More

Social Media

Light
Dark

ক্যাম্পবেলদের ‘বাপ কা বেটা’

বাবার পথেই হাটলেন জনাথন ক্যাম্পবেল। বাংলাদেশকে যেন বানিয়ে ফেললেন নিজের পছন্দের প্রতিপক্ষ। নিজের অভিষেক ম্যাচেই বাংলাদেশের চোখে চোখ রেখেই ব্যাট চালালেন তিনি। জিম্বাবুয়ের দূর্বল ব্যাটিং অর্ডারের এক রত্তি স্বস্তি হয়ে চট্টলার বুকে ধরা দিলেন জনাথন ক্যাম্পবেল।

এক সময় এই জনাথন ক্যাম্পবেলের বাবা ছিলেন বাংলাদেশের ভয়ের কারণ। দারুণ সব ইনিংস খেলে গেছেন অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেল। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে খেলেছিলেন ৯৭ রানের এক ঝকঝকে ইনিংস। অল্পের জন্যে একটি শতক বঞ্চিত হয়েছিলেন অ্যালিস্টার।

সেই একই দশা যেন এবার হল জনাথনের। বাংলাদেশের বিপক্ষে জনাথন নেমেছিলেন অভিষেক ম্যাচ খেলতে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে তিনি খেললেন দারুণ এক ইনিংস। স্রেফ ২৪ বলে ৪৫ রানের ঝড় বইয়ে দিলেন সাগরিকার বুকে। জিম্বাবুয়ের সেই সোনালী অতীতের একটা ঝলক যেন আবর্তীত হয়েছিল এদিন। বাবার মতই মাইলফলক ছুঁতে না পারার আক্ষেপ হয়ত জন্মেছে জনাথনের।

ads

১৮৭ স্ট্রাইকরেটের ইনিংস জনাথন খেলেছেন। নিজের অভিষেক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বিবেচনায়, পরিস্থিতি বিবেচনায় তার ইনিংসটি ছিল কার্যকর ও যথার্থ। টসে হেরে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ে ৪২ রানে হারায় ৫ উইকেট। সেখান থেকে দলের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নেন জনাথন। দলকে অন্তত একটুখানি স্বস্তি এনে দিতে চাইলেন।

সে কাজটায় সফলতা অবশ্য পেয়েছেন জনাথন। ৩টি বিশাল ছক্কার পাশাপাশি চারটি চার এসেছে তার ব্যাট থেকে। সেই বাউন্ডারি গুলোই আসলে জিম্বাবুয়েকে ১৩৮ এর একটা স্বস্তি জাগানিয়া সংগ্রহের কাছে অবধি দিয়ে গেছে। বাবার মতই সময়ের চাহিদা মেনে ব্যাটিং করতে অন্তত জানেন তিনি।

সেই ১৯৯৭ সালে তার বাবা অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেল ওয়ানডে অভিষেকে ৩১ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এরপর জনাথন আধুনিক এই যুগের চাহিদা মিটিয়ে ২৪ বলে ৪৫ রানের ইনিংস উপহার দিলেন। তাতে অন্তত বোঝা যায়, বাবার কাছ থেকে দীক্ষাটা বেশ ভালই পেয়েছেন তিনি।

জনাথন জানেন বর্তমান সময়ে মন্থর গতির ব্যাটিংয়ের কোন মানে নেই। তিনি জানেন দল দূর্বল হতে পারে, তাই বলে নিজেকে দূর্বল ভাববার বিশেষ কোন কারণ নেই। এই যুগে ক্রিকেটের বুকে টিকে থাকতে হলে প্রয়োজন সাহস নিয়ে আক্রমণ করা। সেই সাহসটাই দেখিয়ে গেছেন তিনি। জনাথন যেন বলে গেলেন, খোলসবন্দী হয়ে থাকতে তিনি আসেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link