More

Social Media

Light
Dark

চার মাস মাঠেই নামেনি দক্ষিণ আফ্রিকা

দক্ষিণ আফ্রিকা সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ কবে খেলেছে অনুমান করতে পারেন? না পারাটাই স্বাভাবিক, কেননা দলটি গত এপ্রিল মাসের পর থেকে আর মাঠে নামেনি। আরো স্পষ্ট করে বললে, ১৪৮ দিন একই জার্সিতে খেলতে পারেননি প্রোটিয়া ক্রিকেটাররা; সুদীর্ঘ এই অপেক্ষা অবশ্য শেষ হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছে ডি কক, শামসীরা।

যেই কয় মাস দক্ষিণ আফ্রিকা প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়নি সেই সময়টাতেই অজিরা সবমিলিয়ে খেলেছে ২৮ দিন। এর মধ্যে ১০৯৯.১ ওভার ব্যাটিং করেছে, ফিল্ডিং করেছে ৭৭৭ ওভার। সবমিলিয়ে ১৮০০ ওভারের বেশি ব্যাট-বলের সাথে ছিল অজিরা, অথচ এসময় একবারের জন্যও একই ড্রেসিংরুমেও ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা।

তবে এই পার্থক্যকে অজুহাত মানতে নারাজ প্রোটিয়া স্পিনার তাবরাইজ শামসি। তিনি বলেন, ‘আমারা আমাদের গতিতে এগিয়েছি। কঠোর অনুশীলন করে নিজের প্রস্তুত রেখেছি, এখন ম্যাচে গিয়ে নিজেদের সেরাটা দেয়া আমাদের দায়িত্ব।’

ads

অবশ্য অস্ট্রেলিয়া খেলার মাঝে ছিল সেটাকে খুব বড় করে দেখার সুযোগ আসলেই নেই। কেননা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে, অন্যদিকে যেই ২৮দিন মাঠে ছিল অজিরা সে ম্যাচগুলো ছিল সাদা পোশাকে; ইংল্যান্ড এবং ভারতের বিপক্ষে টেস্ট খেলায় ব্যস্ত ছিল দলটি।

এশেজে সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই দলটার মাত্র দুইজন এসেছেন আফ্রিকা সফরে – মিচেল মার্শ এবং ট্রাভিস হেড। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে এই ফরম্যাটে মাঠেই নামেনি অস্ট্রেলিয়া, যদিও গত মার্চেই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে স্বাগতিক দল।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে অবশ্য সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিয়ে নতুনদের সুযোগ দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কুইন্টন ডি কক, হেনরিখ ক্লাসেন, কাগিসো রাবাদা, আনরিখ নর্কিয়ের পরিবর্তে ডাক পেয়েছে ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, ডোনোভান পেরেইরা, জেরাল্ড কোয়েটজির মত তরুণেরা।

এদের ব্যাপারে ব্যাপক আশাবাদী তাবরাইজ শামসি। তিনি বলেন, ‘এই ছেলেদের মধ্যে যে কেউ একাই দলকে ম্যাচ জিততে সক্ষম। ড্রেসিংরুমে নতুনদের স্বাগত জানানো হয়েছে আন্তরিকভাবে। প্রত্যেকেই নিজের মতো থাকছে এবং তারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে। তাঁদের মত ম্যাচউইনার দলে থাকাটা বেশ রোমাঞ্চকর।’

সামনেই বিশ্বকাপ, দুই দলের প্রস্তুতিতে তাই বিশ্বকাপের ছাপ টের পাওয়া যায়। তবে দুই দলের মানসিকতায় রয়েছে পার্থক্য – অস্ট্রেলিয়া এখন থেকেই বৈশ্বিক আসর ঘিরে পরিকল্পনা সাজাচ্ছে, ভারতে উড়াল দেয়ার আগে নিজেদের যাচাই করে নেয়ার মঞ্চ হিসেবেই এই সিরিজ খেলবে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

অন্যদিকে স্বাগতিল দল এগুচ্ছে ম্যাচ বাই ম্যাচ। বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে আরো আট ম্যাচ খেলবে, সেগুলো জেতাই আপাতত লক্ষ্য শামসীদের। তাতে অবশ্য বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবনা থেমে থাকছে না, বহুল আকাঙ্খিত এই টুর্নামেন্টে সেরাটা দেয়ার জন্য মুখিয়ে আছে তাঁরাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link