More

Social Media

[ivory-search id="135666" title="Post Search"]
Light
Dark

প্রশ্ন, সংশয়, বিভ্রান্তি, অনুমান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ

ব্যাপারটা এখন সিম্পল। ইয়াসির আলী রাব্বি, তৌহিদ হৃদয়রা যদি সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন, তাহলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের এখানেই ইতি।

ইয়াসির, হৃদয়দের জন্য ব্যাপারটি যদিও প্রচণ্ড অস্বস্তির । রিয়াদের জায়গায় তাদের পরীক্ষা দিতে হবে, এই চাপকে সঙ্গী করে তাদের খেলতে হবে। খুব আদর্শ পরিস্থিতি নয়। তবে তাদেরকে নির্ভার হয়ে খেলার আবহ তৈরি করার দায়িত্ব কোচ-অধিনায়ক-টিম ম্যানেজমেন্টের সবার।

রিয়াদকে আসলেই ‘বিশ্রাম’ দেওয়া হয়েছে কি না, এটা নিয়ে অবশ্য সংশয়ের শেষ নেই। তাকে আসলে বাদ দেওয়া হয়েছে, এই বিশ্বাসী লোকের সংখ্যাই বেশি। তবে সিদ্ধান্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যে কজনের সঙ্গে কথা বলেছি, সবাই জোর দিয়েই বলেছেন, ‘এটা সত্যিই বিশ্রাম…’।

ads

তবে যা বুঝতে পেরেছি, এটা ‘আপাতত’ বিশ্রাম। তারা ইয়াসির, হৃদয়দের দেখতে চান। সম্ভব হলে অন্য কাউকেও। এখনও পর্যন্ত যা চিন্তা-ভাবনা, তাদেরকে পর্যাপ্ত সুযোগও দেওয়া হবে। রিয়াদের বিশ্রাম তাই শুধু এই আয়ার‌ল্যান্ড সিরিজই শুধু নয়, পরের ২-১ সিরিজেও বিস্তৃত হতে পারে।

ইয়াসির-হৃদয়রা পারফর্ম করলে রিয়াদের বিশ্রাম পাকাপাকি রূপ পেয়ে যাবে। তারা পারফর্ম করতে না পারলে রিয়াদের জন্য দুয়ার আবার খুলে যেতে পারে।

পারফর্ম করা মানে শুধু রান করাই নয়, তাদের সামনে চ্যালেঞ্জ কার্যকর রান করার। রিয়াদকে যখন বিশ্রাম দেওয়া হলো, তখন সর্বশেষ এক বছরের দলের বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তার (১৩ ইনিংসে ৪৩৮), তামিম ইকবালের চেয়ে স্রেফ ৮ রান কম। এই সময়ে ব্যাটিং গড়েও রিয়াদের (৪৩.৮০) ওপরে আছেন কেবল তামিম (৪৪.৬০)।

যদি সীমানা বাড়িয়ে গত ২ বছর ধরা হয়, তাহলে দলের সবচেয়ে বেশি রান রিয়াদেরই (৮০৭)। এই সময়ে তার গড় ৪২.৪৭। অন্তত ১০০ রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ৩৭ গড়ও নেই আর কারও।

কিন্তু, গত এক বছরে মাহমুদউল্লাহর স্ট্রাইক রেট ৭০.৭৫, গত ২ বছরে স্ট্রাইক রেট ৭১.৫৪।

ইয়াসির-হৃদয়ের চ্যালেঞ্জ এখানেই। এই পজিশনের দাবি আরও ভালোভাবে মেটানোর। কে জানে, সামনে হয়তো অন্য আরও কাউকেও পরখ করে দেখা হতে পারে! তবে উপযুক্ত কাউকে খোঁজার চেষ্টা চলবে বলেই মনে হচ্ছে আপাতত।

ও হ্যাঁ, জাকির হাসানকে এই পজিশনের জন্য দলে নেওয়া হয়নি। নির্বাচকরা নিশ্চিত করেছেন, তাকে টপ অর্ডারের ভাবনায় নেওয়া হয়েছে। তামিম, লিটন, শান্তরা কখনও চোট-টোট পেয়ে গেলে, কেউ ফর্ম হারালে বা কোনো প্রয়োজন হলে যেন বিকল্প তৈরি থাকে…

এই হলো এখনকার বাস্তবতা। অনেকের অনেক প্রশ্ন, সংশয়, বিভ্রান্তি, অনুমান। এসব দেখে আপাতত লিখলাম, যতটুকু আমি জানি। তবে, ক্রিকেটে শেষ কথা বলে কিছু নেই। বাংলাদেশ ক্রিকেট তো আরও বিচিত্র! দেখা যাক।

– ফেসবুক থেকে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link