More

Social Media

Light
Dark

চার ডাকে নাম যাদের

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) হল ক্রিকেটারদের জন্য অন্যরকম একটা মঞ্চ। এখানে বিশ্বের সেরা সব ব্যাটসম্যান খেলেন ক্যারিয়ারের সেরা সব ইনিংস। আবার মূদ্রার উল্টাপিঠও আছে।

আইপিএলে অনেক কৃতিত্বের রেকর্ড যেমন আছে তেমনি আছে লজ্জার রেকর্ডও। এমনি এক লজ্জার রেকর্ড হলো ‘ডাক’! আইপিএলে এক মৌসুমে চার ম্যাচে শূন্য রানে আউট হয়েছেন এমন ব্যাটসম্যান আছেন পাঁচজন। তাঁদের নিয়েই আমাদের এবারের আয়োজন।

  • হার্শেল গিবস (দক্ষিণ আফ্রিকা)

ads

২০০৮-২০১২ টানা পাঁচ মৌসুমে আইপিএল খেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান হার্শেল গিবস। ডেকান চার্জারস এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এই দুই দলের হয়ে আইপিএল খেলেন তিনি৷ আইপিএলে এক মৌসুমে চার ডাক মেরেছেন এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন হলেন হার্শেল গিবস।

দক্ষিণ আফ্রিকার এই কিংবদন্তি ব্যাটসম্যানের জন্য বেশ লজ্জার রেকর্ডও বটে এটি। ২০০৯ মৌসুমে চার ম্যাচে ডাক মারেন! চার ম্যাচে শূন্য রানে আউট হবার পরেও সেই আসরে ১৪ ম্যাচে ৩৩.৭২ গড়ে ৩৭১ রান করেন তিনি! এবং সেবার ডেকান চার্জারস আইপিএল শিরোপা জয়লাভ করে।

  • মিথুন মানহাস (ভারত)

ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ নিয়মিত পারফর্মার ছিলেন মিথুন মানহাস। আইপিএলে তিনি মোট তিনটি ফ্র‍্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেন। চেন্নাই সুপার কিংস, দিল্লী ক্যাপিটালস এবং পুনে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়ার। মিডল অর্ডারে দারুন ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি অফ ব্রেক বোলিংও করতেন তিনি। প্রয়োজনের সময় টুকটাক উইকেট কিপিংও করতেন তিনি।

২২.৩৫ গড়ে ৫৫ আইপিএল ম্যাচে ৫১৪ রান করেন মিথুন। তার সর্বোচ্চ স্কোর ৪২ রান। ২০১১ আইপিএল আসরে পুনে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়ার হয়ে খেলতে নেমে সেই আসরে তিনি চার ম্যাচে ডাক মারেন। চার শূন্যতে ১০ ম্যাচে সেবার ১১৪ রান করেন তিনি। অবসরের পর তিনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর সহকারী কোচ হিসেবে নিয়োগ পান।

  • মানিশ পান্ডে (ভারত)

ভারতের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মানিশ পান্ডে বর্তমানে আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে খেলে থাকেন। মিডল অর্ডারে হায়দ্রাবাদের অন্যতম ভরসার এই মানিষ পান্ডেও এক মৌসুমে চার ডাকের লজ্জার রেকর্ডে নাম আছে। প্রথম ভারতীয় হিসেবে আইপিএলে সেঞ্চুরি করেন তিমি। ২০১৪ সালের ফাইনালে তার সেই দূর্দান্ত ইনিংসের জন্য শিরোপা জয় করে কলকাতা নাইট রাইডার্স।

  • শিখর ধাওয়ান (ভারত)

২০১২ আসরে পুনে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়ার হয়ে খেলেছিলেন তিনি। তার খেলা ১০ ম্যাচের মধ্যে চার ম্যাচেই শূন্য রানে আউট হন তিনি। সেবার ১০ ম্যাচে ১৪৩ রান করতে সক্ষম হন তিনি। এরপর ২০১৪ আসরে তাকে দলে ভেড়ায় কলকাতা নাইট রাইডার্স।

গত আসরে আইপিএলের প্রথম হাফে খুব একটা ভালো সময় যাচ্ছিলো না দিল্লি ক্যাপিটালসের ওপেনার শিখর ধাওয়ানের। এরপর টানা দুই সেঞ্চুরি করে ফর্মে ফিরেন তিনি এবং দিল্লি ক্যাপিটালসে ফাইনালে তুলেন। তবে ফাইনালে মুম্বাইয়ের কাছে হেরে যায় দলটি। গত আসরে ২০২০ আইপিএলে তিনি চার ম্যাচে শূন্য রানে আউট হন। চার শূন্যের পরেও তিনি ১৭ ম্যাচে ৬১৮ রান করে গত আসরের আইপিএলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান স্কোরার হন! ২০২১ আইপিএলেও তিনি তার সেই ফর্ম ধরে রেখেছেন।

  • নিকোলাস পুরান (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

২০২১ আসরে এখন পর্যন্ত প্রথম পর্ব শেষ হতে না হতেই ইতিমধ্যেই চার ম্যাচে ডাক মেরেছেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরান। পাঞ্জাব কিংসের হয়ে এবারের আসরে এখন পর্যন্ত বেশ বাজে সময়ই কেটেছে তার। পুরানের বাজে পারফরম্যান্স তাদের দলের উপরও বেশ চাপ সৃষ্টি করেছে। প্রথম পর্ব শেষে পয়েন্টস টেবিলে নিচের দিকেই আছে তার দল।

এবারের আসরে ৬ ম্যাচে মাত্র ২৮ রান করেছেন তিনি! তার বাজে পারফরম্যান্সের কারণে শেষ পর্যন্ত তাকে একাদশ থেকে বাদ দেয় পাঞ্জাব। তার বদলি সুযোগ দেওয়া হয় ইংলিশ ব্যাটসম্যান ডেভিড মালানকে। আইপিএলের শেষ পর্বে অবশ্যই ব্যাট হাতে কামব্যাক করার চেষ্টা করবে এই ক্যারিবিয়ান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link