More

Social Media

Light
Dark

চেন্নাই সুপার কিংস কেন স্পেশাল?

আইপিএলের অন্যতম সফল ফ্রাঞ্চাইজি চেন্নাই সুপার কিংস। ১৫ টি মৌসুমে আইপিএলে অংশ নিয়ে চারটি শিরোপা জিতেছেন ধোনি-জাদেজারা। আইপিএলের সবকটি মৌসুমেই চেন্নাইকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ধোনি। তবে গত মৌসুমের প্রথম দিকে ধোনির ইচ্ছাতেই নেতৃত্ব দেয়া হয় জাদেজাকে।

তবে জাদেজা প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল এনে দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অধিনায়কত্ব আবারো ফিরিয়ে দেয়া হয় ধোনিকে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই ভেবেছিলেন চেন্নাই ম্যানেজমেন্টের সাথে সম্পর্ক খারাপ হয়েছে ভারতীয় এই অলরাউন্ডারের।

কিন্তু সব সমালোচনায় জল ঢেলে দিয়ে এই মৌসুমেও চেন্নাইয়ের হয়েই খেলছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। জাদেজা জানিয়েছেন চেন্নাই ম্যানেজমেন্ট কতটা সাহায্য করে তার খেলোয়াড়দের। দলের খারাপ সময় ফ্রাঞ্চাইজি ও ম্যানেজমেন্টের সকলে খেলোয়াড়দের পাশে থাকায় আইপিএলে এমন সাফল্য পেয়েছে চেন্নাই, এমনটাই মনে করেন জাদেজা।

ads

জাদেজা বলেন, ‘চেন্নাইয়ের মালিকপক্ষ এবং টিম ম্যানেজমেন্ট কখনোই কোনো খেলোয়াড়ের ওপর চাপ দেয় না। আমি ১১ বছর ধরে চেন্নাই দলে আছি, তাদের মনোভাব এবং এপ্রোচ এখনো পরিবর্তন হয়নি। যখন কোনো খেলোয়াড় পারফর্ম করতে পারে না তখনো তারা সেই খেলোয়াড়কে ভেঙে পড়তে দেন না।’

একটি দলের ড্রেসিংরুমের পরিবেশ অনেকাংশেই দলের সাফল্য ব্যর্থতায় প্রভাবক হয়ে দাঁড়ায়। জাদেজা জানান, চেন্নাই দলে দারুণ একটি পরিবেশ বিরাজ করে। দল কখনো কোনো খেলোয়াড়ের প্রতি পক্ষপাত মূলক আচরণ করে এমনটা কখনোই দেখেননি জাদেজা।

জাদেজা বলেন, ‘দলে সিনিয়র-জুনিয়র বলে কোনো বিষয় নেই। অনুর্ধ্ব ১৯ দল থেকে আসা তরুণ খেলোয়াড়রাও দলের আরেকজন সিনিয়র খেলোয়াড়ের মতই সম্মান এবং মর্যাদা পায়। দলে কোনো চাপ নেই। কোনো খেলোয়াড়ের প্রতি পক্ষপাতিত্ব নেই। ‘

দলের সাফল্যের পেছনে চেন্নাইয়ের ভক্তদের অবদানও অনেক বেশি বলে মনে করেন জাদেজা। চেন্নাই ফ্রাঞ্চাইজিও তাঁর ভক্তদের দলের সাথে একাত্ম করতে বেশ চেষ্টা করে থাকে। ২০১৮ সালে চেন্নাইয়ের মাঠে নিজেদের হোম ম্যাচ গুলো খেলতে পারেনি সুপার কিংস। সে বছর নিজেদের হোম ম্যাচ খেলতে হয়েছে পুনেতে গিয়ে। ওই বছরও পুনেতে গিয়ে দলকে সমর্থম জুগিয়েছেন ভক্তরা।

জাদেজা বলেন, ‘পুনেতে চেন্নাই ফ্রাঞ্চাইজি দুই থেকে তিন হাজার সমর্থকের জন্য সম্পূর্ণ ব্যবস্থা করেছিলো যেন তারা সেখানে থাকতে পারে এবং পুনেতে চেন্নাইয়ের সাতটি ম্যাচই দেখতে পারে। তাদের থাকা খাওয়া সব কিছুই চেন্নাই ফ্রাঞ্চাইজি ব্যবস্থা করেছিলো এবং তাদের চেন্নাইয়ের জার্সিও দেয়া হয়েছিল।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link