More

Social Media

Light
Dark

ঘরের মাঠে চট্টগ্রামের জয়

নিজেদের ঘরের মাঠে প্রথম দিন ম্যাচ জিততে পারেনি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তবে পরের দিনই আবার মাঠে নেমেছে দলটা। সুযোগ ছিল ঘরের দর্শকদের সামনে একটা জয় তুলে নেয়ার। আর সেই সুযোগটা হাতছাড়া করেনি তাঁরা। আফিফের ব্যাটে চড়ে পেয়ে গিয়েছে নিজেদের দ্বিতীয় জয়।

ওদিকে চট্টগ্রামে আগে ব্যাট করতে নেমেছিল ঢাকা ডোমিনেটর্স। ঢাকার দুই ওপেনার মিজানুর রহমান ও উসমান ঘানি ধীরস্থির শুরু করে। দুজনের মিলে গড়েন ৬০ রানের বিশাল জুটি। সেই জুটিকে পরে কাজে লাগিয়েছেন নাসির হোসেন, আরিফুল হকরা। তবে ঢাকার ব্যাটিং অর্ডারের মধ্যমনি সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুনরা আজও রানের দেখা পাননি।

মিডল অর্ডারের ব্যর্থতার পর আবারো অধিনায়ক নাসিরের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ঢাকা।  নাসির ২২ বল থেকে খেলেন ৩০ রানের ইনিংস। তাঁর সাথে ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন আরিফুল হকও। এই ব্যাটার ১৮ বল থেকে করেছেন ২৯ রান। ব্যাটিং করেছেন ১৬০ এর বেশি স্ট্রাইকরেটে।

ads

এই দুজনের ব্যাটে ভর করে শেষ পর্যন্ত ১৫৮ রান করে ঢাকা। দিনের শেষে ম্যাচে জিততে হলে খানিকটা কঠিন পথই পারি দিতে হত চট্টগ্রামকে। তাসকিনদের বিপক্ষে রান তাড়া করতে নেমেও দায়িত্বটা আজ কাঁধে তুলে নিলেন আফিফ হোসেন।

আগের ম্যাচগুলোতে চার পাঁচেই ব্যাটিং করেছেন আফিফ। তবে সেভাবে নিজেকে প্রমাণ করতে পারেনি। আজ অবশ্য আফিফ ব্যাট করতে নেমেছেন তিন নাম্বার পজিশন। বাইশ গজে নিজেকে যথেষ্ট সময় দিয়েছেন। আর আফিফ সময় পেলে কী করতে পারেন সেটা তো সবারই জানা আছে।

ঢাকার বোলাররা টের পেল আফিফের সেই কঠিন রূপ। তাসকিন, আরাফাত সানিদের খেলেছেন খুব স্বাচ্ছন্দের সাথেই। আফিফের সামনে বাঁধা হতে পারেননি কেউই। ফলে আফিফের ব্যাটে ভর করেই জয়ের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

যদিও আফিফফে সেভাবে সঙ্গ দিতে পারেনি দলটির কেউই ।তবুও শেষ দিকে রাসুলি আল আমিনের ওভারে মেরেছেন চারটা বাউন্ডারি। আর ধীরে ধীরে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন এই দুজনে মিলে। আফিফ খুব বেশি রিস্ক না নিয়েই রানের চাকা সচল রেখেছেন। শেষ পর্যন্ত ৫২ বল থেকে আফিফ করেছেন ৬৯ রান।

ওদিকে ঢাকার হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন তাসকিন আহমেদ। প্রথম দুই ওভারে মাত্র ৩ রান খরচ করেই এক উইকেট পেয়েছিলেন এই পেসার। এছাড়া স্পিনার আরাফাত সানিও চার ওভারে ২২ রান খরচ করে পেয়েছেন এক উইকেট। তবে এসব কিছুই যথেষ্ট ছিল না আফিফের সামনে।

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link