More

Social Media

Light
Dark

তবুও জয় পেলেন না তামিম-রিয়াদরা

বহুদিন বাদে তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা ফিরেছিলেন বাংলাদেশ দলে। তারা দুইজনে ব্যাট হাতে লড়াই করেছেন। তবুও জয় নিয়ে ফিরতে পারেননি। বাকিদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৮৬ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। সেই সাথে সিরিজে পিছিয়ে গেছে ১-০ ব্যবধানে।

বৃষ্টির শঙ্কা মাথায় নিয়েই টস হয়েছে। আকাশ তখনও ছিল মেঘলা। টসে জিতে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক লোকি ফার্গুসন সোজাসাপ্টা ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন। টসে হেরে বল হাতে বাংলাদেশ। দলে আবার দুই বদল। ইনজুরি আক্রান্ত তানজিম হাসান সাকিবের পরিবর্তে দলে এলেন হাসান মাহমুদ। নুরুল হাসান সোহানকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ নামলো পাঁচজন স্বীকৃত বোলার নিয়ে। অভিষেক হয় খালেদ আহমেদের।

টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত বেশ অস্বস্তিতেই ফেলে দিলো নিউজিল্যান্ডকে। শুরুতেই হারাতে হয় উইকেট। নতুন বল বাইশ গজে গতিপথ বদলেছে। তাতেই কুপকাত ব্ল্যাকক্যাপস ব্যাটাররা। মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিং তোপে ৩৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে নিউজিল্যান্ড। ব্যাটিং বিপর্যয় সামাল দেওয়া প্রয়োজন। আগের দিনের মতই হাল ধরলেন হেনরি নিকোলাস। এবার তার সঙ্গী টম ব্লান্ডেল। দুইজনে মিলে ৯৫ রানের জুটি গড়েন। সেই জুটি ভাঙেন অভিষেক হওয়া খালেদ আহমেদ।

ads

হেনরি নিকোলাসকে ৪৯ রানে আউট করেন খালেদ। তবুও বাংলাদেশ চেপে ধরতে পারেনি নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের। ছোট ছোট কার্য্যকর সব জুটি গড়েন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা। তাতেই ২৫৪ অবধি পৌঁছে যায় ব্ল্যাকক্যাপসরা। তবে ততক্ষণে ঘটে যায় বিতর্কিত এক ঘটনা। হাসান মাহমুদ মানকাড আউট করেন ইশ সোদিকে।

তবে পরবর্তীতে অধিনায়ক লিটন দাস ও হাসানের অনুরোধে ইশ সোদিকে ফিরিয়ে আনা হয়। যদিও ক্রিকেটের আইন অনুযায়ী সেটি যথার্থ এক আউটই ছিল। শেষ অবধি ইশ সোদি ৩৫ রানে আউট হন শেষ উইকেট হিসেবে। তার উইকেটও তুলে নেন খালেদ আহমেদ। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৮ রান আসে ব্লান্ডেলের হাত ধরে। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন শেখ মেহেদী ও খালেদ আহমেদ।

২৫৫ রানের লক্ষ্যমাত্রায় বাংলাদেশ শুরুটা করে একটু রয়েসয়ে। তবে ধীর সেই শুরুতেও বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি লিটন কুমার দাস। ছয় রান করে কাইল জেমিসনের শিকারে পরিণত হন। তার বিদায়ের পর তরুণ তানজিদ হাসান তামিম আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে আশা জোগাতে থাকেন। তবে সেটাও ছিল ক্ষণস্থায়ী। তানজিদ তামিমের বিদায়ের পর দ্রুতই প্যাভিলনের পথ ধরেন সৌম্য সরকার ও তাওহীদ হৃদয়। সবচেয়ে হতাশ করেছেন সৌম্য সরকার। শূন্যরানে সাজঘরে।

তবে ততক্ষণ অবধি তামিম ইকবাল একটা প্রান্ত আগলে রাখার চেষ্টা করেছেন। তবে তাকেও ফিরতে হয়। ৪৪ রান করা তামিম যখন আউট হয়ে ফেরেন, তখন বাংলাদেশ ৯২ রানে হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। তামিমও দেখিয়েছেন মহানুভবতা। অযথা সময় নষ্ট করেননি নিজের আউটকে ঘিরে। আম্পায়ার বুঝতে না পারলেও তিনি নিজের ব্যাটে বল ছোঁয়ার বিষয়টি মেনে নিয়ে চলে যান প্যাভিলনে।

এরপর বাংলাদেশ দলের একেবারে নাজেহাল অবস্থা। যদিও সেই পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেন তামিমের মতই বহুদিন বাদে ফেরা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দলের হাল ধরবার সুখ্যাতি থাকা রিয়াদ আরও একবার হাল ধরেন। জয়ের আশা তখনও টিমটিম করে জ্বলতে থাকে। তবে দলীয় ১৩৪ রানে শেখ মেহেদী ও ১৪৯ রানে ব্যক্তিগত ৪৯ করা রিয়াদ ফিরে যাওয়ার পর জয়ের স্বপ্ন ধুলিসাৎ হয় বাংলাদেশের।

বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসের ধ্বস নামান ইশ সোদি। টপ অর্ডার থেকে লোয়ার অর্ডার অধিকাংশ উইকেটই গেছে তার পকেটে। ৬ উইকেট নিয়েছেন ব্ল্যাকক্যাপসদের এই লেগ স্পিনার। যদিও শেষের দিকে নাসুম আহমেদ তুলেছিলেন ঝড়। সেই ঝড় কেবলই হারের কালক্ষেপণ করেছে। ১৬৮ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। তাতে ৮৬ রানের লজ্জায় পড়ে লিটন দাসের দল।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৪ রান। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৩৯ রানে ৬টি উইকেট নিয়েছেন ইশ সোধি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link