া চার ব্যাটসম্যানের স্কোর ছিল মোবাইল ডিজিটের মত। ০, ১, ০, ৩!

এমন অবস্থায় আবারো দলের ত্রাণকর্তার ভূমিকায় বেভান। পাঁচে নামা স্টুয়ার্ট ল-কে নিয়ে গড়েন ১৩৮ রানের জুটি। ১১০ বলে ৬৯ রানের দায়িত্বশীল এক ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়াকে এনে দেন ২০৭ রানের লড়াই করার মত এক সংগ্রহ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে একপর্যায়ে ক্যারিবিয়ানদের সংগ্রহ ছিল ৪১ ওভারে ১৬৫/২।

সেখান থেকে শেন ওয়ার্ন, গ্লেন ম্যাকগ্রা, ডেমিয়েন ফ্লেমিংয়ের তোপে পড়ে পাঁচ রানে হেরে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরবর্তীতে যদিও ফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে রানার্স আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় অজিদের। ১৯৯৭ সালে মেলবোর্নে অজিদের মুখোমুখি পাকিস্তান। পাকিস্থানের দেয়া ১৮২ রানে টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১১ রানেই ২উইকেটের পতন হলে ব্যাটিংয়ে আসেন বেভান।

স্টুয়ার্ট ল এবং স্টিভ ওয়াহ’র সাথে দুটো মাঝারি জুটির গড়লে আবার ম্যাচে ফিরে আসে অজিরা। ম্যাচ জয়ের সুবাতাস তখন অজি শিবিরে,ঠিক সে সময়ই দৃশ্যপটে আবির্ভাব ওয়াসিম আকরামের।টপাটপ তুলে নেন ড্যারেন লেহম্যান আর ইয়ান হিলিকে। তাঁর সাথে যোগ দেন আফ্রিদিও, আউট করেন শেন ওয়ার্নকে। ১৩৯/৪ থেকে ১৪৮/৭, হঠাৎ করেই যেন ম্যাচের লাগাম পাকিস্তানের হাতে চলে যায়।

উইকেটে তখন ত্রাস ছড়াচ্ছেন টু-ডব্লিউ জুটি। দুই মুশতাক আর আফ্রিদিকে নিয়ে গড়া স্পিন জুটিও কম যান নাহ। কিন্তু বাঁধ সাধেন বেভান। অ্যান্ডি বিকেলকে সাথে নিয়ে গড়েন ৩৪ রানের পার্টনারশিপ। তাতেই জয়ের নোঙরে পৌঁছে যায় অজিরা। বেভান নিজে অপরাজিত থাকেন ১৪২ বলে ৭৯ রান করে। ১৯৯৮ সালে শারজাহতে কোকা-কোলা কাপে ভারতের মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়া। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে অনিল কুম্বলে-হরভজন সিংয়ের বোলিং তোপে পড়ে অজিরা, ৮৭ রানে হারায় তিন উইকেট।

সেখান থেকে ব্যাটিংয়ের নেমে বেভান জুটি গড়েন স্টিভ ওয়াহকে সাথে নিয়ে। নিজে সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকেন ১০১ রানে, সাথে দলীয় সংগ্রহকে নিয়ে যান ২৮৪ রানে। জবাব দিতে নেমে ভারত অলআউট হয় ২৫০ রানে। ১৯৯৯ সালে এজবাস্টনে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটিকে বেশিরভাগ ক্রিকেটবোদ্ধাই স্বীকৃতি দেন ওয়ানডে ইতিহাসের সেরা ম্যাচ হিসেবে।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শন পোলক আর অ্যালান ডোনাল্ডের তোপে পড়ে ৬৮ রান তুলতেই হারিয়ে বসে চার উইকেট। সেখান থেকে বেভানের খেলা ১১০ বলে ৬৫ রানের ইনিংসের সুবাদে প্রোটিয়াদের ২১৪ রানের লড়াকু টার্গেট দেয় অস্ট্রেলিয়া। নানা নাটকীয়তার পর সেই ম্যাচ জিতেও নেয় অজিরা। ২০০০ সালের ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তি উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজন করা হয় ‘এশিয়া একাদশ’ বনাম ‘অবশিষ্ট বিশ্ব একাদশের’ মধ্যকার প্রীতি একদিনের ম্যাচ।

