More

Social Media

Light
Dark

ধোনিদের আস্থায় দুবেরা আকাশ ছুঁতে পারেন

ভারতীয় ক্রিকেটের সাথে যেন ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত হয়ে গেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ভবিষ্যতের খেলোয়াড়দের তিনি প্রতিটা মুহূর্তেই অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি বর্তমান তারকাদেরও টোটকা দিয়ে বাড়িয়ে দিচ্ছেন মনোবল। শিভাম দুবের রয়েছে তেমনই এক গল্প।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের কল্যাণে ভারতে ‘টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট’ খেলোয়াড়দের যেন ভাটা পড়ে না। তাদেরই একজন শিভাম দুবে। ভারত দলে এখনও নিজের জায়গাটা থিতু করতে পারেননি শিভাম। তবে চলমান আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে আলোর রোশনাই নিয়েই হাজির হয়েছেন তিনি।

ব্যাট আর বলে পারফরম করে দলের জয়ে রেখেছেন অবদান। ক্যারিয়ারের মোটে দ্বিতীয় ফিফটি তার এটি। সেটাই বরং প্রমাণ করে ঠিক কতটা দোলাচলের মধ্যে দিয়েই যেতে হয়েছে তাকে। তবে সবকিছুই যেন কেমন একটা বদলে যেতে শুরু করেছে। শিভাম দুবে যেন আগের থেকেও বেশি আত্মবিশ্বাসী। সেটাই বরং ফুটে উঠছে তার পারফরমেন্সে।

ads

সে জন্য অবশ্য মহেন্দ্র সিং ধোনিকেই ধন্যবাদ দিতে চান শিভাম দুবে। ধোনিই যে তাকে দিয়েছিলেন বদলে যাওয়ার টোটকা। সেই ঘটনার স্মৃতিচারণ করেই দুবে বলেন, ‘আমি যখন ব্যাট করতে আসি তখন আমি চেষ্টা করি ফিনিশিং নিয়ে ধোনির কাছ থেকে যা কিছু শিখেছি তা প্রয়োগ করতে। আমি মাহি ভাইয়ের সাথে কথা বলি প্রতিনিয়ত। সে আমাকে বলেছে কি করে বিভিন্ন পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। সে আমাকে দুই-তিনটি উপদেশও দিয়েছেন এবং আমার ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করেছেন।’

ব্যাস, সেখান থেকেই শিভাম দুবে খুঁজে নিয়েছেন নিজের অনুপ্রেরণা। দূর্বার গতিতে ছুটে চলার জ্বালানিও যেন ধোনির কাছ থেকে পাওয়া। এ নিয়ে দুবে বলেন, ‘ আমি মনে সে যদি আমার ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করে তবে আমি ভাল খেলতে থাকব। সে কারণেই আমার আত্মবিশ্বাস বেড়েছে।’

তবে শিভামের সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে রোহিত শর্মাও যে রাখছেন অবদান। অন্তত শিভাম তেমনটিই মনে করেন। তিনি বলেন, ‘তারা দুইজনই (ধোনি-রোহিত) আমাকে উপরের দিকে খেলতে দেন। এখনও অনেক কাজ করার বাকি। আমি জানি তারা আমাকে সাহস জুগিয়ে যাবেন এবং তারা প্রত্যাশা করেন আমি ভাল করি।’

স্রেফ ব্যাট হাতেই পারফরমেন্সেই থেমে থাকেননি শিভাম। নিজের বোলিংয়ের ঝলকও দেখিয়েছেন। নিয়েছেন একটি উইকেট। বোলিংয়ে বেশ উন্নতিই করেছেন তিনি। সে জন্য অবশ্য নিজেকে প্রস্তুত করেছেন। মৌসুম বিরতিতে অনুশীলনে ঘাম ঝড়িয়েছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটকে কাজে লাগিয়েছেন পরিপূর্ণভাবে।

নিজের বোলিংয়ের উন্নতি নিয়ে শিভাম বলেন, ‘হঠাৎ করেই পরিবর্তন আসেনি। অফ-সিজনে আমি আমার ফিটনেস নিয়ে প্রচুর কাজ করেছি। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক বল করেছি, যে কারণে উন্নতি এসেছে আমার বোলিংয়ে। আমি প্রয়োজনীয় গতির সাথে সঠিক স্থানে বল করতে পেরেছি।’

উন্নতি হয়েছে। শিভাম দুবে চেষ্টা করেছেন। নিজের সীমাবদ্ধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। শেষমেশ মাঠে পেয়েছেন পরিশ্রমের পুরষ্কার। ম্যাচ সেরার পুরষ্কারটাও উঠেছে যে তার হাতে। এটাই নিশ্চয়ই শিভামের শেষ নয়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link