More

Social Media

Light
Dark

সাত নম্বরের লড়াই জমিয়ে দিলেন মেহেদী

তাঁর নামটা সেভাবে আলোচনার রসদই যোগাচ্ছে না। অথচ, কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে জাতীয় দলের বাইরে যে তিনজনের দিকে আলাদা ভাবে নজর দিয়েছেন তাঁদেরই একজন হলেন শেখ মেহেদী হাসান।

আর চলমান ইমার্জিং এশিয়া কাপে নিজের পাল্লাটা যেন ক্রমেই ভারি করে তুলছেন স্পিনিং এই অলরাউন্ডার। যে দুই ম্যাচে ব্যাট করেছেন দু’টোতেই খেলেছেন আট নম্বরে। এর মধ্যে প্রথম ম্যাচে করেছেন ৩০ বলে ৩১। আর সর্বশেষ আফগানিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ১৯ বলে ৩৬ রানের অপরাজিত এক ইনিংস।

এই দু’টি ইনিংস আশার পালে হাওয়া দিচ্ছে বাংলাদেশের। রানের বিবেচনায় অবশ্য সৌম্য সরকার অবশ্য খুব বেশি পিছিয়ে নেই। প্রথম ম্যাচে ৪৬ বলে ৪২-এর পর এবার করলেন ৪২ বলে ৪৮ রান। তবে, সৌম্যর মধ্যে স্নায়ুচাপ ছিল স্পষ্ট।

ads

অন্যদিকে, ভয়ডরহীন ব্যাটিং করেছেন মেহেদী। প্রথম ডেলিভারি থেকেই রানের জন্য ছুটেছেন। সাত নম্বর পজিশনে এমন একটা চরিত্রই তো খুঁজছেন কোচ চান্দিকা হাতুরসিংহে।

মেহেদী টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন ২০২২ সাল পর্যন্ত। দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে ছিল তাঁর বড় ভূমিকা। সর্বশেষ জাতীয় দলে খেলেন ২০২২ সালের এশিয়া কাপে।

তবে, শ্রীরামের দাবি ছিল তিনি টি-টোয়েন্টি দলে উপযুক্ত নন। ফলে, আর বিশ্বকাপ খেলা হয়নি মেহেদীর। এরপর আর কোনো ফরম্যাটেই তাঁকে ডাকেনি নির্বাচকরা। অনিদির্ষ্টকালের এই বিরতিতে যাওয়ার আগে খেলেন ৩৮ টি টি-টোয়েন্টি।

সেই তুলনায় ওয়ানডেতে তিনি একেবারেই অনভিজ্ঞ। মোটে তিনটা ম্যাচ খেলেন, তিনটাই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সেখানে পারফরম্যান্স আহামরি কিছু নয়। তবে, বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সেরা ইকোনমি রেট তাঁর। মাত্র ৬.৫৬। সেটা মাথায় রেখেই হাতুরুসিংহের পরিকল্পনায় আছেন তিনি। আর বাজিয়ে দেখার জন্য পাঠানো হয়েছে ইমার্জিং এশিয়া কাপেও।

সাদা বলের ক্রিকেটে কার্যকর হওয়ার সামর্থ্য আছে মেহেদীর। বিশেষ করে, তাঁকে দিয়ে যেকোন পজিশনে ব্যাট করানো যায়। ফলে, সাত নম্বরে তাঁকে দিয়ে চেষ্টা করিয়ে দেখা যেতে পারে।

আর বোলিং নিয়ে কখনওই তাঁর তেমন একটা প্রশ্ন নেই। ডান-হাতি এই স্পিনার সাকিব-মিরাজ বা তাইজুল-নাসুমদের পাশাপাশি বেশ বৈচিত্র এনে দিতে পারেন বোলিং আক্রমণে।

সৌম্য কিংবা মেহেদী হাসান, অথবা অন্য কেউ – সাত নম্বরের জন্য যাকেই নির্বাচন করা হোক না কেন – সেটা করতে হবে খুবই দ্রুততম সময়ের মধ্যে। কারণ, এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের আগে হাতে সময় নেই বললেই চলে।

লেখক পরিচিতি

সম্পাদক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link