এশিয়া একাদশের দেয়া ৩২১ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে এক পর্যায়ে বিশ্ব একাদশের স্কোর ছিল ৩৭ ওভারে ১৯৬/৭।কিন্তু সেখান থেকেই শুরু হয় আসল খেলা! মাইকেল বেভান আর অ্যান্ড্রু ক্যাডিক মিলে অষ্টম উইকেট জুটিতে যোগ করেন ১১৯ রান, মাত্র ৭৭ বলে! যেখানে ক্যাডিকের অবদান ছিল মাত্র ২৩! আর বেভানের ব্যাট থেকে আসে ১৩২ বলে ১৮৫!

১৯ বাউন্ডারির সাথে ছক্কা মেরেছিলেন পাঁচটা! জয়ের জন্য শেষ ওভারে দরকার ছিল ২০ রান। আব্দুর রাজ্জাকের করা শেষ ওভারের প্রথম বলেই লেগবাই থেকে এক রান নিয়ে বেভানকে স্ট্রাইক পাইয়ে দেন ক্যাডিক। এরপর রাজ্জাকের তিন বলে টানা তিনটি বাউন্ডারি মারেন বেভান। শেষ ২ বলে প্রয়োজন ৭ রান। ওভারের ‘পেনাল্টিমেট’ বলে দুই রান নিতে চাইলেন বেভান; কিন্তু সময়মত ব্যাট মাটি স্পর্শ না করায় নন-স্ট্রাইক এন্ডে ‘রান আউট’ হয়ে যান ক্যাডিক।

উইকেট বড় কথা নয়;এই এক রানের মাহাত্ন্য বড় হয়ে ওঠে খেলা শেষে। শেষ বলে লাগত ৬, কিন্তু বেভান মারলেন ৪! মাত্র ১ রানের জন্য ম্যাচ হারে বিশ্ব একাদশ! আইসিসি ম্যাচটার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেয়নি। মাইকেল বেভানের ওয়ানডে সর্বোচ্চ’ এর ঘরেও তাই লেখা নেই ১৮৫*! ২০০২ সালে মেলবোর্নে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়া। ব্ল্যাক ক্যাপসদের দেয়া ২৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৮২ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে তখন রীতিমত কাঁপছে অজিরা।

সেখান থেকে ব্রেট লি আর শেন ওয়ার্নের সাথে জুটি গড়ে ম্যাচ জেতান মাইকেল বেভান। অপরাজিত থাকেন ৯৫ বলে ১০২ রান করে। ২০০৩ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পোর্ট এলিজাবেথে মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড। অ্যাশেজের উত্তাপ যেন তখন বিশ্বকাপের ময়দানে। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে অজি পেসার অ্যান্ডি বিকেলের তোপে পড়ে ইংল্যান্ড অল আউট হয় ২০৪ রানে। বিকেল একাই নেন ৭ উইকেট। মাঝারি পুঁজি নিয়েও ম্যাচ প্রায় নিজেদের পকেটে পুরে নিয়েছিল ইংল্যান্ড।

অ্যান্ডি ক্যাডিক আর অ্যাশলে জাইলসের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৩৫ রানেই ৮ উইকেট হারায় অজিরা। সেই অবস্থায় অজিদের পক্ষে বাজি ধরার মত লোক কমই ছিল।কিন্তু তখনও ফেরেননি বেভান। একপ্রান্তে সতীর্থদের যাওয়া-আসা অব্যাহত থাকলেও তিনি ছিলেন অবিচল। অষ্টম উইকেটের পতনের পর সকল দায়িত্ব যেন তুলে নেন নিজের কাঁধে। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন অনবদ্য বোলিং করা অ্যান্ডি বিকেল।

তাঁকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ৭৩ রানের অপরাজিত পার্টনারশিপ। ফ্লিনটফের করা শেষ ওভারের চতুর্থ বলে যখন এক্সট্রা কাভারের উপর দিয়ে চার মারলেন ততক্ষণে অস্ট্রেলিয়া জিতে গেছে দুই বল হাতে রেখেই। তিনি অপরাজিত রইলেন ১২৬ বলে ৭৪ রান করে! যারা ম্যাচটা দেখেছেন তারা জানেন কী অবস্থায় ব্যাটিং করেছেন বেভান। ক্যারিয়ার জুড়ে এমন বহু ইনিংস খেলেছেন মাইকেল বেভান।

জেতার খুব কম সম্ভাবনা থাকা ম্যাচও জিতিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ানদের। তাঁর খেলা ইনিংসগুলো আজও ক্রিকেট প্রেমীদের নস্টালজিক করে তোলে। কেবলমাত্র ব্যাটিং নয়,তার বাঁ-হাতি চায়নাম্যান স্পিন বোলিং ছিল অত্যন্ত কার্যকরী। ১৯৯৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে ১০ উইকেট নিয়ে দলকে জেতান তিনি। অজিদের হয়ে ২৩২ টি একদিনের ম্যাচে ৫৩ গড়ে ৬৯১২ রান করেন এই ক্রিকেট জিনিয়াস। ৪৬ টি হাফ সেঞ্চুরির সাথে আছে ৬টি সেঞ্চুরি।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, ১৯৬ ইনিংসে ব্যাট করে রেকর্ড ৬৭ বার অপরাজিত থেকেছেন তিনি। এখন পর্যন্ত অবসর নেয়াদের মধ্যে ওয়ানডের সর্বোচ্চ ব্যাটিং গড় (৫৩.৫৮) বেভানের। সাকসেসফুল রান তাড়ায় বেভানের ব্যাটিং গড় ৮৬.২৫ যা ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে মাত্র দুজন খেলোয়াড়ের (অন্যজন মাইক হাসি) মধ্যে বেভান একজন যার ক্যারিয়ার গড় কখনোই ৪০ এর নিচে নামে নি! একদিনের ক্রিকেটে অনবদ্য হলেও সাদা পোশাকের ক্রিকেটে সফলতা পাননি তিনি।

ধারণা করা হয় শর্ট বলে তার দুর্বলতাই এর কারণ।যদিও ওয়াসিম-ওয়াকার কিংবা অ্যাম্ব্রোশ-ওয়ালশদের বিপক্ষে তার সফলতার সামনে তার সেই দাবি ধোপে টিকে নাহ। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও ৫৭.৪২ গড়ে করা ১৯,১৪৭ রান তার পক্ষেই কথা বলে।এত সত্ত্বেও তার টেস্ট ক্যারিয়ার থেমে যায় মাত্র ১৮ টেস্ট খেলেই।

এই ১৮ টেস্টে তার সংগ্রহ ছিল ২৯ গড়ে ৭৮৫ রান যা তার নামের পাশে বেমানান। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১৯৯৯ এবং ২০০৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০৪-০৫ মৌসুমে শেফিল্ড শিল্ডে হাজারের উপর রান করলেও নির্বাচকরা তাঁকে বয়সের অজুহাত দিয়ে বাদ দেন দল থেকে। অবশেষে ২০০৭ সালের ১৭ জানুয়ারি ইনজুরির কারণে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন মাইকেল বেভান।

অবসরের পর তৎকালীন বিদ্রোহী ফ্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট আসর ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগে (আইসিএল) চেন্নাই সুপারস্টারের কোচ হন তিনি। ২০১১ সালে আইপিএলে দায়িত্ব নেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হেড কোচ হিসেবে।যদিও ক্রিকেট ক্যারিয়ারের মতো সফলতা পাননি কোচিং ক্যারিয়ারে। মাইকেল বেভান বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার বিচ ক্রিকেট দলে অংশ নিয়ে থাকেন।

লেখক পরিচিতি

Alien.............

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link