More

Social Media

Light
Dark

ঝড়ো সেঞ্চুরির অনন্য দৌড়

জম্পেশ লড়াইয়ে শেষ হয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) লিগ পর্ব। প্লে অফেও দেখা গেছে দুর্দান্ত সব লড়াই। এবারের আইপিএল সাক্ষী হয়েছে বেশ কিছু দুর্দান্ত সেঞ্চুরির। জশ বাটলার, লোকেশ রাহুলদের আধিপত্যের মাঝে এই সেঞ্চুরিতে বিশেষ নজর কেড়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর নায়ক বনে যাওয়া রজত পাতিদার। আসরের দ্রুততম সেঞ্চুরিও করেছেন ব্যাঙ্গালুরুর এই ব্যাটার।

পঞ্চদশ আসরের আইপিএলে মোট সেঞ্চুরির সংখ্যা আটটি। এবারে সেখান থেকে আসরের দ্রুততম সেঞ্চুরির তালিকা করা যাক।

  • জশ বাটলার – ৬৭ বল, প্রতিপক্ষ – মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়াম

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে এবারের আসরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই সেঞ্চুরির দেখা পান জশ বাটলার। খেলেন ৬৮ বলে ১০০ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। ৫ ছক্কা ও ১১ চারে সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করেন এই তারকা।

ads

  • লোকেশ রাহুল – ৬১ বল, প্রতিপক্ষ – মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে পঞ্চদশ আসরে ব্যক্তিগত দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেন লখনৌর অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। বেশ কিছু ম্যাচে স্লো ব্যাটিংয়ের জন্য সমালোচিত হওয়া এই ওপেনার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে মাত্র ৬১ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি। ১২ চার ও ৪ ছক্কায় তাণ্ডব চালিয়ে খেলেন ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস। আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও তিনি; করেছেন ছয়শোর অধিক রান।

  • জশ বাটলার – ৫৯ বল, প্রতিপক্ষ – কলকাতা, ব্রাবোর্ন স্টেডিয়াম

এবারের আসরে ব্যাট হাতে উড়ন্ত ফর্মে ছিলেন রাজস্থান রয়্যালসের ওপেনার জশ বাটলার। এবারের আসরে করেছেন তিন সেঞ্চুরি। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ব্রাবোর্ন স্টেডিয়ামে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির পথে খেলেন ৬১ বলে ১০৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস; ৫৯ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি। ৫ ছক্কা ও ৯ চারে খেলেন ৬১ বলে ১৬৯ স্ট্রাইক রেটে খেলেন বিধ্বংসী এক ইনিংস।

  • কুইন্টন ডি কক – ৫৯ বল, প্রতিপক্ষ – কলকাতা নাইট রাইডার্স, ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়াম

ব্যাট হাতে এবারের আসরে দুর্দান্ত সময় কাটাচ্ছেন লখনৌ সুপার জায়েন্টসের ওপেনার কুইন্টন ডি ককের। তবে লিগ পর্বের একদম শেষ ভাগে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ৭০ বলে খেলেন ১৪০ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস। মাত্র ৫৯ বলে তুলে নেন ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি। ১০ চার ও ১০ ছক্কায় ১৪০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন এই প্রোটিয়া তারকা।

  • জশ বাটলার – ৫৯ বলে, প্রতিপক্ষ – রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু, আহমেদাবাদ                                           

দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে বাটলারের বিধ্বংসী ইনিংসে ব্যাঙ্গালুরুকে হারিয়ে ফাইনালে পা দেয় রাজস্থান রয়্যালস। ১৫৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে বাটলার খেলেন ৬০ বলে ৬ ছক্কা আর ১০ চারে ১০৬ রানের হার না মানা বিধ্বংসী এক ইনিংস। মাত্র ৫৯ বলে দেখা পান সেঞ্চুরির। এবারের আসরের চতুর্থ সেঞ্চুরির পথে বাটলার নাম লেখান আইপিএল ইতিহাসে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির তালিকায়। এক মৌসুমে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ডে বিরাটের চার সেঞ্চুরিতে ভাগ বসিয়েছেন এই ইংলিশ তারকা।

  • জশ বাটলার – ৫৭ বলে, প্রতিপক্ষ – দিল্লী ক্যাপিটালস, ওয়াংখেড়ে, মুম্বাই

এবারের আসরের শুরু থেকে ব্যাট হাতে বাটলারের দাপট চলছিল। প্রতিপক্ষের বোলারদের তুলোধুনো করেছেন এই ইংলিশ তারকা। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে সেঞ্চুরির পরের ম্যাচেই দিল্লী ক্যাপিটালসের বিপক্ষে প্রথম দেখায় খেলেন ৬৫ বলে ১১৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। মাত্র ৫৭ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি; ৯ চার ও ৯ ছক্কা হাঁকান এই তারকা।

  • লোকেশ রাহুল – ৫৬ বল, প্রতিপক্ষ – মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, ব্রাবোর্ন স্টেডিয়াম

রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ফিরেছিলেন গোল্ডেন ডাকে; আসরের দ্বিতীয় গোল্ডেন ডাকে আউট হয়ে সমালোচনার জন্ম দেন। এরপরের ম্যাচেই ফিরেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ৫৬ বলে করেন অনবদ্য এক সেঞ্চুরি। ৬০ বলে ৫ ছক্কা ও ৪ চারে খেলেন ১০৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।

  • রজত পাতিদার – ৪৯ বল, প্রতিপক্ষ – লখনৌ সুপার জায়েন্টস, ইডেন গার্ডেন্স

নিলামে দল পাননি। আরেক খেলোয়াড়ের ইনজুরিতে টুর্নামেন্টের মাঝপথে সুযোগ পেয়েছিলেন দলে। এলিমিনেটরে দল যখন বিপর্যয়ে – দলের প্রয়োজনে নিজের সেরাটা দিলেন ব্যাঙ্গালুরুর ব্যাটার রজত পাতিদার। মাত্র ৪৯ বলে করলেন সেঞ্চুরি; এবারের আসরের দ্রুততম সেঞ্চুরি। ৫৪ বল থেকে করেন ১১২ রান। ১২ চার ও ৭ ছক্কায় ২০৭.৪১ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link