More

Social Media

Light
Dark

ধারাবাহিক শতকের স্রোতে গা ভাসিয়েছেন ওয়ার্নার

হোচট খেয়ে শুরু অস্ট্রেলিয়ার। তবে মোমেন্টাম ফিরে পেতে সময় লাগেনি পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। সেই মোমেন্টাম ফিরে পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই অবদান অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের। পরপর দুই ম্যাচে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন বর্ষিয়ান এই তারকা ব্যাটার।

নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারেননি তিনি। তাতে প্রথম দুই ম্যাচই হারতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। তবে তিনি ফেরার ইঙ্গিত দিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে।

দূর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬৩ রান করেন ওয়ার্নার। এরপরই অপেক্ষাকৃত দূর্বল প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও সেঞ্চুরি তুলে নিলেন বা-হাতি এই ওপেনার। তবে কাগজে-কলমে ডাচরা দূর্বল প্রতিপক্ষ হলেও, জায়েন্ট কিলার হিসেবে ইতোমধ্যেই আলোড়ন সৃষ্টি করে ফেলেছে স্কট এডওয়ার্ডসের দল।

ads

চলমান বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি দলীয় রান করা দল দক্ষিণ আফ্রিকা। পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই জিতেছে তারা। সেই দলকে ধরাশায়ী করেছে নেদারল্যান্ডস। এমন একটা দলের বিপক্ষে বাড়তি সতর্কই থাকতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। আর যেকোন বিরুপ পরিস্থিতি সামলে নেওয়ায় পটু ডেভিড ওয়ার্নার।

শুরুতেই আগের দিনের আরেক সেঞ্চুরিয়ান মিচেল মার্শ ফিরে যান প্যাভিলনে। স্বাভাবিকভাবেই বাড়তি দায়িত্ব এসে পড়ে ওয়ার্নারের কাঁধে। সেই দায়িত্ব পালনে কোন রকম ভুল করেননি ডেভিড ওয়ার্নার। ডাচদের বিপক্ষে একটা প্রান্ত আগলে রেখেছেন। সেই সাথে দলীয় রানের চাকা সচল রেখেছিলেন তিনি।

স্লথ হয়নি তার রান তোলার গতি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আরিয়ান দত্ত-কে টানা চারটি চার মেরে আগ্রাসনের বার্তাই দিয়ে রাখেন ডেভিড ওয়ার্নার। ব্যক্তিগত ৪০ তম বলে ভিক্রামজিতের বলের চার মেরে অর্ধশতক পূরণ করেন অজি ওপেনার।

এরপর তিনি এগিয়ে যেতে থাকেন নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দিকে। চলার পথে স্টিভেন স্মিথকে সঙ্গী করে গড়েন ১৩২ রানের জুটি। তাতেই বড় সংগ্রহের ভীত তৈরি হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার জন্যে। এরপর ব্যক্তিগত ৭১ রানের মাথায় স্মিথ ফিরে গেলে ওয়ার্নার জুটি গড়েন মার্নাস লাবুশেনের সাথে। এই জুটি থেকে আসে ৮৪ রান। ৬২ রান করে লাবুশেনও ফেরেন প্যাভিলনে।

তখনও ওয়ার্নারের সেঞ্চুরি হওয়া বাকি। হাফ সেঞ্চুরির মত সেঞ্চুরিও তিনি আদায় করেন বাউন্ডারি হাকিয়ে। এদফা বাস ডি লিডের বাউন্সারকে পুল শটে সীমানার বাইরে পাঠান বলকে। তাতেই তিনি পেয়ে যান নিজের ক্যারিয়ারের ২২তম সেঞ্চুরি। তাছাড়া এবারের বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিও আদায় হয়ে যায় তার।

এই ব্যাটারের দারুণ ফর্মের উপর ভর করেই এগিয়ে যাওয়ার নতুন উদ্দ্যম খুঁজে নিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। ওপেনিং পজিশনটায় অজিদের ভরসা জোগাচ্ছেন ডেভিড ওয়ার্নার। এদিন তাকে অবশ্য বেশ আগেভাগেই থামতে হয়েছে। ব্যক্তিগত ১০৪ রানে ফাইন লেগে আরিয়ান দত্তের তালুবন্দী হতে হয় তাকে। ৯৩ বল খেলে লোগান ভ্যান বিকের উইকেটে পরিণত হন ওয়ার্নার।

তাতে অবশ্য খুব একটা বিপাকে পড়তে হয়নি অস্ট্রেলিয়াকে। ২৬৭ রান যে ততক্ষণে জমা হয়ে গিয়েছে স্কোরবোর্ডে। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, প্যাট কামিন্সরা পরবর্তীতে সংগ্রহ বাড়িয়ে নিয়ে গেছেন নেদারল্যান্ডসের নাগালের বাইরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link