More

Social Media

Light
Dark

প্রথম বিশ্বকাপ, প্রথম জয়, প্রথম অজি বধ

কয়েক ঘণ্টা আগেই আইসিসি তাঁদের ফেসবুক পেজে মেয়েদের যুব বিশ্বকাপ শুরু হবার ঘোষণা দিয়েছে একটা ভিডিও আপলোড দিয়ে। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের পেসার মারুফা আক্তারের স্যুইংয়ে পরাস্ত হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার। কমেন্ট্রিবক্স থেকেও একটা বিস্ময়ের সুর ভেসে আসছে। সেই বিস্ময় বাংলাদেশ যুব নারী দল ধরে রেখেছে ম্যাচের শেষ অবধি।

এবারই প্রথম অনুষ্ঠিত হচ্ছে যুব নারী বিশ্বকাপ। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এই টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ দল। দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই মাঠে নেমেছে দিলারা আক্রাররা। তবে প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশের বড় প্রতিপক্ষ। দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনে খেলতে হবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।

ads

তাতে অবশ্য উনিশ না পেরোনো এই তরুণীরা ঘাবড়ে যান না। নিজেদের প্রমাণ করার ক্ষুধাটা যেন আরো বেরে যায়। পেস বোলিং কন্ডিশনে বল হাতে শুরুটা মন্দ করেননি মারুফা, দিশা, অর্থিরা। তাঁদের পেস আক্রমণে শুরু থেকেই বিপাকে অস্ট্রেলিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দল। তবে ক্লাইর মোরের অর্ধশতকে আগে ব্যাট করা অস্ট্রেলিয়া করে ফেলে ১৩০ রান।

দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৩১ রান চেজ করে ম্যাচ জেতাটা সহজ ছিল না বাংলাদেশের জন্য। তবে বাংলাদেশের এই ব্যাটাররা নিজেদের প্রমাণ করলেন বিশ্বমঞ্চে। বড় দলকে হারানোর সুযোগটা তাঁরা যেন কোনভাবেই হাতছাড়া করতে চান না।

তাইতো ম্যাচের শুরু থেকেই জয়ের জন্য খেলতে থাকে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দল। ওপেনার আফিয়া প্রত্যাশা খেলেন ২২ বলে ২৪ রানের ইনিংস। আর দিলারা আক্তারের ব্যাট থেকে আসে ৪০ রান। তবে এই দুজন আউট হয়ে গেলে খানিকটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তখনো জিততে হলে প্রয়োজন ৬০ রান। হাতে আছে সাত উইকেট।

তবে এরপর আর বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে দেননি দুই মিডল অর্ডার ব্যাটার স্বর্না আক্তার ও সুমাইয়া আক্তার। স্বর্ণা ১৮ বল থেকে করেন ২৩ রান। আর সুমাইয়া ২৫ বলে খেলেন ৩১ রানের ইনিংস। সুমাইয়ার ব্যাট থেকে এসেছে পাঁচটি চারও।

আর এই দুজনই বাংলাদেশের হয়ে ম্যাচটা শেষ করে এসেছেন। দুজনের ৬১ রানের জুটিতে সাত উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাঁরা যেন ভয়ডরহীন।

অথচ এই গ্রুপে অস্ট্রেলিয়াই ছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ। এছাড়া গ্রুপ ‘এ’ থেকে শ্রীলঙ্কা আর আমেরিকার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ফলে পরের রাউন্ডে যাওয়া এখন প্রায় নিশ্চিতই বলা যায়।

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link