More

Social Media

Light
Dark

জাকের ‘ইমপ্যাক্টফুল’ আলী

প্রথম তিন ওভারে দুই উইকেটে নয় রান। টানা দুই মেইডেন ওভার। সেখান থেকে শেষ দুই ওভারে ২৯ রান। শেষ পাঁচ ওভারে দুই উইকেটে ৫২। বলা যায় – এই রূপান্তরটা সম্ভব হয়েছে একজন ব্যাটারের কারণে।

তিনি জাকের আলী। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তিনি ১১ বলে খেলেন ২৪ রানের অপরাজিত এক ইনিংস। ইমপ্যাক্টফুল ইনিংস বলতে যা বোঝায়, ঠিক তাই করলেন জাকের আলী অনিক।

সিরিজের বাকিটা সময়ের সাথে পঞ্চম টি-টোয়েন্টি উইকেটের বড় একটা পার্থক্য আছে। উইকেট ঠিক মিরপুর শেরে বাংলার চিরায়ত মন্থর গতির না হলেও ঠিক স্পোর্টিং উইকেট নয়। বল আসছে থেমে থেমে। এখানে টার্ন আছে, আছে বাউন্স। এখানে রান করতে হলে সময়ের সাথে মানিয়ে নিতে হবে।

ads

আর সময় যত এগোবে এই উইকেটে রান করা তত সহজ হবে। কিন্তু, ফিনিশারদের জন্য আসলে কোনো কাজই সহজ নয়। তাঁরা যাই করেন, সেটা কম ছিল না যথেষ্ট ছিল – সেটা বুঝতে আসলে অপেক্ষা করতে হয় ম্যাচের শেষ অবধি।

তবে, সাদা চোখে জাকের আলীকে বাংলাদেশের ফিনিশার সমস্যার দীর্ঘমেয়াদে এক সেরা সমাধানই বলা যায়। এই ম্যাচে তিনি রান তুলেছে ২১৮.১৮ স্ট্রাইক রেটে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের ইনিংসে দ্বিতী সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর – ১২৮.৫৭। পার্থক্যটা এখানেই স্পষ্ট।

জাকেরের ইনিংসে ছিল একটি চার ও দু’টি ছক্কা। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল এই ১১ টা ডেলিভারিতে কোনো ডট নেই। মানে তিনি নিজের সামর্থ উজাড় করে দিয়েই ব্যাট চালিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার মাত্র ১০ টি-টোয়েন্টির। আর এই পুরোটা সময়ই জাকের খেলেছেন দেশের পরিচিত কন্ডিশনে। বিশ্বকাপের মত বড় আসরটাই জাতীয় দলের হয়ে তাঁর প্রথম বিদেশ সফর হতে যাচ্ছে। স্নায়ুচাপটা উড়িয়ে দিতে পারলে, এই জাকের হয়তো উড়িয়ে দিতে পারবেন যে কোনো প্রতিপক্ষকেই!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link