More

Social Media

Light
Dark

সৌম্য-রিয়াদের ঝড়ে ডুবলো ঢাকা

কোন কিছুতেই ভাগ্য বদলাচ্ছে না দুর্দান্ত ঢাকার, একের পর এক ম্যাচ হেরেই যাচ্ছে তাঁরা। সবশেষ ফরচুন বরিশাল জয় তুলে নিয়েছে দলটির বিপক্ষে; সৌম্য সরকার, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ৪০ রানে জিতেছে তামিম ইকবালরা। এই জয়ে সেরা চারের লড়াইও বেশ জমে উঠেছে।

আগে ব্যাট করা বরিশাল অবশ্য সূচনাতেই বড়সড় ধাক্কা খায়। শরিফুল ইসলাম নিজের প্রথম ওভারে আউট করেন তামিম ইকবালকে, পরের ওভারেই তাসকিনের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মোহাম্মদ শেহজাদ ও মুশফিকুর রহিম। ১৯ রানে তিন উইকেট হারিয়ে তখন দিশেহারা হয়ে পড়ে দলটি।

সেসময় দলের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ আর সৌম্য সরকার। দুজনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে তেরো ওভারেই তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছে যায় দলীয় সংগ্রহ। ততক্ষণে হাফসেঞ্চুরির দেখা পেয়ে যান সৌম্য, খানিক পরে রিয়াদও ছুঁয়ে ফেলেন অর্ধশতকের মাইলফলক। আউট হওয়ার আগে এই ডানহাতি করেন ৪৭ বলে ৭৩ রান।

ads

তবে অবিচল ছিলেন সৌম্য, ৭৫ রান করে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। ফিনিশারের ভূমিকায় নেমে শোয়েব মালিকও খেলেছেন কার্যকরী ক্যামিও। তাতেই ১৮৯ রানের পাহাড়সম পুঁজি পেয়েছে বরিশাল।

জবাবে ব্যাটিংয়ে এসে দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার সাব্বির হোসেনের উইকেট হারায় ঢাকা। আগের ম্যাচের মত দারুণ কিছু করে দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন মোহাম্মদ নাইম আর সাইফ হাসান। কিন্তু ব্যক্তিগত দশ রানের মাথায় নাইম ফিরলে সেই আশা ভেঙে যায়, সাইফও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ, আউট হন ১২ রানে।

দ্রুত তিন উইকেটের পতন ঘটার পর জয়ের স্বপ্ন দেখার সাহস হয়নি তাসকিনদের, কেবলই ব্যবধান কমাতে চেয়েছে দলটির ব্যাটাররা। এসএম মেহরাবের ২৯ বলে ২৮ রানের ইনিংস অন্তত সেই কথা বলে। দলীয় ৮০ রানের মাথায় মেহরাবের উইকেট হারানোর পর আর কেউই দাঁড়াতে পারেননি।

ব্যতিক্রম ছিলেন অ্যালেক্স রস, সতীর্থদের আসা যাওয়ার মাঝেও একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন তিনি। নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে করেছেন ৫২ রান, শেষপর্যন্ত এতে ভর করেই ১৪৯ করে ঢাকা। ফলতঃ ৪০ রানের বড় পরাজয়ের স্বাদ পায় তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link