More

Social Media

[ivory-search id="135666" title="Post Search"]
Light
Dark

যাবে যাও, তুমি বুকে ব্যথা নিয়ে যেয়ো না

যখন সব কিছু ছেড়ে একটু শান্তির খোঁজ করার কথা, তখন কেউ একজন হাজির নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে। বয়সটা ঠিক যখন ৩৮ এর ঘরে তখন দানি আলভেস ফিরলেন তাঁর পুরোনো ঘরে। বার্সেলোনায় তিনি এলেন দ্বিতীয় দফা। এবার এককালের সতীর্থ জাভির ডাকে।

জাভি তো দলটা করছেন পুনর্গঠন। আর দলে আলভেসের মত একজন অভিজ্ঞ কাওকে চাইছিলেন জাভি। ঠিক তখনই সতীর্থের ডাকে সাড়া দিয়ে অলস বসে থাকা আলভেস আবার গায়ে তুললেন কাতালানদের জার্সি। সাদরে তাকে আবার নিজেদের বুকে টেনে নিলেন বার্সা সমর্থকেরা।

দ্বিতীয় দফা ক্যাম্প ন্যু-তে এসেই যে আহামরী পরিবর্তনের কারিগর বনে যেতে পেরেছিলেন আলভেস তা কিন্তু নয়। তবে এ কথা সত্য, তিনি দলের মাঝে আলাদা একটা প্রাণ সঞ্চার করেছিলেন। একঝাক তরুণ খেলোয়াড়। সাথে পুরোনো কিছু বন্ধু।

ads

তবে তিনি যেন বনে গেলেন পুরো দলের অঘোষিত নেতা। এই বুড়ো বয়সে এখনও দারুণ ফুলব্যাক। এখনও সেরা তরুণ ফুলব্যাকদের সাথে তাল মিলিয়ে লড়াই করে যেতে পারতেন আলভেস। সেটাই করে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। এখনও ব্রাজিলের জাতীয় দলের প্রথম পছন্দ তিনি।

তিনি মাঠে নামা মানেই খেলার ধরণে ব্যাপক পরিবর্তন। তিনি আলাদা একটা গতি ছড়িয়ে দিতে পারেন। আর তাঁর মত অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ড্রেসিং রুমে থাকা মানেই যেন আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন। কখনই খুব রুক্ষ মানসিকতার ছিলেন না দানি আলভেস। বরং তিনি বরাবরই সদা হাস্যজ্বল একজন। তিনি মূলত বার্সেলোনার দর্শনটাই ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন উদীয়মান তারকাদের মাঝে।

জাভি অন্তত তাঁর কাছ থেকে সেটুকুই প্রত্যাশা করেছিলেন। সে কাজটা খুব ভালভাবেই করে যেতে পারলেন আলভেস। হ্যা তিনি বিদায় নিচ্ছেন। হয়ত এবারই শেষ বিদায়। ৩৯ বছর বয়সে নিশ্চয়ই তিনি আরও একবার কাতালান পতাকাতলে ফিরবার স্বপ্নে বিভোর হবেন না।

এই একটা মৌসুমেই তিনি গাভি, পেদ্রি, তোরেসদের মাঝে বার্সার দর্শনটা ঢুকিয়ে দিয়ে যেতে পেরেছেন। তিনি নিশ্চয়ই পেরেছেন কঠিন মুহূর্তেও সাজঘরের পরিবেশটা শান্ত রাখতে। এর থেকে বেশি কিছু চাওয়া ছিল না দানি আলভেসের। তবুও তিনি করে গেছেন। লা লিগায় ১৪ ম্যাচে তিনি গোলের দেখাও পেয়েছেন।

একখানা গোলের বিপরীতে তিনি তিনখানা অ্যাসিস্টও করেছেন। দলকে লা লিগার দ্বিতীয় স্থানে নিয়ে আসতে যতটুকু সম্ভব তিনি করে গেছেন। আসলে মাঠের খেলায় গোল কিংবা অ্যাসিস্ট দিয়েও একজন খেলোয়াড়কে পরিপূর্ণ বিচার করাটা অনর্থক। দানি আলভেস যতক্ষণ মাঠে থেকেছেন ততক্ষণ প্রতিপক্ষের আক্রমণ নস্যাৎ করেছেন।

আবার তরুণ তুর্কিদের পূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত করে তাদের দিয়ে আক্রমণে সাজিয়েছেন। ৩৮ বছরের ক্লান্ত হয়ে যাওয়া এক শরীর নিয়েও তিনি বিচরণ করে গেছেন মাঠের প্রতিটি কোণায়। তবে সে সময়ের হয়ত ইতি হয়েছে। নতুন করে সাজানোর সময় হয়েছে। জাভির দলে দানি আলভেসের প্রয়োজন ফুরিয়ে এসেছে। তাই মায়ার বাঁধন ছিড়ে আবারও প্রস্থান আলভেসের।

এদফা নি:স্বার্থভাবেই তিনি এসেছিলেন। ক্লাবের মায়ায়। ভালবাসার টানে। ফুটবল নামক খেলাটার পুরোটা জুড়েই যে আবেগ জড়িয়ে। দানি আলভেস সেটাই যেন আরও একদফা প্রমাণ করে বিদায় নিলেন। নিশ্চয়ই বিদায় বেলায় কাতালান সমর্থকর বলেছেন, ‘গ্রাসিয়াস লেয়েন্দা’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link