More

Social Media

Light
Dark

সেদিন কোহলির উপর চরম ক্ষেপেছিলেন শেবাগ!

বীরেন্দ্র শেবাগ। একটা সময়ে বোলারদের মনে আতঙ্ক ধরানোর জন্য শুধু এই একটা নামই যথেষ্ট ছিল। ওয়ানডে কিংবা টেস্ট, নিজের আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ের সাথে আপস করেননি কখনোই। তবে ব্যাট হাতে আগ্রাসী শেবাগ মাঝেমধ্যে বল হাতে একই ভূমিকায় আবর্তিত হতেন। পার্ট টাইম স্পিন বল করতেন। তবে তাঁর সেই স্পিন বিষে নীল হয়েছেন ইতিহাসের অনেক নামী ব্যাটাররাও।

তালিকাটা যে একেবারে ছোট সেটিও কিন্তু নয়। শেবাগের বলে আউট হয়েছেন লারা থেকে শুরু করে পন্টিং, ম্যাথু হেইডেন, গিলক্রিস্ট, সাঙ্গাকারা, জয়াবর্ধনে, দিলশানরাও। বুঝাই যাচ্ছে, যখন বল হাতে তুলে নিতেন তখন নেহায়েত শখের বশে নয়, প্রতিপক্ষকে ভড়কে দিতেই বোলিং প্রান্তে আসতেন।

শেবাগ তাঁর বোলিং নিয়ে কতটা সিরিয়াস ছিলেন তা বুঝা যায় তাঁর এক প্রতিক্রিয়াতে। একবার তাঁর বলে ব্যাটার মিড উইকেটে ক্যাচ তুলেছিল। কিন্তু সেই সহজ ক্যাচ মিস করেছিলেন বিরাট কোহলি। আর তাতেই নাকি কোহলির উপর ক্ষেপে গিয়েছিলেন শেবাগ!

ads

বিরাটের উপর সেই মেজাজ হারানোর মুহূর্ত নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলছেন স্বয়ং শেবাগ নিজে। এক ইউটিউব চ্যানেলে বলেন, ‘আসলে সেদিন খুব রেগে গিয়েছিলাম। কোহলি সহজ একটা ক্যাচ ফেলেছিল। ঐ সময় আমি তাঁর উপর চিৎকারও করেছিলাম। খুব সম্ভবত আমার ত্রিপল সেঞ্চুরি মিসের চেয়েও আমি ঐ ক্যাচ মিসে রেগে গিয়েছিলাম।’

ক্যারিয়ারে ওয়ানডে আর টেস্ট ক্রিকেট মিলিয়ে ১৩৬ টা উইকেট নিয়েছেন বিরেন্দর শেবাগ। এর মধ্যে একটা ফাইফারও আছে তাঁর। এ ছাড়া বড় বড় ব্যাটারদের আউট করেছেন বেশ ক’বার। পার্ট টাইম বোলার হওয়া স্বত্ত্বেও এমন সাফল্যের পিছনে রহস্য কি?

শেবাগ অবশ্য নিজেই এ প্রশ্নের উত্তরে কোনো কিছু খোলাসা করতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘এর পিছনে কোনো জাদু আছে কিনা জানি না। তবে নামী ব্যাটারের সামনে আমি একজন পুরোদস্তুর স্পিনার হয়ে বল করার চেষ্টা করতাম। এ কারণেই হয়তো কিছু উইকেট নিতে পেরেছি।’

ভারতের হয়ে শেবাগ শেষ ম্যাচটি খেলেছিলেন ২০১৩ সালে। বিরাট কোহলি তখন দলের একজন তরুণ ক্রিকেটার। সেই কোহলিই এখন একে একে সবাইকে ছাপিয়ে যাচ্ছেন। কোহলিকে নিয়ে অবশ্য এতটা কখনোই ভাবেননি শেবাগ।

এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘তাঁর প্রতিভা নিয়ে কখনোই কারো মধ্যে সন্দেহ ছিল না। কিন্তু সে এখন যে পর্যায়ে আছে, তা আমি কখনোই ভাবিনি। একবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪০ ওভারে ২৮০ রানের লক্ষ্যে দারুণ এক সেঞ্চুরিতে সে একাই ম্যাচ জিতিয়ে দিয়েছিল।  ঐ ম্যাচে মালিঙ্গাকে টানা ৪ বলে ৪ টা চার মারার দৃশ্য এখনও চোখে ভাসে। তারপরও, ক্যারিয়ারে ২৫০০০+ রান, ৭৫ টা সেঞ্চুরি- এত তাড়াতাড়ি যে সে এটা অর্জন করে ফেলবে তা কখনোই ভাবিনি। ঐ সময়ে বিরাটকে নিয়ে আমি সন্দিহান ছিলাম। কারণ অনেক সময়ই প্রতিভা পারফরম্যান্সে রূপ নেয় না। বিরাট আমাকে ভুল প্রমাণিত করেছে। আজকে ওর যা অর্জন, তা এক কথায় অবিশ্বাস্য।’

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link