More

Social Media

Light
Dark

কিং ভাজ্জির বিদায়

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন না অনেকদিন ধরেই। ভারতের নীল জার্সি গাঁয়ে শেষ মাঠে নেমেছিলেন আরো বছর পাঁচেক আগে। যদিও ক্রিকেটটাকে ঠিক বিদায় জানাননি এতদিন। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছেন, ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইপিএলও খেলেছেন। এবছর আইপিএলে ছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে। যদিও মৌসুমটা একেবারেই ভালো কাটেনি। তাই হয়তো এবার সবধরনের ক্রিকেটকেই বিদায় জানালেন এই স্পিনার।

নিজের টুইটার একাউন্টে টুইট করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হরভজন সিং নিজেই। সেখানে তিনি ক্রিকেট থেকে বিদায় নেয়ার ঘোষণা দেন। এছাড়া নিজের টুইটে তিনি সবাইকে ধন্যবাদও জানান। প্রায় ২৩ বছরের এই যাত্রাটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি সবার কাছে ধন্য ও কৃতজ্ঞ।‘

এছাড়া ইউটিউবে একটি ভিডিও পোস্ট করে তিনি বলেন, ‘সবার জীবনের এমন একটা সময় আসে যখন কঠিন সিদ্ধান্তগুলো নিতে হয় এবং সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়। ব্যাপারটা কঠিন হলেও এড়িয়ে যাবার উপায় নেই। আমি গত কয়েকবছর ধরেই অবসর নেয়ার জন্য ভাবছিলাম। তবে আমি একটা সঠিক সময়ের অপেক্ষায় ছিলাম যখন সিদ্ধান্তটা সবাইকে জানানো যায়।‘

ads

যদিও ক্রিকেটের থেকে অনেকটা দূরেই আছেন তিনি। খুব বেশি প্রতীযোগিতা মূলক ক্রিকেটও খেলেননি গত কয়েক বছরে। সেসব মাথায় রেখে হরভজন বলেন,’ অনেক দিক থেকে ভাবলে আমি ইতোমধ্যেই ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছি। তবে আমি আনুষ্ঠানিক ভাবে এতদিন অবসরটা নিইনি। আমি অনেকদিন ধরেই ক্রিকেট মাঠে নিয়মিত না। যদিও এবছর আমি আইপিএলে কলকাতার হয়ে খেলেছি। তবে আইপিএল চলাকালীন সময়েই আমি অবসর নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।‘

এবছর কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে সব ম্যাচে একাদশে সুযোগ পাননি। যে তিন ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন সেখানে কোন উইকেটও নিতে পারেননি। সেজন্যই হয়তো ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার কথাটা মাথায় এসেছে কিংবদন্তি এই স্পিনারের। এছাড়া ক্রিকেট মাঠের বাইরে ইদানিং অভিনয়েও বেশ মনোযোগী দেখা যায় এই ক্রিকেটারকে।

ভারতের হয়ে এই স্পিনার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত হয়েছিলেন সেই ১৯৯৮ সালে। অজিদের বিপক্ষে এক ম্যাচে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের নাম লিখান। এরপর আস্তে আস্তে ভারতের স্পিন বোলিং আক্রমণের মূল ভরসা হয়ে উঠেন হরভজন সিং। ভারতের সর্বকালের সেরা স্পিনারদের একজনে পরিণত হন তিনি।

ভারতের হয়ে ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপও জয় করেছেন কিংবদন্তি এই স্পিনার। ভারতের হয়ে মোট ১০৩ টি টেস্ট খেলেছেন। সেখানে তাঁর ঝুলিতে আছে মোট ৪১৭ উইকেট। টেস্টে ২৫ বার ৫ উইকেট ও ৪ বার ১০ উইকেট নেয়ার কীর্তিও আছে তাঁর। এছাড়া ২৩৬ ওয়ানডে ম্যাচেও তাঁর ঝুলিতে আছে ২৬৯ উইকেট। এই ফরম্যাটেও তিনবার ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এছাড়া ২৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও নিয়েছেন ২৫ উইকেট।

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link