More

Social Media

Light
Dark

বিরাটের পর শচীনকেও বিদায় করলেন সেই গিল

লিটল মাস্টার সুনীল গাভাস্কার যেদিন থেমেছিলেন সেদিন অনেকেই ভেবেছিলেন আর কেউ হয়তো আসবে না যে কিনা তাঁর রেকর্ড গুলো ভাঙবে। সুনীলের পর শচীন এলেন। সব রেকর্ড ভেঙেচুড়ে নিজের নাম বসালেন।

শচীনের থামার আগেই ভারতীয় ক্রিকেটে আবির্ভূত হয়েছিলেন নতুন যুবরাজ কোহলি ৷ শচীনের অবিশ্বাস্য সব রেকর্ড তাড়া করে চলা কোহলি ব্যাট হাতে থামা থেকে এখনো বেশ কয়েক বছর দূরে আছেন। তবে এই বুঝি ভারতীয় ব্যাটিংয়ের নতুন যুবরাজের আবির্ভাব হলো। সেই আভাসটা এখন প্রায় বাস্তবে পরিণত করে ফেলেছেন শুভমান গিল।

লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি করে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত করেছিলেন বিরাট কোহলির। এবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে সেঞ্চুরি করে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় করে দিলেন শচীন টেন্ডুলকারকেও। মুম্বাইয়ের মেন্টর হিসেবে কাজ করা শচীন মুম্বাইয়ের ডাগআউটে বসে দেখেছেন তাঁর উত্তরসূরির এমন দানবীয় ব্যাটিং প্রদর্শনী।

ads

২০২৩ সালটাই যেন শুভমান গিলের। এ বছরটায় যা যা করতে চাচ্ছেন সবই যেন ফলে যাচ্ছে। কিংবা বলা যায় ২০২৩ সালটা আলাদিনের চেরাগ হাতে নিয়ে শুরু করেছিলেন গিল। এবছর নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি করেছেন, সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে হাঁকিয়েছেন দ্বি-শতক। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টেও করেছেন সেঞ্চুরি। আর আইপিএল তো কাটছে স্বপ্নের মত। সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচেই হাঁকিয়েছেন তিনটি সেঞ্চুরি।

দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে শুভমান গিল ছিলেন আরাও ভয়ংকর। মাত্র ৪৯ বলে নিজের তৃতীয় আইপিএল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। ৬০ বলে ১২৯ রানে ইনিংসে দলকে তুলেছেন ফাইনালে। এই ইনিংসেই ৮৫১ রান নিয়ে টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক হয়েছেন।

কোহলির পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে এক আসরে ৮০০ এর বেশি রানও করে ফেললেন। তাঁর এই ৮৫১ রান আইপিএলের এক আসরে তৃতীয় সর্বোচ্চ। ফাইনালে সেই রানকে গিল কোথায় নিয়ে যান সেটিই দেখার বিষয়।

ম্যাচের ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার তাকে অভিনন্দন জানান। এরপর শচীনের সাথে দীর্ঘক্ষন কথা বলতে দেখা যায় গিলকে ৷ মুম্বাইয়ের ডাগ আউটে শচীন আর গিলের এই কথোপকথনের ছবি মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

ম্যাচসেরার পুরষ্কার নেবার পর গিল বলেন, ‘আমি বল বাই বল, ওভার বাই ওভার খেলতে চেয়েছি। যে ওভারে আমি তিনটি ছক্কা মারলাম এরপরই আমি বড় ইনিংস খেলার শুরুটা পেয়ে যাই। তখনই আমি বুঝতে পারি এই দিনটা আমার। এছাড়াও উইকেটটা ব্যাটিং করার জন্য ভালো ছিল।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link